ভারতের আজ পেট্রোল ও ডিজেলের দাম ১৩ জানুয়ারি ২০২৫: আন্তর্জাতিক বাজারের প্রভাব ও ঘরোয়া স্থিতিশীলতা।

Written by Bikrom Das

Published on:

বর্তমান সময়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক বিষয় হলো পেট্রোল ও ডিজেলের দাম। ১৩ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে ভারতের বাজারে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। যদিও আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচা তেলের দাম বেড়েছে, তার প্রভাব এখনো ভারতের ঘরোয়া বাজারে পড়েনি। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, কারণ ভারতের তেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে যুক্ত থাকলেও অনেক সময় সরকারের করনীতি এবং স্থানীয় বাজারের চাহিদার কারণে দাম স্থির থাকে। ১৩ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে ভারতের বিভিন্ন শহরে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম নিম্নরূপ।

আজ পেট্রোল ও ডিজেলের দাম ১৩ জানুয়ারি ২০২৫

শহরপেট্রোল (₹ প্রতি লিটার)ডিজেল (₹ প্রতি লিটার)
দিল্লি₹৯৪.৭২₹৮৭.৬২
মুম্বাই₹১০৩.৪৪₹৮৯.৯৭
কলকাতা₹১০৩.৯৪₹৯০.৭৬
চেন্নাই₹১০০.৮৫₹৯২.৪৪
বেঙ্গালুরু₹১০২.৮৬₹৮৮.৯৪
লখনউ₹৯৪.৬৫₹৮৭.৭৬
নোয়ডা₹৯৪.৮৭₹৮৮.০১
গুরুগ্রাম₹৯৫.১৯₹৮৮.০৫
চন্ডীগড়₹৯৪.২৪₹৮২.৪০
পাটনা₹১০৫.১৮₹৯২.০৪

এই তালিকাটি থেকে বোঝা যায়, শহরভেদে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। এর কারণ হলো প্রতিটি রাজ্যে আলাদা করনীতি ও পরিবহন খরচ। ব্রেন্ট-ক্রুড তেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে ওঠা-নামা করে। বর্তমানে কাঁচা তেলের দাম বেড়েছে, তবে ভারতের বাজারে তার প্রভাব খুব একটা দেখা যাচ্ছে না। ভারতীয় বাজারে তেলের দাম নির্ধারণ করা হয় আন্তর্জাতিক বাজারের দামের ভিত্তিতে, কিন্তু তার সঙ্গে সরকার ও তেল কোম্পানিগুলোর নীতিমালা এবং স্থানীয় করের বিষয় জড়িত।

এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, আন্তর্জাতিক বাজারের পরিবর্তনের প্রভাব ভারতের বাজারে আসতে কিছুটা সময় লাগে। এর পেছনে কয়েকটি কারণ রয়েছে। যেমন:

১. তেলের কোম্পানিগুলোর স্থিতিশীল দাম নীতি: আন্তর্জাতিক বাজারে দামের ওঠা-নামার সঙ্গে সঙ্গেই ভারতের তেলের দাম পরিবর্তিত হয় না। তেলের কোম্পানিগুলো একটি স্থিতিশীল নীতি মেনে চলে।
২. সরকারের করনীতি: কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার তেলের উপর বিভিন্ন কর ধার্য করে। এই করগুলো অনেক সময় তেলের দাম স্থির রাখতে সাহায্য করে।
৩. ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা: আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বৃদ্ধি হলেও ভারতের তেল কোম্পানিগুলো তাৎক্ষণিকভাবে দাম বাড়ায় না। তারা ভবিষ্যতের বাজারের দিকে নজর রেখে দাম নির্ধারণ করে।

ভারতের বাজারে শেষবার পেট্রোল ও ডিজেলের দাম সংশোধিত হয়েছিল ১৪ মার্চ ২০২৪ তারিখে। তখন প্রতি লিটার পেট্রোল ও ডিজেলের দাম ২ টাকা কমানো হয়েছিল। এটি সাধারণ মানুষের জন্য একটি বড় স্বস্তি এনেছিল। কিন্তু তারপর থেকে তেলের দাম স্থিতিশীল রয়েছে।

পেট্রোল ও ডিজেলের দাম ভবিষ্যতের প্রত্যাশা

যেহেতু তেলের দাম বৃদ্ধির সঙ্গে পরিবহন খরচ বেড়ে যায়, তাই সাধারণ মানুষ সবসময় প্রত্যাশা করে যে, সরকারের পক্ষ থেকে কোনো বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া হবে। সরকার যদি কর কমায় বা তেল কোম্পানিগুলো যদি আরও বেশি স্থিতিশীল নীতি গ্রহণ করে, তবে তেলের দাম কিছুটা কমতে পারে। তেলের দাম বাড়ার ফলে বিভিন্ন প্রভাব দেখা যায়।

১. পরিবহন খরচ বৃদ্ধি: পেট্রোল ও ডিজেলের দাম বাড়লে বাস, ট্রাক, এবং অন্যান্য পরিবহনের খরচও বেড়ে যায়।
২. দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধি: পরিবহনের খরচ বাড়ার কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামও বেড়ে যায়।
৩. জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি: সাধারণ মানুষের জন্য জীবনযাত্রার খরচ আরও বেশি হয়ে যায়।

করনীতির গুরুত্ব

ভারতে পেট্রোল ও ডিজেলের দামের উপর কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের করের বড় প্রভাব রয়েছে। কর কমানো হলে দাম কমতে পারে। তবে, সরকার অনেক সময় রাজস্ব বৃদ্ধি করতে করের হার বাড়ায়, যা তেলের দাম বৃদ্ধি করতে পারে।

বর্তমান সময়ে ভারতের ঘরোয়া বাজারে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম স্থিতিশীল থাকলেও আন্তর্জাতিক বাজারের পরিবর্তনের কারণে ভবিষ্যতে এর প্রভাব পড়তে পারে। সাধারণ মানুষ আশা করছে যে, তেলের দাম কমানোর জন্য সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে। তবে, দাম কমানো বা বৃদ্ধি সম্পূর্ণভাবে আন্তর্জাতিক বাজার, সরকার এবং তেল কোম্পানিগুলোর নীতিমালার উপর নির্ভরশীল।

১৩ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে দেখা যাচ্ছে যে ভারতের বাজারে তেলের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এটি সাধারণ মানুষের জন্য একটি স্বস্তির বিষয় হলেও, ভবিষ্যতে পরিস্থিতি কেমন হবে, তা সময়ই বলে দেবে। এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সবার আগে পেতে আমাদের হোয়াটসআপবিডির এই ক্যাটাগরি দেখুন।

আমি বহু-বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করেছি। আমি বাজার দর, রোজগার, অটোমোবাইল, টেলিকম, টেকনোলজি, জীবনধারা, ধর্ম এবং জাতি নিয়ে গভীর অন্তর্দৃষ্টি নিয়ে লেখালেখি করে থাকি। আমার লেখাগুলো তথ্যবহুল, পাঠকের কাছে সহজবোধ্য এবং সমসাময়িক। Mymensingh, Bangladesh.

রিলেটেড পোষ্ট

Thanks for watching! Content unlocked for this session.