কেরোসিন তেলের দাম কত আজকের চার্ট দেখে নিন।

Written by Bikrom Das

Published on:

আমাদের প্লাটফর্মে স্বাগতম আপনাদের। আজকে আপনাদের জানাবো বাংলাদেশে কেরোসিন তেলের দাম কত। এই প্লাটফর্মে আপনাদের সাথে শেয়ার করব বাংলাদেশে কেরোসিন তেল দাম কত। এই লেখাটি থেকে আপনাদের কে কেরোসিন তেলের বর্তমান মূল্য জানার অনুরোধ করছি। আমাদের পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন, এখানে আমি বাংলাদেশে কেরোসিন তেলের বর্তমান মূল্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছি।

কেরোসিন তেল বাংলাদেশের অর্থনীতি এবং সাধারণ মানুষের জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। রান্না, আলোকসজ্জা এবং বিভিন্ন ধরণের ছোট ব্যবসায়িক কাজে কেরোসিন তেলের ব্যবহার বহুল প্রচলিত। যদিও সময়ের সাথে সাথে প্রযুক্তিগত উন্নতির ফলে কেরোসিনের ব্যবহার কিছুটা কমেছে, তবুও দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এটি এখনও অপরিহার্য। কেরোসিন তেলের দাম নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এই লেখায়, আমরা কেরোসিন তেলের বর্তমান মূল্য, অতীতের দাম, আন্তর্জাতিক বাজারের প্রভাব এবং ভবিষ্যৎ পূর্বাভাস নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।

যেহেতু কেরোসিন আমাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মধ্যে একটি, তাই কেরোসিন ছাড়া দৈনন্দিন জীবনে রান্না বা অন্যান্য কাজে কেরোসিন অপরিহার্য। যেমন বিভিন্ন যন্ত্রপাতি চালানো। আমরা অনেকেই কেরোসিন তেল ব্যবহার করি কিন্তু কেরোসিন তেলের বর্তমান দাম আমরা জানি না তাই আমি এখানে চার্ট শেয়ার করেছি। আমি আপনাদের কেরোসিন তেলের দামের (কেরোসিন তেল দাম) বিস্তারিত জানাবো।

কেরোসিন তেলের দাম কত আজকের তালিকা

কেরোসিনের পরিমাণবর্তমান দাম
১ লিটার১০৬.৭৫ টাকা
৫ লিটার৫৩৩.৭৫ টাকা
১০ লিটার১০৭৭.৫০ টাকা
৫০ লিটার৫৩৩৭.৫০ টাকা
১০০ লিটার১০৬৭৫ টাকা
কেরোসিন তেলের দাম 2025

কেরোসিন তেলের দাম 2025

২০২৫ সালের কেরোসিন তেলের দাম বিভিন্ন কারণে পরিবর্তিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারের অস্থিরতা, দেশের মুদ্রা বিনিময় হার, এবং সরকারী নীতি সহ বিভিন্ন বিষয় এ প্রভাব ফেলেছে। বর্তমানে, বাংলাদেশে কেরোসিন তেলের লিটার প্রতি মূল্য গড়ে ১০০-১২০ টাকা মধ্যে রয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে, স্থানীয় বাজারে দাম ভিন্ন হতে পারে, যা সরবরাহ এবং চাহিদার উপর নির্ভরশীল।

  1. আন্তর্জাতিক বাজারের মূল্যবৃদ্ধি: আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বেড়ে গেলে দেশের বাজারেও তার প্রভাব পড়ে। ২০২৫ সালে, বিশ্ববাজারে তেলের মূল্যবৃদ্ধির ফলে কেরোসিন তেলের দামেও স্বাভাবিকভাবেই প্রভাব পড়েছে।
  2. সরবরাহ সংকট: কেরোসিন তেলের সরবরাহে কোনো প্রকার সংকট দেখা দিলে দাম বাড়ার সম্ভাবনা থাকে। ২০২৫ সালে কিছু অঞ্চলে কেরোসিন তেলের সরবরাহ সংকট দেখা দিয়েছে, যা মূল্যবৃদ্ধির একটি বড় কারণ।
  3. সরকারী নীতি পরিবর্তন: বিভিন্ন সময়ে সরকার জ্বালানি তেলের ওপর কর বাড়িয়ে বা কমিয়ে দেয়। ২০২৫ সালে সরকার কিছুটা কর বৃদ্ধি করেছে, যা সরাসরি তেলের মূল্য বৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলেছে।

কেরোসিন তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারের পদক্ষেপ

দাম বৃদ্ধির চাপ কমাতে সরকার নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু পদক্ষেপ হল:

  1. সরকারি ভর্তুকি প্রদান: সরকার কেরোসিন তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে মাঝে মাঝে ভর্তুকি দেয়। ২০২৫ সালেও এই ভর্তুকি কিছু ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ছিল, যা দাম কিছুটা স্থিতিশীল রাখতে সহায়ক হয়েছে।
  2. বিকল্প জ্বালানি উৎসের প্রচার: কেরোসিনের ওপর নির্ভরতা কমাতে সরকার বিকল্প জ্বালানি যেমন সোলার প্যানেল ও গ্যাস স্টোভের ব্যবহার বাড়ানোর চেষ্টা করছে।
  3. অন্য জ্বালানি তেলের মূল্যহ্রাস: ডিজেল ও পেট্রোলের মূল্যহ্রাস করে সরকার কেরোসিনের ওপর চাপ কমানোর চেষ্টা করেছে।

আন্তর্জাতিক বাজারের প্রভাব

আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম নিয়ন্ত্রণ করা অনেকটা দুরূহ। ২০২৫ সালে বিশ্ববাজারে তেলের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে দামও বেড়েছে। এটি বাংলাদেশে কেরোসিন তেলের মূল্যবৃদ্ধির একটি অন্যতম কারণ। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি এবং অর্থনৈতিক পরিবর্তনের ফলে তেলের উৎপাদন ও সরবরাহে বাধা সৃষ্টি হয়েছে, যা দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা যেতে পারে।

ভবিষ্যতের পূর্বাভাস

২০২৫ সালের পরবর্তী সময়ে কেরোসিন তেলের দাম কীভাবে পরিবর্তিত হবে, তা নির্ভর করছে আন্তর্জাতিক বাজারের পরিস্থিতি এবং দেশের অর্থনৈতিক নীতিমালার ওপর। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, কেরোসিন তেলের দাম কিছুটা স্থিতিশীল হতে পারে যদি সরকার সঠিকভাবে জ্বালানি নীতি পরিচালনা করতে সক্ষম হয় এবং আন্তর্জাতিক বাজার কিছুটা স্থিতিশীল থাকে।

কেরোসিন তেলের ব্যবহার

একসময় গ্রামাঞ্চলে কেরোসিন তেলের ব্যাপক ব্যবহার ছিল। আলোকসজ্জা থেকে শুরু করে রান্না পর্যন্ত সবকিছুতেই কেরোসিন তেল ছিল অপরিহার্য। বর্তমানে বৈদ্যুতিক ও গ্যাস সুবিধার প্রসারের কারণে কেরোসিনের ব্যবহার অনেক কমে এসেছে। তবে দেশের কিছু প্রত্যন্ত অঞ্চলে কেরোসিন এখনো গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

গ্রামীণ অর্থনীতিতে কেরোসিনের গুরুত্ব

বাংলাদেশের গ্রামীণ অর্থনীতিতে কেরোসিন তেলের ভূমিকা এখনও গুরুত্বপূর্ণ। কিছু জায়গায় বিদ্যুতের সরবরাহ কম থাকায় কেরোসিন তেলই প্রধান জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও, ছোট ব্যবসা, যেমন চায়ের দোকান বা গ্রামীণ বাজারে কেরোসিন তেল ব্যবহার করা হয় আলোকসজ্জা ও রান্নার জন্য।

কেরোসিন কাকে বলে ?

কেরোসিন হল পেট্রোলিয়াম-ভিত্তিক জ্বালানী – যা প্রধানত বাতি, হিটার এবং চুলার জ্বালানী হিসাবে ব্যবহৃত হয়। এটি একটি পাতলা, পরিষ্কার এবং হালকা হলুদ রঙের তরল। কেরোসিন ‘প্যারাফিন‘ নামেও পরিচিত।

Kerosene OIL Price in Bangladesh

  • ১ লিটার কেরোসিন তেলের দাম = ১০৮.২৫ টাকা।
  • ৫ লিটার কেরোসিন তেলের দাম = ৫৪১.২৫ টাকা।
  • ১০ লিটার কেরোসিন তেলের দাম = ১০৮২.৫০ টাকা।
  • ৫০ লিটার কেরোসিন তেলের দাম = ৫৪১২.৫০ টাকা।

কেরোসিন ব্যবহার ও সাবধানতা

ব্যবহার:

  • জ্বালানি: ল্যাম্প, হিটার, স্টোভ, ওয়াটার হিটার, জেনারেটর, রান্নার চুলা
  • ঘরোয়া: পোকামাকড় দূর করা, কাঠের আসবাবপত্র পালিশ করা
  • শিল্প: রাসায়নিক উৎপাদন, টেক্সটাইল শিল্প, ধাতুবিদ্যা।

সাবধানতা:

  • কেরোসিন দাহ্য, সাবধানে ব্যবহার করুন।
  • ত্বকের সংস্পর্শে জ্বালা হতে পারে।
  • গিলে ফেললে বিষক্রিয়া হতে পারে।
  • ধোঁয়া শ্বাসে শ্বাসকষ্ট হতে পারে।

বিকল্প:

  • বিদ্যুৎ: ল্যাম্প, হিটার, স্টোভ, ওয়াটার হিটার, জেনারেটর
  • এলপিজি: স্টোভ, ওয়াটার হিটার
  • সৌরশক্তি: ল্যাম্প, ওয়াটার হিটার
  • জৈব জ্বালানি: স্টোভ।

দ্রষ্টব্য: এই লেখাটি কেবল তথ্য প্রদানের উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। কেরোসিন ব্যবহারের পূর্বে নিরাপত্তা নির্দেশাবলী সাবধানে পড়ুন এবং মেনে চলুন। আপনার এলাকায় কেরোসিনের ব্যবহার সম্পর্কে আইনি বিধিনিষেধ থাকতে পারে। ব্যবহারের পূর্বে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সাথে পরামর্শ করুন। প্রতিদিনের বিভিন্ন জিনিসের বাজারদর জানতে আমাদের হোমপেইজ ভিজিট করুন।

আমি বহু-বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করেছি। আমি বাজার দর, রোজগার, অটোমোবাইল, টেলিকম, টেকনোলজি, জীবনধারা, ধর্ম এবং জাতি নিয়ে গভীর অন্তর্দৃষ্টি নিয়ে লেখালেখি করে থাকি। আমার লেখাগুলো তথ্যবহুল, পাঠকের কাছে সহজবোধ্য এবং সমসাময়িক। Mymensingh, Bangladesh.

রিলেটেড পোষ্ট

Leave a Comment