এক কেজি কিসমিসের দাম কত – আর্টিকেলে তালিকা দেয়া আছে।

Written by Bikrom Das

Published on:

এক কেজি কিসমিসের দাম কত

স্থানকিসমিসের দাম (প্রতি কেজি)
শহর৭০০ – ৭৫০ টাকা
গ্রাম৬০০ – ৬৫০ টাকা
ভালো মানের কিসমিস৮৫০ টাকার বেশি

আজকাল কিসমিসের দাম নিয়ে বেশ কিছু আলোচনা চলছে। বিশেষ করে রমজান মাসে কিসমিসের চাহিদা বেড়ে যাওয়ার কারণে দামও বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনেকেই জানতে চাচ্ছেন, এক কেজি কিসমিসের দাম কত ? ১০০ গ্রাম কিসমিসের দাম কেমন? আর কালো কিসমিসের দাম কি বেশি? আজকের পোস্টে আমরা এসব প্রশ্নের উত্তর দিবো। পাশাপাশি কিসমিস খাওয়ার উপকারিতাও আলোচনা করবো। চলুন, শুরু করা যাক।

বর্তমানে কিসমিসের দাম অনেকটা পরিবর্তনশীল। বর্তমানে ১ কেজি কিসমিস ৬০০ থেকে ৮০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। তবে, কিসমিসের দাম বিভিন্ন কারণে ওঠানামা করে। কিসমিসের মান, প্রকার এবং এলাকা অনুসারে দাম ভিন্ন হতে পারে। সাধারণত, ভালো মানের কিসমিস কিনতে গেলে প্রতি কেজিতে ৮০০ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে।

বিশেষভাবে শহরের মধ্যে কিসমিসের দাম একটু বেশি। গ্রামীণ এলাকাগুলিতে দাম কিছুটা কম থাকতে পারে। তবে, শহরাঞ্চলে দাম প্রায় ৭০০-৮০০ টাকা প্রতি কেজি হয়ে থাকে। এদিকে, ভালো মানের কিসমিসের দাম আরও বেশি হতে পারে, যা ৮০০ টাকারও উপরে চলে যেতে পারে।

১০০ গ্রাম কিসমিসের দাম কত

যদি আপনি ১০০ গ্রাম কিসমিস কিনতে চান, তবে তার দাম হতে পারে ৬০ থেকে ৮০ টাকা। কিছু জায়গায় এই দাম একটু বেশি হতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, ১০০ গ্রাম কিসমিসের দাম ৭০ টাকা হতে দেখা যায়। আর, কালো কিসমিস একটু বেশি দামে বিক্রি হয়, সাধারণত ১০০ গ্রাম কালো কিসমিসের দাম ১৩০ টাকা

কিছু বিশেষ দোকানে বা উচ্চমানের কিসমিসের দাম আরও বেশি হতে পারে। তাই দাম সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হলে স্থানীয় বাজারে যাচাই করে নেওয়া ভালো।

কালো কিসমিসের দাম

কালো কিসমিসের দাম সাধারণত অন্যান্য কিসমিসের চেয়ে একটু বেশি। ১ কেজি কালো কিসমিসের দাম প্রায় ১,৩০০ থেকে ১,৪০০ টাকা। আবার, খুব ভালো মানের কালো কিসমিস কিনতে গেলে দাম ২,০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। কালো কিসমিসের স্বাদ এবং গুণগত মান অনেকেরই পছন্দ হয়ে থাকে, তাই এর দাম একটু বেশি।

কিসমিসের ধরনদাম (প্রতি কেজি)
সাধারণ কালো কিসমিস১,৩০০ – ১,৪০০ টাকা
ভালো মানের কালো কিসমিস২,০০০ টাকা পর্যন্ত

কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা

কিসমিস খাওয়ার অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। এটি শুধু মিষ্টি এবং সুস্বাদু নয়, শরীরের জন্যও অত্যন্ত উপকারী। কিসমিসে বিভিন্ন প্রকার ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস থাকে, যা শরীরের বিভিন্ন কাজে সাহায্য করে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি– কিসমিসে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস এবং ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এটি শরীরকে ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া থেকে রক্ষা করে।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা– কিসমিসে পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। যারা উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন, তারা নিয়মিত কিসমিস খেতে পারেন।

হজম শক্তি বৃদ্ধি– কিসমিসে ফাইবার রয়েছে, যা হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে এবং পাচনতন্ত্রকে সুস্থ রাখতে কার্যকরী।

ক্যান্সার প্রতিরোধ– কিসমিসে উপস্থিত ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস এবং পলিফেনল ক্যান্সারের কোষের বৃদ্ধির বিরুদ্ধে কাজ করে। এটি শরীরের টক্সিন বের করে দেয় এবং ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে।

হাড়ের স্বাস্থ্য– কালো কিসমিসে থাকা ক্যালসিয়াম হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। এটি হাড়ের ক্ষয় রোধ করে এবং হাড় মজবুত করে।

শক্তি বাড়ায়– কিসমিসে প্রচুর পরিমাণে গ্লুকোজ থাকে, যা দ্রুত শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করে। এজন্য কিসমিস খেলে একদম তাজা এবং সতেজ অনুভূতি পাওয়া যায়।

কিসমিস খাওয়ার সঠিক সময়

কিসমিস খাওয়ার সঠিক সময়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অধিকাংশ পুষ্টিবিদই বলেন, খালি পেটে কিসমিস খাওয়াটা সবচেয়ে উপকারী। তবে, দিনে যে কোনো সময় কিসমিস খেতে পারেন, কিন্তু খালি পেটে খাওয়ার ফলে শরীর বেশি উপকার পায়।

কিসমিস খেলে মোটা হওয়া যায়

কিসমিসে উচ্চ ক্যালোরি থাকে, তাই এর মাধ্যমে কিছুটা ওজন বাড়ানোর সম্ভাবনা থাকে। ১০০ গ্রাম কিসমিসে প্রায় ৩০০ ক্যালরি থাকে, যা শরীরের ওজন বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। তবে, অতিরিক্ত কিসমিস খাওয়া উচিত নয়, কারণ এটি হজমের সমস্যাও সৃষ্টি করতে পারে।

কিসমিসের পানি খেলে তা রক্ত পরিশোধনে সাহায্য করে। কিসমিসের পানিতে উপস্থিত পুষ্টি উপাদান রক্তের টক্সিন দূর করে এবং শরীরকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। তাই, কিসমিসের পানি নিয়মিত খাওয়া উপকারী হতে পারে।

প্রতিদিন ১০০ গ্রাম কিসমিস খাওয়া যাবে কি

যাদের হজমের সমস্যা রয়েছে, তাদের প্রতিদিন ১০০ গ্রাম কিসমিস খাওয়া উচিত নয়। তবে, ছোট পরিমাণে কিসমিস খেলে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়। এটি শরীরের জন্য নিরাপদ থাকে। অতিরিক্ত কিসমিস খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে, কারণ কিসমিসে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। তাই, পরিমাণ মতো কিসমিস খাওয়া উচিত।

আজকের পোস্টে আমরা কিসমিসের দাম এবং কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করেছি। কিসমিস খাওয়ার অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে, তবে দাম একটু বেশি হতে পারে। রমজানের মাসে কিসমিসের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় দাম কিছুটা বেড়েছে। তবে, দাম পরিবর্তনশীল হওয়ায় বাজার যাচাই করে কিসমিস কিনতে ভুলবেন না। বিভিন্ন পন্যের সঠিক দাম জানতে আমাদের ওয়েবসাইটের অন্যান্য পোষ্ট পড়ুন।

আমি বহু-বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করেছি। আমি বাজার দর, রোজগার, অটোমোবাইল, টেলিকম, টেকনোলজি, জীবনধারা, ধর্ম এবং জাতি নিয়ে গভীর অন্তর্দৃষ্টি নিয়ে লেখালেখি করে থাকি। আমার লেখাগুলো তথ্যবহুল, পাঠকের কাছে সহজবোধ্য এবং সমসাময়িক। Mymensingh, Bangladesh.

রিলেটেড পোষ্ট

Leave a Comment