এই লেখাটিতে বর্তমানে বাংলাদেশে মাদ্রাসা শিক্ষকদের বেতন কত, সেটির তালিকা জানাবো। বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক নির্ধারিত মাদ্রাসা শিক্ষকদের বর্তমান বেতন ২০২৫ সালের জন্য পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে এবং মাদ্রাসা শিক্ষকদের বেতনের বিবরণ শেয়ার করব। আমি এই বেতনের একটি তালিকা দিয়ে দিয়েছি আপনারা তা ভালো করে দেখে এবং পড়ে নিন।
মাদ্রাসা শিক্ষকদের বেতন ২০২৫ (তালিকা)
পদবী | যোগ্যতা | এমপিওভুক্ত (Madrasah mpo) | এমপিও-বহির্ভূত |
---|---|---|---|
সহকারী শিক্ষক | স্নাতক (সম্মান) / মাস্টার্স | 9,000 – 15,000 টাকা | 12,000 – 20,000 টাকা |
প্রভাষক | স্নাতক (সম্মান) / মাস্টার্স | 12,000 – 20,000 টাকা | 15,000 – 25,000 টাকা |
সহকারী অধ্যাপক | স্নাতকোত্তর ডিগ্রি | 15,000 – 25,000 টাকা | 18,000 – 30,000 টাকা |
অধ্যাপক | এম.ফিল / পিএইচ.ডি | 18,000 – 30,000 টাকা | 21,000 – 35,000 টাকা |
এসকল তথ্য সবার আগে পেতে আমাদের হোয়াটয়াপ চ্যানেলকে ফলো করুন।
বাংলাদেশে মাদ্রাসা শিক্ষা একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ধর্মীয় শিক্ষা প্রদানের পাশাপাশি, মাদ্রাসাগুলি সাধারণ শিক্ষাও প্রদান করে এবং শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন জীবন দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করে। মাদ্রাসা শিক্ষকরা এই শিক্ষা ব্যবস্থার মেরুদণ্ড, তারা শিক্ষার্থীদের জ্ঞান, দক্ষতা এবং মূল্যবোধ গড়ে তোলার জন্য নিবেদিতপ্রাণ।
মাদ্রাসা শিক্ষকের ভূমিকা:
- ধর্মীয় শিক্ষাদান: মাদ্রাসা শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের ইসলামের নীতি, নীতিশাস্ত্র এবং ইতিহাস সম্পর্কে শিক্ষাদান করেন। তারা শিক্ষার্থীদের পবিত্র কোরআন পাঠ এবং বোঝার প্রশিক্ষণও দেন।
- সাধারণ শিক্ষাদান: মাদ্রাসা শিক্ষকরা বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান এবং সামাজিক বিজ্ঞানের মতো বিষয়গুলিতে শিক্ষার্থীদের সাধারণ শিক্ষাও প্রদান করেন।
- জীবন দক্ষতা প্রশিক্ষণ: মাদ্রাসা শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের যোগাযোগ, সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা এবং সমস্যা সমাধানের মতো গুরুত্বপূর্ণ জীবন দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করেন।
- মানসিক ও নৈতিক বিকাশ: মাদ্রাসা শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের নৈতিকতা, শৃঙ্খলা এবং নীতিবোধের সাথে বড় হতে সাহায্য করেন।
মাদ্রাসা শিক্ষকের যোগ্যতা:
- ধর্মীয় শিক্ষায় স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি
- সাধারণ শিক্ষায় স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি
- শিক্ষক প্রশিক্ষণ
- ইসলামী জ্ঞান ও মূল্যবোধে দক্ষতা
- ভাল যোগাযোগ
- ধৈর্য, সহানুভূতি এবং শিক্ষার্থীদের প্রতি ভালোবাসা
মাদ্রাসা শিক্ষকের গুরুত্ব:
- ভবিষ্যতের নেতা তৈরি: মাদ্রাসা শিক্ষকরা ভবিষ্যতের নেতা এবং ধর্মীয় পণ্ডিতদের তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
- সমাজের উন্নয়ন: মাদ্রাসা শিক্ষকরা শিক্ষিত ও সচেতন নাগরিক তৈরি করে সমাজের উন্নয়নে অবদান রাখেন।
- জাতীয় ঐক্য ও সংহতি: মাদ্রাসা শিক্ষকরা সকল ধর্মের মানুষের মধ্যে শ্রদ্ধা ও বোঝাপড়া বৃদ্ধি করে জাতীয় ঐক্য ও সংহতি শক্তিশালী করতে সাহায্য করেন।

বাংলাদেশের মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থা দীর্ঘ ঐতিহ্যের অধিকারী। ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি, এটি সাধারণ শিক্ষাও প্রদান করে, যা দেশের অনেক মানুষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পাঠ্যক্রমে আরও বৈচিত্র্য আনা, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ উন্নত করা এবং নারী শিক্ষার্থীদের জন্য আরও সুযোগ নিশ্চিত করা জরুরি।
সরকার, শিক্ষাবিদ এবং সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থা আরও উন্নত এবং সমৃদ্ধ হতে পারে। এটি নিশ্চিত করতে পারে যে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা ধর্মীয় জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি আধুনিক বিশ্বে সফল হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা ও জ্ঞান লাভ করতে পারে।