রিয়েল এস্টেট ব্যবসা কি, রিয়েল এস্টেট ব্যবসা কিভাবে শুরু করতে হয়!

Written by WhatsUpBD Desk

Published on:

রিয়েল এস্টেট ব্যবসা মানুষের জীবনযাপনের জন্য অপরিহার্য সম্পদ যেমন জমি, বাড়ি, অফিস, আসবাবপত্র, এবং ফ্ল্যাট ইত্যাদি বিক্রয়কে বোঝায়। ব্যবসায়ীদের মধ্যে রিয়েল এস্টেট একটি পরিচিত নাম। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে রিয়েল এস্টেট খাতের চাহিদা ব্যাপক বৃদ্ধি পাচ্ছে। শহরমুখী মানুষের সংখ্যা বাড়ার সাথে সাথে বাসস্থান ও কর্মস্থানের প্রয়োজনীয়তা বেড়ে গেছে।

২০০০ সালের আগের তুলনায় এখন রিয়েল এস্টেট ব্যবসার পরিধি প্রায় ৭৫% বৃদ্ধি পেয়েছে। আপনি যদি রিয়েল এস্টেট কোম্পানি শুরু করতে চান, তাহলে এখনই হতে পারে আপনার জন্য উপযুক্ত সময়। এই লেখায় রিয়েল এস্টেট ব্যবসা এবং কিভাবে এটি শুরু করবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। রিয়েল এস্টেট ব্যবসা সম্পর্কে জানার জন্য এই লেখাটি আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের হোয়াটসয়াপ চ্যানেলের সাথে যুক্ত হোন।

রিয়েল এস্টেট ব্যবসা কি

ডেভেলপার কোম্পানিগুলো মানুষের দৈনন্দিন জীবনের চাহিদা পূরণ করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়। বাড়িঘর, দোকান, অফিস, মার্কেট, ইত্যাদি কেনাবেচা করাকেই রিয়েল এস্টেট ব্যবসা বলা হয়। আপনি কোন কোম্পানি হিসেবে অথবা ব্যক্তিগতভাবে মানুষের বসবাসের স্থাপনা তৈরির সরঞ্জাম ক্রয়-বিক্রয় করতে পারেন।

রিয়েল এস্টেট ব্যবসা মানুষের দৈনন্দিন চাহিদা পূরণের পাশাপাশি অফিস আদালত, মার্কেট এবং মাল্টিপ্লেক্স নির্মাণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এক কথায় বলতে গেলে, রিয়েল এস্টেট ব্যবসা হল জমি ও সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয়, ফ্ল্যাট বা বাড়ি ভাড়া এবং নির্মাণ করে বিক্রয় করা। এসব কাজ করে আপনি আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারেন। রিয়েল এস্টেট বলতে দৃশ্যমান ভূসম্পত্তি বুঝানো হয়। কোন মুরগি পালনে লাভ বেশি পাবেন জানতে পড়ুন।

আরও পড়ুন:  পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে সৌদি ভিসা চেক করুন সহজেই, জানতে পড়ুন

রিয়েল এস্টেট ব্যবসা কিভাবে শুরু করতে হয়

রিয়েল এস্টেট ব্যবসা শুরু করতে চাইলে প্রথমে আপনার মূলধন সংগ্রহ করতে হবে এবং একটি পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা নিয়ে এগোতে হবে। রিয়েল এস্টেট ব্যবসা শুরু করার আগে কিছু ধাপ অনুসরণ করতে হবে:

মূলধন সংগ্রহ করুন

রিয়েল এস্টেট ব্যবসায় প্রচুর পরিমাণে মূলধন বিনিয়োগের প্রয়োজন হয়। তাই এই ব্যবসা শুরু করার আগে একটি স্থায়ী অর্থ সংস্থান নিশ্চিত করুন। পূর্ব পরিকল্পনা ব্যতীত প্রচুর টাকা বিনিয়োগ করলে লাভের সম্ভাবনা কমে যাবে। আস্তে আস্তে ব্যবসাটি বড় করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

পূর্ব পরিকল্পনা করুন

যেকোনো কাজ শুরু করার আগে সম্পূর্ণ পরিকল্পনা করে নিন। হঠাৎ করে কাজ করলে সফলতার সম্ভাবনা কম থাকে। তাই ব্যবসা শুরু করার আগে ভালোভাবে রিসার্চ করুন।

অর্থনৈতিক জ্ঞান অর্জন করুন

ব্যবসায় সফলতা পেতে অর্থনৈতিক জ্ঞান থাকা গুরুত্বপূর্ণ। কোন প্রজেক্ট শুরু করার আগে তার খরচ এবং লাভের হিসাব করতে হবে। অর্থনৈতিক জ্ঞান না থাকলে ব্যবসায় লাভের চেয়ে ক্ষতির সম্ভাবনা বেশি।

অফিস স্থাপন করুন

ব্যবসার জন্য একটি অফিস স্থাপন করুন এবং আপনার কোম্পানির মার্কেটিং করুন। অফিস স্থাপন করলে গ্রাহকরা সহজে যোগাযোগ করতে পারবে এবং আপনাদের প্রতি বিশ্বস্ততা বাড়বে।

ব্যবসার জন্য নিবন্ধন করুন

রিয়েল এস্টেট ব্যবসা শুরু করার আগে আইন অনুযায়ী নিবন্ধন করুন। ট্রেড লাইসেন্স, টিআইএন সার্টিফিকেট, REHAB বা Land Developers Association এর সদস্যপদ, প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সংগ্রহ করুন।

সঠিকভাবে ব্র্যান্ডের মার্কেটিং করুন

সফলভাবে কোম্পানি চালু করার পর ব্র্যান্ডের সঠিকভাবে মার্কেটিং করা জরুরি। অফিসিয়াল সোশ্যাল মিডিয়া কার্যক্রম এবং একটি ওয়েবসাইট থাকতে হবে।

গ্রাহকদের ইমপ্রেস করার ক্ষমতা রাখুন

গ্রাহকদের সাথে ভালো ব্যবহার করে তাদের ইমপ্রেস করুন। সঠিকভাবে বুঝিয়ে বলুন এবং তাদের প্রয়োজনীয়তা পূরণে মনোযোগ দিন।

বিক্রয় বা ভাড়া থেকে আয়

রিয়েল এস্টেট বিনিয়োগে আয়ের প্রধান দুই উৎস হল বিক্রয় এবং ভাড়া। বিক্রির ক্ষেত্রে, বিনিয়োগকারীরা একটি সম্পত্তি ক্রয় করে, কিছু সময় ধরে রাখে এবং পরে এটি লাভের জন্য বিক্রি করে। বিক্রয় থেকে লাভ হল ক্রয়মূল্য এবং বিক্রয়মূল্যের মধ্যে পার্থক্য, যা থেকে সমস্ত সংশ্লিষ্ট খরচ বিয়োগ করা হয়। এই লাভ বাড়ানোর জন্য, বিনিয়োগকারীদের অবমূল্যায়িত বা সমস্যাগ্রস্ত সম্পত্তি খুঁজে বের করতে হবে এবং বিক্রয়ের আগে সেই সম্পত্তির মূল্য বৃদ্ধির জন্য উন্নয়ন করতে হবে।

আরও পড়ুন:  বাংলাদেশে আজকে ইন্ডাকশন চুলার দাম জেনে নিন দাম!

অন্যদিকে, ভাড়ার আয়ে একটি সম্পত্তি কিনে তা ভাড়াটেদের কাছে ভাড়া দেওয়া হয়। ভাড়া আয় থেকে অর্জিত অর্থ বন্ধকী অর্থ প্রদান, সম্পত্তি কর, বীমা এবং রক্ষণাবেক্ষণের খরচ পূরণ করতে পারে, যা এক ধরনের স্থায়ী নিষ্ক্রিয় আয়ের উৎস হিসেবে কাজ করে। ভাড়া আয় বাড়ানোর জন্য, বিনিয়োগকারীদের নিয়মিত সম্পত্তির রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে এবং ভাড়াটেদের আকৃষ্ট করতে সম্পত্তির মান উন্নত করতে হবে।

বিক্রয় এবং ভাড়া উভয়ই রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ে আয়ের লাভজনক উৎস হতে পারে, তবে সঠিকভাবে বাজার এবং সম্পত্তির রাজস্ব উৎপন্ন করার সম্ভাবনার বিশ্লেষণ করা গুরুত্বপূর্ণ।

রিয়েল এস্টেট ব্যবসার ভবিষ্যৎ

যেকোনো ব্যবসা শুরু করার আগে তার ভবিষ্যৎ সম্পর্কে ধারণা নেওয়া প্রয়োজন। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে রিয়েল এস্টেট ইন্ডাস্ট্রির চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে মানুষের জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন হচ্ছে, যার ফলে রিয়েল এস্টেট ব্যবসার অগ্রগতি হচ্ছে। রিয়েল এস্টেট ব্যবসার ভবিষ্যৎ সম্পর্কে ধারণা নিতে এই লেখাটি আপনার জন্য সহায়ক হবে।

বাংলাদেশের ১০টি শীর্ষস্থানীয় রিয়েল এস্টেট কোম্পানির তালিকা এবং তাদের আয়

রিয়েল এস্টেট ব্যবসায় সফল হতে চাইলে কিছু ধাপ অনুসরণ করতে হবে-

  • ১. বাজার গবেষণা: প্রথমে বাজারের পরিস্থিতি এবং সম্ভাবনা বিশ্লেষণ করতে হবে।
  • ২. প্রাথমিক পরিকল্পনা: ব্যবসার জন্য একটি সঠিক পরিকল্পনা তৈরি করা।
  • ৩. মূলধন সংগ্রহ: বিনিয়োগের জন্য প্রয়োজনীয় মূলধন সংগ্রহ করা।
  • 4. সম্পত্তি নির্বাচন: উপযুক্ত এবং লাভজনক সম্পত্তি নির্বাচন করা।
  • ৫. আইনি কার্যক্রম: সমস্ত আইনি কার্যক্রম সম্পন্ন করা এবং যথাযথ অনুমোদন নেওয়া।
  • ৬. বিক্রয় ও বিপণন: সম্পত্তির বিপণন এবং বিক্রয় কার্যক্রম পরিচালনা করা।

রিয়েল এস্টেট ব্যবসায় সফল হতে হলে অভিজ্ঞতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অভিজ্ঞতা ছাড়া বড় ধরনের প্রকল্পে হাত দেওয়া ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে এবং বড় ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই প্র্যাকটিক্যাল অভিজ্ঞতা অর্জন করে ধাপে ধাপে ব্যবসা পরিচালনা করা উচিত। ব্যাবসা সম্পর্কিত তথ্যপূর্ণ ও সঠিক তথ্য জানতে আমাদের রোজগার ক্যাটাগরি ঘুরে দেখুন।

Visited 6 times, 1 visit(s) today
WhatsUpBD Desk

WhatsUpBD Desk আমরা অভিজ্ঞ ও বিশ্বস্ত লেখক টিম, যারা বাজার দর, রোজগার, অটোমোবাইল, জীবনধারা, টেকনোলজি, টেলিকম, ধর্ম ও জাতি সহ বিভিন্ন বিষয়ের ওপর মানসম্মত কনটেন্ট তৈরি করে থাকি। তথ্যনির্ভর এবং পাঠকবান্ধব লেখার মাধ্যমে তারা পাঠকদের কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছে দেই।

Leave a Comment