লাল চন্দন গাছের দাম কত ২০২৫ সালে জানতে তালিকা দেখুন।

Written by WhatsUpBD Desk

Published on:

আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি। আজকের এই পোস্টে আমি আপনাদের জানাতে যাচ্ছি লাল চন্দন গাছের বর্তমান দাম ২০২৪ বাংলাদেশে। অনেকেই লাল চন্দন গাছের চারা এবং কাঠের দাম সম্পর্কে জানেন না, তাই আমি এখানে সেই সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য শেয়ার করছি। আশা করি, এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনারা লাল চন্দন গাছের দাম এবং এর অন্যান্য তথ্য সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারবেন।

বর্তমানে, লাল চন্দন গাছের চাহিদা বেশ উচ্চ। এর কাঠের দামও যথেষ্ট বেশি, এবং অনেক মানুষ চন্দন গাছ রোপণ করে দ্রুত ধনী হওয়ার স্বপ্ন দেখে। তবে, লাল চন্দন গাছ বড় হতে প্রায় ৮০ বছর সময় নিলেও, এটি একটি লাভজনক ব্যবসা হতে পারে। আপনার যদি এটি রোপণ করার পরিকল্পনা থাকে, তবে এটি ভবিষ্যতের জন্য একটি বড় সুযোগ হতে পারে।তবে, লাল চন্দন গাছ রোপণ করার আগে এর দাম ও এর সাথে সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানাটা জরুরি। আপনি যদি লাল চন্দন গাছ রোপণের পরিকল্পনা করেন, তবে আপনাকে এর প্রজাতি, চারা এবং কাঠের দাম সহ সব তথ্য জানাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখন চলুন দেখি, লাল চন্দন গাছের দাম কেমন চলছে ২০২৪ সালে এবং এর প্রজাতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

চন্দন গাছের প্রকারভেদ

চন্দন গাছের কয়েকটি ভিন্ন প্রজাতি রয়েছে, যেগুলি বিভিন্ন অঞ্চলে পাওয়া যায়। এর মধ্যে সাদা চন্দন এবং লাল চন্দন গাছের অন্যতম প্রজাতি। চলুন দেখে নেওয়া যাক এই দুই প্রজাতির বিস্তারিত।

সাদা চন্দন (Santalum album)– সাদা চন্দন গাছটি প্রধানত ভারতের কর্ণাটক এবং তামিলনাড়ু অঞ্চলে জন্মায়। এটি বিশেষত তার সুগন্ধ এবং আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় ব্যবহৃত হওয়া জন্য বিখ্যাত। সাদা চন্দন গাছের তেল ত্বকের নানা সমস্যায় ব্যবহৃত হয় এবং এটি বিভিন্ন সুগন্ধি পণ্যেও ব্যবহার করা হয়। তবে, সাদা চন্দন গাছের চারা চাষের জন্য কিছু এলাকায় সরকারি অনুমতি প্রয়োজন।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

লাল চন্দন (Pterocarpus santalinus)– লাল চন্দন গাছটি, যাকে রক্ত চন্দনও বলা হয়, মূলত ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ অঞ্চলে জন্মায়। এটি কাঠের লাল রঙ এবং সুগন্ধের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। লাল চন্দন কাঠের ব্যবহার কাঠ শিল্প এবং আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় হয়ে থাকে। এই গাছের চারা সাধারণত সংরক্ষিত থাকে এবং সরকারিভাবে অনুমোদিত ক্ষেত্রেই তা পাওয়া যায়।

এখন, আপনি যদি লাল চন্দন গাছ রোপণ করার চিন্তা করছেন, তবে এর দাম জানাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চলুন দেখে নেওয়া যাক, ২০২৪ সালে লাল চন্দন গাছের দাম কী রকম চলছে।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

লাল চন্দন গাছের দাম কত

বর্তমানে, লাল চন্দন গাছের দাম বেশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে, এর কাঠের দাম আগের তুলনায় অনেক বেশি হয়ে গেছে। ২০২৪ সালে, একে একে চন্দন গাছের চারা এবং কাঠের দাম কেমন চলছে, তা বুঝে নেওয়া প্রয়োজন। লাল চন্দন গাছের চারা বা একে বারে বৃদ্ধির মধ্যে পার্থক্য রয়েছে, এবং বিভিন্ন অঞ্চলে এর দামও ভিন্ন হতে পারে। সাধারণভাবে, লাল চন্দন গাছের একটি পূর্ণবয়সী কাঠের দাম বর্তমানে অনেক টাকা হয়ে থাকে, যা রোপণকারীকে পরবর্তী কয়েক বছর পর বিশাল লাভ এনে দিতে পারে।

লাল চন্দন গাছ রোপণ করার উপকারিতা

লাল চন্দন গাছ রোপণ করার অনেক উপকারিতা রয়েছে। এটি একটি মূল্যবান গাছ যা দীর্ঘমেয়াদি লাভের সম্ভাবনা বহন করে। যদিও গাছটি পূর্ণবয়স্ক হতে অনেক সময় নেয়, তবে একবার গাছটি বড় হলে তার কাঠ এবং অন্যান্য উপাদান বাজারে ভালো দামে বিক্রি হতে পারে। বিশেষত, যদি আপনি একটি বড় পরিসরে গাছ রোপণ করতে চান, তবে এটি আপনার পরিবারের জন্য একটি স্থায়ী আয়ের উৎস হতে পারে। এছাড়াও, লাল চন্দন গাছের কাঠ আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। এর কাঠের বিভিন্ন অংশ ত্বক এবং শরীরের নানা সমস্যায় উপকারী হিসেবে পরিচিত। এই গাছের অন্যান্য অংশও ঔষধি গুণসম্পন্ন, যা বিভিন্ন প্রাকৃতিক চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।

আরও পড়ুন:  ঢেউটিন ইন্ডাস্ট্রিয়াল টিনের দাম কত বাংলাদেশে - কম দামে ভালো টিন।
WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

লাল চন্দন গাছের চারা কেনার পূর্বে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ

যদি আপনি লাল চন্দন গাছের চারা কেনার কথা ভাবেন, তবে কিছু বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি। গাছটি সুস্থ ও সবল হওয়া উচিত এবং সেটি প্রাথমিকভাবে চাষযোগ্য এলাকা থেকেই সংগ্রহ করা উচিত। পাশাপাশি, গাছ রোপণের সময় তার পরিবেশ ও আবহাওয়া সম্পর্কেও ধারণা রাখা প্রয়োজন। আপনি যদি লাল চন্দন গাছ রোপণ করতে চান, তবে কিছু সময়ের জন্য অপেক্ষা করতে হবে, কারণ এই গাছ পূর্ণবয়স্ক হতে অনেক বছর সময় নেয়। তবে একবার এটি বড় হলে, গাছটির কাঠ মূল্যবান এবং চাহিদা বেশি হওয়ায় এটি একটি লাভজনক ব্যবসা হতে পারে। এটি ছিল লাল চন্দন গাছের দাম এবং এর রোপণ সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। আশা করি এই তথ্যগুলো আপনাদের উপকারে এসেছে।

চন্দন গাছের কিছু ভিন্ন ভিন্ন প্রজাতি বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে দেখা যায়, তবে আমাদের দেশে যেই দুটি প্রজাতি—সাদা চন্দন ও লাল চন্দন—সেগুলো সবচেয়ে বেশি পরিচিত এবং ব্যবহৃত হয়। অন্যান্য প্রজাতি বিশ্বব্যাপী কম হলেও তাদের ব্যবহার এবং গুরুত্বও বেশ। বিশেষ করে, বিভিন্ন ধরনের চন্দন গাছের কাঠ ও তেল চিকিৎসা এবং সুগন্ধি উৎপাদনের কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। সুতরাং, যদি আপনি চন্দন গাছের চারা কিনতে চান, তবে অবশ্যই আপনার দেশের নিয়ম-কানুন এবং অনুমতি বিষয়ক নিয়মগুলি সম্পর্কে ভালোভাবে জানুন।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

বিঃদ্রঃ বাংলাদেশে চন্দন গাছের চারা কেনার আগে অবশ্যই সরকারী অনুমতি এবং বৈধতা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানিয়ে নেওয়া উচিত।

চন্দন গাছের চারার দাম ২০২৪

২০২৪ সালে চন্দন গাছের চারা কেনার দাম ভিন্ন ভিন্ন প্রজাতি, চাহিদা, এবং বৈধতার উপর নির্ভর করে। সাধারণভাবে, সাদা চন্দন এবং লাল চন্দন গাছের চারা সবচেয়ে দামি এবং সংরক্ষিত প্রজাতি হওয়ায় এগুলির জন্য সরকারি অনুমতির প্রয়োজন হয়। বাংলাদেশের নার্সারি বা গাছের বিক্রেতাদের কাছে দাম ভিন্ন হতে পারে, কারণ চাহিদা এবং সরবরাহের ওপর এ দাম নির্ভর করে। সাধারণত, সাদা চন্দন গাছের চারা ২,০০০ থেকে ৫,০০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়, তবে লাল চন্দন গাছের চারা আরো ব্যয়বহুল হয়ে ৫,০০০ থেকে ১০,০০০ টাকার কাছাকাছি হতে পারে।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

বিঃদ্রঃ এই দাম অনুমানিক এবং সরকারি অনুমোদনের প্রক্রিয়া বেশ জটিল হওয়ায় চারা পাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু সীমাবদ্ধতা থাকতে পারে।

লাল চন্দন গাছের চারার দাম

লাল চন্দন গাছের চারা সাধারণত তুলনামূলকভাবে বেশি দামি হয়। কারণ এটি একটি সংরক্ষিত প্রজাতি এবং এর কাঠের আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা রয়েছে। বাংলাদেশে যদি আপনি লাল চন্দন গাছের চারা কিনতে চান, তাহলে অনুমোদিত নার্সারি বা গাছের দোকান থেকে কিনতে হবে এবং দাম সাধারণত ৫,০০০ থেকে ১০,০০০ টাকার মধ্যে হতে পারে। তবে স্থানভেদে এবং বাজারের চাহিদা অনুযায়ী দাম কিছুটা ভিন্ন হতে পারে। লাল চন্দন গাছের চাষ এবং বিক্রয় সরকারীভাবে নিয়ন্ত্রিত হওয়ায়, চারা কেনার আগে অনুমতি নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

সাদা চন্দন গাছের চারার দাম

সাদা চন্দন গাছ বা স্যান্ডালউড গাছ খুবই জনপ্রিয়, বিশেষত তার সুগন্ধি তেল এবং ঔষধি গুণাবলীর জন্য। বাংলাদেশে এই গাছের চারা পাওয়া গেলেও, এটি কিনতে হলে সরকারী অনুমতি প্রয়োজন। সাদা চন্দন গাছের চারা সাধারণত ২,০০০ থেকে ৫,০০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়, তবে স্থান ও সরবরাহের ওপর এর দাম পরিবর্তিত হতে পারে। চারা কেনার আগে অবশ্যই বৈধতা নিশ্চিত করে তবেই কেনা উচিত।

আরও পড়ুন:  কক মুরগির আজকের দাম কত বাংলাদেশে ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

বিঃদ্রঃ সাদা চন্দন গাছের চারা কেনার আগে অনুমতি এবং বৈধতা বিষয়ে ভালোভাবে জেনে নেওয়া জরুরি।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

বাংলাদেশে চন্দন গাছের চারা কোথায় পাওয়া যায়

বাংলাদেশে চন্দন গাছের চারা সাধারণত কিছু নির্দিষ্ট জায়গা থেকে পাওয়া যায়, যেখানে সরকারী অনুমোদিত নার্সারি এবং বন বিভাগ রয়েছে। চন্দন গাছের চারা কেনার আগে আপনাকে সরকারি অনুমতির প্রয়োজন হতে পারে। আপনি এই স্থানে গিয়ে চারা সংগ্রহ করতে পারেন:

  1. বন বিভাগ বা সরকারি নার্সারি: বাংলাদেশ বন বিভাগ এবং তাদের অধীনে সরকারি নার্সারি মাঝে মাঝে চন্দন গাছের চারা সরবরাহ করে থাকে। এখান থেকে অনুমতি নিয়ে চারা সংগ্রহ করা যেতে পারে।
  2. প্রশিক্ষিত নার্সারি: কিছু বিশেষ নার্সারি, যারা চন্দন গাছের চাষের অনুমতি পেয়েছে, সেখানে চারা পাওয়া যেতে পারে। ঢাকার মিরপুর, গাজীপুর, চট্টগ্রামসহ অন্যান্য শহরের বড় নার্সারিগুলোতে এগুলি পাওয়া যেতে পারে।
  3. অনলাইন প্ল্যাটফর্ম: বর্তমানে কিছু নির্ভরযোগ্য অনলাইন নার্সারি থেকেও চন্দন গাছের চারা কেনা সম্ভব। তবে, অনলাইনে চারা কেনার সময় অবশ্যই বৈধতা যাচাই করা উচিত।

বিঃদ্রঃ চন্দন গাছের চারা কেনার আগে সবসময় সরকারি অনুমতি এবং বৈধতার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে নেয়া উচিত।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

চন্দন গাছের চাষাবাদ

চন্দন গাছের চাষ অত্যন্ত লাভজনক হতে পারে, তবে এটি কিছু বিশেষ পদ্ধতি এবং ধৈর্যের কাজ। চন্দন গাছ সাধারণত শুষ্ক, পাথুরে এবং কম উর্বর মাটিতে ভালো জন্মে এবং এটি পরাশ্রয়ী উদ্ভিদ হওয়ায় অন্য গাছের সহচার্যে বৃদ্ধি পায়।

বাংলাদেশে চন্দন গাছের চাষে কিছু চ্যালেঞ্জ থাকতে পারে, যেমন জলবায়ু, মাটির গুণগত মান, এবং সরকারি অনুমতির বিষয়। তবে, সঠিক পদ্ধতিতে চাষ করলে এবং প্রয়োজনীয় যত্ন নিলে চন্দন গাছের চাষ সফল হতে পারে।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

চন্দন গাছের চাষাবাদ পদ্ধতি

মাটি নির্বাচন- চন্দন গাছের জন্য উপযুক্ত মাটি হলো শুষ্ক, বেলে বা লাল মাটি। এমন মাটি যেখানে পানি দ্রুত নিষ্কাশিত হয়, সেখানে চন্দন গাছ ভালোভাবে বৃদ্ধি পায়। অত্যধিক উর্বর মাটিতে চন্দনের কাঠের গুণমান কম হতে পারে, তাই এই ধরনের মাটি থেকে একটু বিরত থাকা উচিত।

জলবায়ু- চন্দন গাছের জন্য উষ্ণ ও শুষ্ক আবহাওয়া প্রয়োজন। বাংলাদেশে, যেখানে গরম ও মৃদু শীতকাল থাকে, সেখানে চন্দন গাছ খুব ভালোভাবে জন্মাতে পারে। তবে, অতিরিক্ত বৃষ্টি বা বন্যার কারণে চন্দন গাছের ক্ষতি হতে পারে, তাই চন্দন চাষের জন্য এমন স্থান নির্বাচন করা উচিত যেখানে বৃষ্টি বা বন্যা কম হয়।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

পরাশ্রয়ী উদ্ভিদ রোপণ- চন্দন গাছ একটি পরাশ্রয়ী উদ্ভিদ, যার মানে হল এটি অন্য গাছের সাথে বেড়ে ওঠে। তাই চন্দন গাছের চারপাশে কিছু সহচর উদ্ভিদ রোপণ করা যেতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, আকাসিয়া, ক্যাসিয়া বা গ্লিরিসিডিয়া গাছ রোপণ করা যেতে পারে, যা চন্দনের বৃদ্ধি উন্নত করতে সহায়তা করে।

চারা রোপণ- চারা রোপণের সময় প্রথমে মাটিতে ১ থেকে ১.৫ মিটার গভীর গর্ত খুঁড়তে হবে। তারপর ওই গর্তে চারা রোপণ করে মাটি ভালোভাবে চাপ দিয়ে সেট করতে হবে। সাধারণত, চন্দন গাছের চারাগুলো একে অপর থেকে ৩-৪ মিটার দূরত্বে রোপণ করা হয় যাতে তারা পর্যাপ্ত জায়গা পায় বেড়ে উঠতে।

Telegram Group Join Now

সেচ ও যত্ন- চন্দন গাছ নিয়মিত সেচের প্রয়োজনীয়তা কম, তবে প্রথম কয়েক বছর শুকনো মৌসুমে কিছু সেচ দিলে গাছ ভালোভাবে বেড়ে ওঠে। এ সময় চারা দ্রুত বৃদ্ধি পায়, এবং গাছের চারপাশে আগাছা পরিষ্কার রাখা জরুরি যাতে চন্দন গাছের যত্ন নিতে সুবিধা হয়।

পোকামাকড় ও রোগ নিয়ন্ত্রণ- চন্দন গাছে মাঝে মাঝে পোকামাকড় আক্রমণ করতে পারে। তাই নিয়মিত গাছের পরিদর্শন করা উচিত এবং যদি প্রয়োজন হয়, তবে জৈব কীটনাশক ব্যবহার করা যেতে পারে।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

কাঠ সংগ্রহের সময়- চন্দন গাছ ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায় এবং কাঠের মান ভালো হতে ১৫-২০ বছর পর্যন্ত সময় নেয়। তাই চন্দন গাছ থেকে কাঠ সংগ্রহের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়, কারণ এই গাছের কাঠের গুণমান পুরোপুরি পরিপূর্ণ হতে অনেক সময় লাগে।

বাংলাদেশে চন্দন গাছ একটি সংরক্ষিত প্রজাতি হওয়ায় এর চাষের জন্য সরকারি অনুমোদন প্রয়োজন। স্থানীয় বন বিভাগ থেকে লাইসেন্স নিয়ে চন্দন গাছ চাষ করা উচিত। অনুমতি ছাড়া চাষ করা আইনসিদ্ধ নয়।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

চন্দন গাছের বাণিজ্যিক ব্যবহার

চন্দন গাছের কাঠ এবং তেল বাণিজ্যিকভাবে অত্যন্ত মূল্যবান। এর সুগন্ধি তেল প্রসাধনী এবং সুগন্ধি শিল্পে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। চন্দন গাছের কাঠও বিভিন্ন শিল্পে ব্যবহৃত হয়, এবং এর বাজারে চাহিদা প্রচুর।

সুগন্ধি শিল্পে ব্যবহার- চন্দন কাঠের তেল সুগন্ধি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এর তীব্র এবং মনোমুগ্ধকর গন্ধ সুগন্ধি শিল্পে একে অপরিহার্য করে তোলে। চন্দনের তেল সুগন্ধি স্থায়ী করতে সাহায্য করে, যা অন্য সুগন্ধির তুলনায় অনেক বেশি জনপ্রিয়।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

প্রসাধনী ও ত্বকচর্চা পণ্য- চন্দন তেল ও গুঁড়া ত্বক ও শরীরের যত্নে ব্যবহৃত হয়। এটি ময়শ্চারাইজার, সাবান, লোশন, এবং অন্যান্য প্রসাধনী পণ্যে ব্যবহৃত হয়, কারণ এটি ত্বক উজ্জ্বল এবং সতেজ রাখে।

ঔষধি ব্যবহার- আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় চন্দন গাছের নানা অংশ ব্যবহৃত হয়। চন্দনের তেল প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপ্টিক ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হয়, যা ত্বকের সমস্যা, হজমের সমস্যা এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা সমাধানে কার্যকর। এছাড়া, চন্দন মাথাব্যথা, জ্বর এবং মানসিক চাপ কমাতেও সাহায্য করে।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

ধূপ ও পূজার সামগ্রী- ধূপ এবং পূজার সামগ্রী তৈরিতে চন্দন কাঠ ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। এর সুগন্ধি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে প্রশান্তি সৃষ্টি করে, তাই এটি পূজা ও ধর্মীয় কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

কাঠের কারুশিল্প- চন্দন কাঠের মোলায়েমতা এবং প্রাকৃতিক রঙের কারণে এটি কাঠের কাজ এবং কারুশিল্পে ব্যবহৃত হয়। চন্দন কাঠ দিয়ে তৈরি আসবাব, অলংকার, মূর্তি এবং অন্যান্য শিল্পকর্মের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

স্বাস্থ্যসেবা পণ্য- চন্দনের তেল এবং কাঠ থেকে তৈরি পণ্য স্বাস্থ্যসেবায় ব্যবহৃত হয়। এটি মানসিক চাপ কমাতে এবং আরামদায়ক অনুভূতি প্রদান করতে সাহায্য করে। এছাড়া, এর প্রদাহবিরোধী গুণাবলী ত্বক এবং স্নায়ু শান্ত রাখতে সহায়তা করে।

বাণিজ্যিক চ্যালেঞ্জ

চন্দন গাছের উচ্চ মূল্য এবং সংরক্ষিত প্রজাতি হওয়ায় এর বাণিজ্যিক ব্যবহারে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে:

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now
  • আইনি বাধ্যবাধকতা: অনেক দেশে চন্দন গাছের বাণিজ্য কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত, এবং অনুমোদন ছাড়া এর চাষ, সংগ্রহ বা বিক্রি বেআইনি হতে পারে।
  • দীর্ঘ বৃদ্ধির সময়: চন্দন গাছ পূর্ণবয়স্ক হতে অনেক সময় নেয় (১৫-২০ বছর), তাই দ্রুত লাভবান হওয়া কঠিন।

DISCLAIMER

এই আর্টিকেলে এবং আমাদের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে প্রদত্ত তথ্যগুলি বিশ্বাসযোগ্য, যাচাই করা এবং অন্যান্য বিশ্বস্ত মিডিয়া হাউস থেকে নেওয়া হয়েছে তা নিশ্চিত করার জন্য যে আমরা সমস্ত নির্ভুল তথ্য দিয়েছি। কোনো প্রতিক্রিয়া বা অভিযোগের জন্য [email protected] মেইলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।

আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপJoin Us
আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলJoin Us
আমাদের ফেসবুক পেজFollow Us
আমাদের কোরা পেজFollow Us
গু নিউজে ফলো করুনFollow Us
WhatsUpBD Desk

WhatsUpBD Desk আমরা অভিজ্ঞ ও বিশ্বস্ত লেখক টিম, যারা বাজার দর, রোজগার, অটোমোবাইল, জীবনধারা, টেকনোলজি, টেলিকম, ধর্ম ও জাতি সহ বিভিন্ন বিষয়ের ওপর মানসম্মত কনটেন্ট তৈরি করে থাকি। তথ্যনির্ভর এবং পাঠকবান্ধব লেখার মাধ্যমে তারা পাঠকদের কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছে দেই। প্রযুক্তি থেকে জীবনযাপন, বাজার বিশ্লেষণ থেকে ধর্মীয় ভাবনা সব ক্ষেত্রেই আমাদের রয়েছে সুগভীর অভিজ্ঞতা।

রিলেটেড পোষ্ট

Janhvi Kapoor Latest Photo: Valentine’s Day তে যে পোশাক পড়লেন Oneplus Nord ce 3 lite 5g price in Bangladesh Mobiledokan The Kerala Story OTT Watch Online – ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে কীবোর্ডে স্পেসবার সবচেয়ে বড় কেন? আসল কারন জেনে নিন। আমি আমার এসএসসি রেজাল্ট কিভাবে দেখব, সহজ নিয়ম কী?