প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আশাকরি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আজ আপনাদের অনুরোধে আমি আপনাদের জন্য দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞান ছোট রচনা নিয়ে উপস্থিত হলাম। যা অনেক সহজ এবং সহজ ভাষায় লেখা হয়েছে। দেরি না করে মনোযোগ দিয়ে রচনাটি পড়ুন।
সূচিপত্র
দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞান ছোট রচনা
ভূমিকা:
বর্তমান যুগ বিজ্ঞানের যুগ। বিজ্ঞানের নব নব আবিষ্কার মানুষের জীবনধারাকে আমূল পাল্টে দিয়েছে। মানুষের ব্যবহারিক জীবনে এসেছে যুগান্তকারী পরিবর্তন। প্রাকৃতিক দুর্যোগের হাত থেকে বাঁচার জন্য মানুষ আর মন্দিরে গিয়ে মাথা ঠোকে না বা অপদেবতার হাত থেকে মুক্তির জন্য ওঝার কাছে ছোটে না। অন্ধকার থেকে আলোয় ফিরিয়েছে বিজ্ঞান। বিজ্ঞানীদের অনলস সাধনায় আজ আমরা সভ্যতার শীর্ষে উন্নীত হতে পেরেছি।
দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞান:
আধুনিক জীবনের চরম উৎকর্ষের এবং অফুরন্ত ঐশ্বর্যের মূলে রয়েছে বিজ্ঞান। সকালের ঘুম ভাঙ্গে এলার্ম ঘড়ির ক্রিং ক্রিং শব্দে, বিছানা ছাড়ার পর যে টুথব্রাশ ও পেষ্ট নিই সেটাও বিজ্ঞানের অবদান। রান্নাঘরের গ্যাস ওভেন, ইলেকট্রিক কেটলি থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনের প্রতিটি সাজ সরঞ্জাম সবই বিজ্ঞানের অবদান। এছাড়া বিনোদনের সামগ্রী রেডিও, টেলিভিশন, খবরের কাগজ, টেলিফোন থেকে শুরু করে টেপরেকর্ডার, ক্যালকুলেটর, সবই বিজ্ঞান দিয়েছে। নানা রকমের আধুনিক যানবাহনের আবিষ্কারের ফলে আমাদের জীবন যাত্রায় এসেছে গতি। দ্রুতগামী বাস, মোটর, ট্রেন, এরোপ্লেন, সবই বিজ্ঞানের অবদান। আজকের কর্মব্যস্ত মানুষ বিজ্ঞান ছাড়া একপাও এগোতে পারে না ।
প্রযুক্তিবিজ্ঞান ও মানব জীবনের অগ্রগতি:
প্রযুক্তিবিজ্ঞানের সাহায্যে কৃষিক্ষেত্রে সবুজ বিপ্লব এসেছে। আজকের বাংলাদেশ খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। চিকিৎসায় এসেছে অভূতপূর্ব সাফল্য। দুরারোগ্য কঠিন ব্যাধির চিকিৎসা করে নিরাময় করা হচ্ছে নিত্য নতুন বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতির সাহায্যে। প্রযুক্তিবিজ্ঞানের আবিষ্কার আমাদের রোজকার জীবনযাত্রায় এনেছে অভূতপূর্ব সাফল্য। আধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরী মোবাইলের সাহায্যে পথ চলতে চলতেও প্রয়োজনীয় অনেক কাজ করে ফেলা যাচ্ছে। প্রচন্ড গরমেও এসি ঘরে বসে অনেক কঠিন কাজ করে ফেলা সম্ভব হচ্ছে। মোট কথা বিজ্ঞান আমাদের জীবনে যেমন আরাম এনে দিয়েছে তেমনি জীবনের চলার পথকেও অনেক সহজ ও গতিময় করেছে।
বিজ্ঞানের অপকারিতা:
বর্তমান জগতের মানুষ বিজ্ঞান নির্ভর। বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করতে করতে মানুষ নিজেও অনেক যান্ত্রিক হয়ে পড়েছে। নিজের স্বাভাবিকত্ব হারিয়ে ফেলেছে। বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি মানুষের জীবনে যেমন আয়াস ও বিলাসিতা এনে দিয়েছে তেমনি অপর দিকে চাহিদাও বাড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু দরিদ্র মানুষের তো সব চাহিদা পূরণ হয় না। তাই অনেকেই অসুখী ও অসহিষ্ণু হয়ে উঠেছে। কৃত্রিম হয়ে পড়েছে মানুষের জীবন।
উপসংহার:
অসুখী বা অসহিষ্ণুতা নিজেদের অজ্ঞতা থেকে জন্ম নেয়। এগুলো বাদ দিলে বিজ্ঞান আমাদের পরম বন্ধুর মতো। একে বাদ দিয়ে মানব সভ্যতা অচল। প্রযুক্তি বিজ্ঞানকে আরো বেশি করে কাজে লাগিয়ে তার সুফল প্রত্যেক মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। তবেই একটা দেশ স্বয়ং সম্পূর্ণ হয়ে উঠবে। বিজ্ঞান সত্য নির্ভর জ্ঞান। এই জ্ঞানই পারে সমস্ত কুসংস্কার বা অন্ধবিশ্বাসকে দূরে সরিয়ে দিতে। আর সেই অজ্ঞতার অচলায়তন যেদিন বাংলাদেশের বুক থেকে সরে যাবে সেদিন হবে নির্মল বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন
- দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞান প্রবন্ধ রচনা পড়ুন সহজ বাংলায় | Doinondin Jibone Biggan Rochona
- আমাদের গ্রাম রচনা ক্লাস ১০ সহ সকল শ্রেনীর জন্য
- আমাদের বিদ্যালয় রচনা সহজ ভাষায় | Class: 3,4,5,6।
DISCLAIMER
এই আর্টিকেলে এবং আমাদের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে প্রদত্ত তথ্যগুলি বিশ্বাসযোগ্য, যাচাই করা এবং অন্যান্য বিশ্বস্ত মিডিয়া হাউস থেকে নেওয়া হয়েছে তা নিশ্চিত করার জন্য যে আমরা সমস্ত নির্ভুল তথ্য দিয়েছি। কোনো প্রতিক্রিয়া বা অভিযোগের জন্য [email protected] মেইলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।