স্বর্ণ একটি চিরকালীন মূল্যবান ধাতু, যা যুগ যুগ ধরে মানুষের মন জয় করে আসছে। এর উজ্জ্বল দীপ্তি, চমৎকার রং এবং টেকসই প্রকৃতির কারণে স্বর্ণ পৃথিবীর অন্যতম প্রিয় ধাতু হয়ে উঠেছে। প্রাচীনকাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত স্বর্ণ তার মূল্য ও গুরুত্ব ধরে রেখেছে। আধুনিক যুগে স্বর্ণ শুধু সৌন্দর্যের প্রতীক নয়, এটি একাধারে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এবং সামাজিক মর্যাদার প্রতীক।
বাংলাদেশেও স্বর্ণের গুরুত্ব অনেক। প্রাচীন বঙ্গদেশ থেকে শুরু করে আধুনিক সোনার বাংলায়, স্বর্ণ মানুষের জীবনে গভীর প্রভাব ফেলেছে। এটি বিয়ে, জন্মদিন এবং অন্যান্য সামাজিক অনুষ্ঠানগুলোতে বিশেষভাবে ব্যবহৃত হয়। বাঙালির ঐতিহ্যবাহী সোনা-গহনা আজও তার জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছে। স্বর্ণ শুধু ব্যক্তি জীবনের সৌন্দর্য বাড়ায় না, এটি অর্থনৈতিক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশে স্বর্ণের বাজার ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আজকের বাংলাদেশে স্বর্ণের দাম সাধারণ মানুষের কাছে আলোচনার অন্যতম বিষয়। প্রতিদিন স্বর্ণের মূল্য ওঠানামা করে এবং এটি স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারের উপর নির্ভর করে। ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশের স্বর্ণের দাম প্রতি ভরিতে প্রায় ৯৮,০০০ থেকে ১০০,০০০ টাকার মধ্যে অবস্থান করছে। স্বর্ণের দাম নির্ধারণে আন্তর্জাতিক বাজারের পাশাপাশি ডলার রেট এবং আমদানি শুল্ক বড় ভূমিকা পালন করে।
1 ভরি সোনার দাম কত
| স্বর্ণের প্রকারভেদ | দাম (১ ভরি) |
|---|---|
| ২৪ ক্যারেট | ১৪২,৯৫৩ টাকা (আনুমানিক) |
| ২২ ক্যারেট | ১৩৮,২৮৮ টাকা |
| ২১ ক্যারেট | ১৩২,০০১ টাকা |
| ১৮ ক্যারেট | ১১৩,১৪০ টাকা |
| সনাতন পদ্ধতিতে | ৯২,৮৬৮ টাকা |
10 gram sonar dam koto
| স্বর্ণের প্রকারভেদ | দাম (১০ গ্রাম) |
|---|---|
| ২২ ক্যারেট | ১১৮,৫৬০ টাকা |
| ২১ ক্যারেট | ১১৩,১৭০ টাকা |
| ১৮ ক্যারেট | ৯৭,৭০০ টাকা |
| সনাতন পদ্ধতিতে | ৭৯,৬২০ টাকা |
সনাতন পদ্ধতিতে সোনার ভরি কত আজকে
| স্বর্ণের প্রকারভেদ | দাম |
|---|---|
| ১১.৬৬৪ গ্রাম / ১ ভরি | ৯২,৮৬৮ টাকা |
| ১০ গ্রাম | ৭৯,৬২০ টাকা |
| ১ গ্রাম | ৭,৯৬২ টাকা |
| ১ আনা | ৫,৮০৪ টাকা |
| ৪ আনা | ২৩,২১৭ টাকা |
| ১ রতি | ৯৬৭ টাকা |
| ১ কেজি | ৭,৯৭২,০০০ টাকা |
২২ ক্যারেট স্বর্ণের বর্তমান দাম
| স্বর্ণের প্রকারভেদ | দাম |
|---|---|
| ১১.৬৬৪ গ্রাম / ১ ভরি | ১৩৮,২৮৮ টাকা |
| ১০ গ্রাম | ১১৮,৫৬০ টাকা |
| ১ গ্রাম | ১১,৮৫৬ টাকা |
| ১ আনা | ৮,৬৪৩ টাকা |
| ৪ আনা | ৩৪,৫৭২ টাকা |
| ১ রতি | ১,৪৪০ টাকা |
| ১ কেজি | ১১,৮৫৬,০০০ টাকা |
২১ ক্যারেট সোনার দাম ২০২৫ বাংলাদেশ
| স্বর্ণের প্রকারভেদ | দাম |
|---|---|
| ১১.৬৬৪ গ্রাম / ১ ভরি | ১৩২,০০১ টাকা |
| ১০ গ্রাম | ১১৩,১৭০ টাকা |
| ১ গ্রাম | ১১,৩১৭ টাকা |
| ১ আনা | ৮,২৫০ টাকা |
| ৪ আনা | ৩৩,০০০ টাকা |
| ১ রতি | ১,৩৭৫ টাকা |
| ১ কেজি | ১১,৩১৭,০০০ টাকা |
১৮ ক্যারেট সোনার দাম ২০২৫ বাংলাদেশ
| স্বর্ণের প্রকারভেদ | দাম |
|---|---|
| ১১.৬৬৪ গ্রাম / ১ ভরি | ১১৩,১৪০ টাকা |
| ১০ গ্রাম | ৯৭,০০০ টাকা |
| ১ গ্রাম | ৯,৭০০ টাকা |
| ১ আনা | ৭,০৭১ টাকা |
| ৪ আনা | ২৮,২৮৫ টাকা |
| ১ রতি | ১,১৭৮ টাকা |
| ১ কেজি | ৯,৭০০,০০০ টাকা |
24 ক্যারেট সোনার দাম কত আজকে
| স্বর্ণের প্রকারভেদ | দাম |
|---|---|
| ২৪ ক্যারেট (১১.৬৬৪ গ্রাম/১ ভরি) | ১৪২,৯৫৩ টাকা |
| ২৪ ক্যারেট (১০ গ্রাম) | ১২২,৫৬০ টাকা |
| ২৪ ক্যারেট (১ গ্রাম) | ১২,২৫৬ টাকা |
| ২৪ ক্যারেট (১ আনা) | ৮,৯৩৪ টাকা |
| ২৪ ক্যারেট (৪ আনা) | ৩৫,৭৩৮ টাকা |
| ২৪ ক্যারেট (১ রতি) | ১,৪৮৯ টাকা |
| ২৪ ক্যারেট (১ কেজি) | ১২,২৫৬,০০০ টাকা |
আজকের স্বর্ণের দাম কত বাংলাদেশে ২০২৫
স্বর্ণ, অর্থাৎ এই মূল্যবান হলুদ ধাতুটি, যুগ যুগ ধরে মানুষের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয় ও সম্মানের প্রতীক। এটি শুধু গয়না হিসেবেই নয়, বরং বিনিয়োগ, সঞ্চয় এবং বিভিন্ন পারিবারিক ও সামাজিক অনুষ্ঠানের জন্য ব্যবহৃত হয়। বাংলাদেশে সোনার দাম প্রায় প্রতিদিনই ওঠানামা করে, আর এই দাম নির্ভর করে আন্তর্জাতিক বাজারের উপর। আজকের এই লেখায় আমরা জানবো বাংলাদেশে বিভিন্ন ক্যারেটের সোনার দাম এবং এর বিশুদ্ধতার বিষয়টি। একইসঙ্গে স্বর্ণ কেনার সময় কীভাবে সতর্ক থাকতে হবে সেটাও আলোচনা করবো।
সোনা সাধারণত বিভিন্ন ক্যারেটের হয়ে থাকে। ক্যারেট (Karat) বলতে বোঝায় সোনার বিশুদ্ধতার পরিমাণ। ২৪ ক্যারেট সোনা সম্পূর্ণ খাঁটি, অর্থাৎ এতে কোনো খাদ মিশ্রিত হয় না। তবে ২৪ ক্যারেট সোনা খুবই নরম হওয়ায় এটি দিয়ে গয়না তৈরি সম্ভব নয়। তাই অলংকার তৈরির জন্য ২২ ক্যারেট, ২১ ক্যারেট বা ১৮ ক্যারেটের সোনা ব্যবহার করা হয়। এতে কিছু পরিমাণে সংকর ধাতু (যেমন তামা, রূপা) মেশানো থাকে। এখন চলুন জেনে নেই বিভিন্ন ক্যারেট সোনার বিশুদ্ধতার পরিমাণ।
- ২৪ ক্যারেট সোনা বিশুদ্ধতা: ৯৯.৯৯%
- ২২ ক্যারেট সোনা বিশুদ্ধতা: ৯১.৬৭%
- ২১ ক্যারেট সোনা বিশুদ্ধতা: ৮৭.৫%
- ১৮ ক্যারেট সোনা বিশুদ্ধতা: ৭৫%
বাংলাদেশে সোনার দামের ওঠানামা আন্তর্জাতিক বাজার, ডলারের মান এবং স্থানীয় বাজারের চাহিদা অনুযায়ী হয়। আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম বেড়ে গেলে বা ডলারের দাম উঠলে বাংলাদেশেও সোনার দাম বৃদ্ধি পায়। একইভাবে, কোনো উৎসব বা বিয়ের মৌসুমে সোনার চাহিদা বাড়লে এর দামও বাড়তে থাকে।
স্বর্ণ কেনার সময় যে বিষয়গুলো খেয়াল করবেন
সোনার গয়না বা বার কেনার আগে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রাখা উচিত-
- বিশুদ্ধতা যাচাই:
প্রতিটি সোনার গয়নায় ক্যারেট নির্দেশ করে এমন নম্বর খোদাই করা থাকে। যেমন:- ৯৯৯: ২৪ ক্যারেট
- ৯১৬: ২২ ক্যারেট
- ৮৭৫: ২১ ক্যারেট
- ৭৫০: ১৮ ক্যারেট
- মূল্য যাচাই:
সোনার দাম সাধারণত প্রতি ভরিতে নির্ধারিত হয়। তবে, গয়নার ক্ষেত্রে মজুরি বা ‘মেকিং চার্জ’ যুক্ত থাকে। তাই কেনার আগে মোট খরচ সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা নিন। - বিশ্বাসযোগ্য দোকান:
স্বর্ণ কেনার সময় সবসময় বিখ্যাত এবং নির্ভরযোগ্য দোকান থেকে কিনুন। এতে প্রতারণার শঙ্কা কম থাকে।
বর্তমানে বাজারে খাঁটি সোনার পাশাপাশি মেশানো সোনা বা ভেজাল সোনা পাওয়া যায়। তাই স্বর্ণ কিনতে গেলে অবশ্যই তার বিশুদ্ধতার প্রমাণ (যেমন হলমার্ক) দেখতে হবে। এছাড়া, সোনার গয়নাগুলি কেনার সময় ভালোভাবে পরখ করুন এবং দোকান থেকে রসিদ সংগ্রহ করুন। রসিদে সোনার ক্যারেট, ওজন এবং দাম স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকা উচিত।
বাংলাদেশে সোনা শুধু অলংকার তৈরির জন্য নয়, বরং বিনিয়োগের মাধ্যম হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। অনেকেই ভবিষ্যতের জন্য সোনার বার বা কয়েন কিনে রাখেন। সোনা একটি নির্ভরযোগ্য সম্পদ, যা দীর্ঘমেয়াদে ভালো রিটার্ন দিতে পারে।
শেষ কথা
স্বর্ণ আমাদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি শুধু গয়না নয়, বরং আমাদের অর্থনৈতিক নিরাপত্তার প্রতীক। তাই সোনা কেনার আগে এর দাম, বিশুদ্ধতা এবং অন্যান্য বিষয় ভালোভাবে যাচাই করা প্রয়োজন। আজকের বাংলাদেশে সোনার দাম সম্পর্কে এই লেখাটি আশা করি আপনাকে সহায়ক হবে। সোনার দাম এবং বিশুদ্ধতা সম্পর্কে সঠিক ধারণা নিয়ে আপনি নিশ্চিন্তে কেনাকাটা করতে পারবেন। সোনার দামের সঠিক আপডেট দাম জানতে আমাদের ওয়েবসাইটের স্বর্ণের দাম ক্যাটাগরি ভিজিট করুন।





