প্রিয় ছাত্র-ছাত্রীরা নীচে আমরা আপনাদের জন্য আমাদের বিদ্যালয় রচনা শেয়ার করেছি। আপনারা যারা এই রচনাটি পড়তে চান তারা চাইলে পড়তে পারেন। এছাড়াও আপনার অন্য কোন প্রিয় রচনা থাকলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আমরা সেটাও এখানে সংগ্রহ এবং সংযুক্ত করার চেষ্টা করব। এই রচনাটি আপনারা Class 3,4,5,6 সকল ক্লাসের জন্য শিখতে পারবেন। যুক্ত থাকুন আমাদের Whatsapp গ্রুপে।
সূচিপত্র
আমাদের বিদ্যালয় রচনা ৩য় শ্রেণি
সূচনা :
আমাদের স্কুলের নাম শেখপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এ স্কুলটি ঝিনাইদহ শহরে অবস্থিত। এর উত্তর দিকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় অবস্থিত এবং পশ্চিম দিকে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহের চলাচলের জন্য বিশ্বরোড অবস্থিত।
বর্ণনা :
একটি সুবৃহৎ দালানে আমাদের ক্লাস বসে থাকে । প্রধান শিক্ষকের ঘর, অফিস ঘর, লাইব্রেরি, বিজ্ঞানাগার এবং শিক্ষকদের বিশ্রাম ঘর সব আছে। আমাদের স্কুলে শিশু শ্রেণি হতে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শ্রেণি আছে। প্রত্যেক । শ্রেণিতে আবার দুটি করে শাখা আছে। আমাদের স্কুলে ছয়শ এর অধিক ছাত্র আছে। আমাদের স্কুলে বারোজন শিক্ষক আছেন। তাঁরা সকলেই সুশিক্ষিত ও স্নেহপরায়ণ। তাঁরা ছাত্রদেরকে খুব ভালোবাসেন এবং যত্নের সাথে শিক্ষা দিয়ে থাকেন। আমাদের স্কুলে একটি লাইব্রেরি আছে, এ লাইব্রেরিতে বিভিন্ন প্রকার পুস্তক আছে এবং এখানে কয়েকটি দৈনিক ও মাসিক পত্রিকা রাখা হয়। আমরা প্রতি সপ্তাহে লাইব্রেরি থেকে গল্পের বই নিয়ে থাকি। আমাদের স্কুলে একটি খেলার মাঠ আছে। মাঠটিতে ছুটির পর ফুটবল, হকি, ক্রিকেট প্রভৃতি খেলা হয় ৷
পরীক্ষায় সাফল্য :
আমাদের স্কুল হতে প্রতিবছর বৃত্তি পরীক্ষার জন্য ছাত্র পাঠানো হয় এবং তাদের অধিকাংশই ভালোভাবে পাস করে থাকে। বিগত কয়েক বছর ধরে আমাদের স্কুল থেকে ২/৩ জন করে বৃত্তি পেয়ে আসছে। এটা আমাদের স্কুলের পক্ষে অত্যন্ত কৃতিত্বের বিষয়।
উপসংহার :
আমাদের স্কুলটি উপযুক্ত কমিটির তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে। সব দিক দিয়ে বিচার করলে একে একটি আদর্শ বিদ্যালয় বলা চলে। তাই আমরা আমাদের বিদ্যালয়টিকে খুব ভালোবাসি এবং এর জন্য গর্ববোধ করি ।
আমাদের বিদ্যালয় রচনা ৪র্থ শ্রেণি
রচনার সংকেত: সূচনা, অবস্থান, বিদ্যালয়ের বর্ণনা, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থী, লেখাপড়া, ফলাফল, অন্যান্য কার্যাবলি, উপসংহার।
সূচনা :
সত্যিকার মানুষ হতে হলে সবাইকে লেখাপড়া করতে হয়। লেখাপড়া যারা করতে আসে তাদেরকে ছাত্র বলা হয়। ছাত্ররা যেখানে লেখাপড়া শিখে, সেই স্থানকে বিদ্যালয় বলা হয়। আমি যে বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করি, তার নাম মুকুল নিকেতন উচ্চ বিদ্যালয়। এটি ময়মনসিংহ সদরের একটি আদর্শ ও সুখ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
অবস্থান :
আমাদের বিদ্যালয়ের বিভিন্ন হোস্টেল উত্তরার বিভিন্ন সেক্টরে অবস্থিত, তবে অন্যতম প্রধান হোস্টেল বাসাবাড়ি মার্কেটের পাশে অবস্থিত। এর কিছু সামনে ময়মনসিংহ রেলওয়ে স্টেশন অবস্থিত। আমাদের বিদ্যালয়টি ময়মনসিংহ সদরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত।
বিদ্যালয়ের বর্ণনা :
আমাদের বিদ্যালয়ের প্রতিটি শ্রেণিকক্ষে ছাত্রদের বসার জন্য বেঞ্চ এবং শিক্ষকদের বসার জন্য চেয়ার আছে। প্রত্যেকটি কক্ষের এককোনে একটি করে বোর্ড টানানো আছে। আমাদের অধ্যক্ষ স্যার ১১নম্বর সেক্টরের ক্যাম্পাসে বসেন।
শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থী :
আমাদের বিদ্যালয়ে আছেন ৪১৫জন অভিজ্ঞ ও সু-দক্ষ শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মকর্তা। আমাদের বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ একজন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকাগণও উচ্চশিক্ষিত। আমাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার। আমাদের বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা একজন অভিজ্ঞ শিক্ষাবিদ ও তাঁর রয়েছে দেশজুড়ে সুনাম।
লেখাপড়া :
আমাদের বিদ্যালয়ে বাংলা ও ইংরেজি (জাতীয় শিক্ষাক্রম) এই দুই মাধ্যমে পাঠদান করা হয়। আমাদের বিদ্যালয়ে বছরে ৩টি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া প্রতিমাসে একটি শ্রেণি পরীক্ষাও অনুষ্ঠিত হয়।
ফলাফল :
আমাদের বিদ্যালয়ের ফলাফল খুবই সন্তোষজনক। কোনো শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয় না। আমাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষাপদ্ধতি খুবই আধুনিক ও উন্নতমানের।
অন্যান্য কার্যাবলি :
লেখাপড়ার পাশাপাশি আমরা বিভিন্ন খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও সমাজকল্যাণমূলক বিভিন্ন কাজে অংশগ্রহণ করে থাকি।
উপসংহার :
আমাদের বিদ্যালয়টি একটি আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আমি এই বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করার সুযোগ পেয়ে নিজেকে ধন্য মনে করি।
আমাদের বিদ্যালয় রচনা ক্লাস ৫
সূচনা:
আমাদের বিদ্যালয়ের নাম ‘মুকুল বিদ্যানিকেতন‘। আমি শিশু শ্রেণি থেকে এই বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছি। এটি এলাকার মধ্যে একটি আদর্শ ও বিখ্যাত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ।
অবস্থান:
‘মুকুল বিদ্যানিকেতন‘ আমাদের গ্রামের মাঝামাঝি অবস্থিত। অনেক পুরোনো একসারি তালগাছের পাশে আমাদের বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ। আশেপাশের কয়েকটি গ্রামের ছেলেমেয়ে এখানে পড়াশোনা করে।
বিদ্যালয় ভবনের বর্ণনা:
আমাদের বিদ্যালয়টি দেখতে খুব সুন্দর। এটি একটি সাদা রঙের দোতলা ভবন। নিচতলায় রয়েছে শিক্ষকদের কক্ষ, অফিস কক্ষ, বিজ্ঞানাগার ও পাঠাগার। দোতলার পুরোটাতেই শ্রেণিকক্ষ। বিদ্যালয়ের সামনে একটি বড় খেলার মাঠ এবং দুদিকে দুটো ছোট বাগান আছে। ছুটির পর ফুটবল, ক্রিকেটসহ বিভিন্ন খেলায় মেতে উঠি আমরা।
পাঠদান পদ্ধতি ও সাফল্য:
আমাদের বিদ্যালয়ে শিশু শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানো হয়। প্রতিদিন সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত শিশুদের কোলাহলে মুখর হয়ে থাকে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ। প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থী ও ১০ জন শিক্ষক আছেন এ বিদ্যালয়ে । শিক্ষকেরা আমাদের খুবই যত্ন নিয়ে পড়ান। তারা আমাদের খুব ভালোবাসেন । এ বিদ্যালয়টির বয়স প্রায় ১০০ বছর। অনেক শিক্ষার্থী এখানে পড়াশোনা করে জীবনে সফল হয়েছেন।
খেলাধুলা ও বিনোদন:
আমাদের বিদ্যালয়ে প্রতিবছর বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ ছাড়া ফুটবল, ক্রিকেট, ক্যারম, দাবাসহ নানা ধরনের খেলার ব্যবস্থা আছে । প্রায় প্রতিবছরই ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষাসফরে নিয়ে যাওয়া হয় ।
উপসংহার:
বিদ্যালয় আমাদের উপযুক্ত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলছে। আমাদেরও উচিত বিদ্যালয়ের সুনাম রক্ষার জন্য কাজ করা। আমরা শৃঙ্খলা মেনে চলব, ভালোভাবে পড়াশোনা করব এবং বিদ্যালয় ভবন ও প্রাঙ্গণ পরিচ্ছন্ন রাখব।
আমাদের বিদ্যালয় রচনা ক্লাস ৬
সূচনা:
জ্ঞানার্জনের একমাত্র মাধ্যম শিক্ষা। শিক্ষার মাধ্যমেই মানুষ জীবন ও জগতকে চিনতে পারে এবং নিজেকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে পারে। আর শিক্ষার মাধ্যমে সার্থক, সুন্দর ও পূর্ণাঙ্গ জীবনের পথপ্রদর্শন করে বিদ্যালয়। আমি এরূপ একটি বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করি। বিদ্যালয়টি আমাদের অঞ্চলের মধ্যে একটি আদর্শ ও বিখ্যাত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
প্রতিষ্ঠা:
আমাদের বিদ্যালয়ের নাম বীণাপাণি সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টি গোপালগঞ্জ জেলা সদরে অবস্থিত। ১৯৩০ সালে বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়েছে। প্রাচীন এবং আদর্শ বিদ্যাপীঠ হিসেবে বিদ্যালয়টির যথেষ্ট সুনাম রয়েছে।
অবস্থান:
আমাদের বিদ্যালয়টি শহরের ভিতরে মনোরম পরিবেশে অবস্থিত। বিদ্যালয়টি শহরের ৪নং ওয়াডের অন্তর্গত। বিদ্যালয়ের দক্ষিণ পাশ দিয়ে বয়ে গেছে মধুমতী নদী !
বিদ্যালয়গৃহের বর্ণনা:
আমাদের বিদ্যালয়ে একটি তিনতলা ভবন রয়েছে। সেখানে মোট ২০টি কক্ষ রয়েছে। ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত সর্বমোট ১৫টি শ্রেণিকক্ষে ক্লাস হয়। অন্য কক্ষগুলোর মধ্যে একটি প্রধান শিক্ষকের কক্ষ, দুটি সহকারী শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কক্ষ, একটি অফিসঘর ও একটি পাঠাগার হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
ছাত্রী ও শিক্ষক সংখ্যা:
আমাদের বিদ্যালয়ে ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় এক হাজার এবং শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যা উনিশ জন । আমাদের বিদ্যালয়ের সকল ছাত্রী একে অপরের সাথে বোনের মতো আচরণ করে । শিক্ষিক- শিক্ষিকাগণও আমাদের প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখেন।
লেখাপড়ার পদ্ধতি:
আমাদের বিদ্যালয়ে প্রতি বছর প্রথম সাময়িক, অর্ধ বার্ষিক এবং বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। এ ছাড়া প্রতি সপ্তাহে ও মাসে দু একটি শ্রেণিপরীক্ষা নেওয়া হয়। বছরান্তে তিনটি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের গড় হিসেবে ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
খেলাধুলা ও অনুষ্ঠানাদি:
আমাদের বিদ্যালয়ে একটি বড় খেলার মাঠ আছে। বিদ্যালয় ছুটির পর মৌসুম অনুযায়ী ফুটবল, ক্রিকেট ও অন্যান্য খেলাধুলা হয়। বিদ্যালয়টিতে বিভিন্ন রকম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয় । তা ছাড়া বছরান্তে পরীক্ষার পর আমরাও শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দের সঙ্গে বনভোজনে আনন্দ করি। জাতীয় দিবসগুলোও আমরা যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে পালন করি।
পরীক্ষার ফলাফল:
লেখাপড়ার মান ও ফলাফলের দিক দিয়ে বিদ্যালয়টির নাম আমাদের জেলার মধ্যে উল্লেখযোগ্য। শিক্ষকদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় এ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন সাফল্যের এ ধারাবাহিকতা বজায় রেখে উত্তরোত্তর উন্নতি করছে।
বৈশিষ্ট্য:
আমাদের বিদ্যালয়ের উন্মুক্ত খেলার মাঠ, সুন্দর স্কুলঘর, লাইব্রেরি, অফিসকক্ষ, শিক্ষক-শিক্ষিকামণ্ডলী এবং মনোরম পরিবেশ অন্যান্য বিদ্যালয় থেকে পৃথক বৈশিষ্ট্যের দাবিদার। এ বিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের দিক থেকে যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। তাছাড়া পড়াশুনার প্রতি উৎসাহী করে তুলতে মেধাবী ছাত্রীদের পুরস্কৃত করা হয়।
উপসংহার:
আমাদের বিদ্যালয়টি একটি আদর্শ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান । আমরা এজন্যে গর্ব অনুভব করি। এ বিদ্যালয়ে লেখাপড়ার সুযোগ পেয়েছি বলে নিজেকে ধন্য মনে করি ।
এছাড়া এগুলিও পড়ুন
- দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞান ছোট রচনা, সহজ ভাষায় পড়ুন
- LUMIERE Video Technology: গুগলের নতুন প্রযুক্তিতে টেক্সট লিখেই বানিয়ে ফেলুন ভিডিও! জানুন বিস্তারিত
DISCLAIMER
এই আর্টিকেলে এবং আমাদের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে প্রদত্ত তথ্যগুলি বিশ্বাসযোগ্য, যাচাই করা এবং অন্যান্য বিশ্বস্ত মিডিয়া হাউস থেকে নেওয়া হয়েছে তা নিশ্চিত করার জন্য যে আমরা সমস্ত নির্ভুল তথ্য দিয়েছি। কোনো প্রতিক্রিয়া বা অভিযোগের জন্য [email protected] মেইলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।