আগামী ১৩ জানুয়ারি থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত উত্তরপ্রদেশে শুরু হতে যাচ্ছে মহাকুম্ভ মেলা। সাধারণত প্রতি ১২ বছর অন্তর কুম্ভ মেলা অনুষ্ঠিত হয়, তবে এই মহাকুম্ভ মেলা বিশেষ গুরুত্ব বহন করে কারণ এটি ১৪৪ বছর পরে এমন ধুমধামভাবে পালিত হতে চলেছে। এই মেলাকে ঘিরে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অসংখ্য তীর্থযাত্রী, সাধু-সন্ন্যাসী এবং সাধারণ মানুষের সমাগম হবে। বিভিন্ন রিপোর্ট অনুযায়ী প্রায় ৪০ কোটির মতো মানুষের উপস্থিতি আশা করা হচ্ছে। এ কারণে প্রশাসন আগেভাগে প্রস্তুতি শুরু করেছে, যাতে ভিড় সামলানো যায় এবং তীর্থযাত্রীদের যাত্রা ও থাকার ব্যবস্থা সহজ হয়।
মহাকুম্ভ মেলা ২০২৫ Indian Railway
তীর্থযাত্রী এবং সাধারণ যাত্রীদের সুবিধার্থে ভারতীয় রেল কুম্ভ মেলা উপলক্ষে বিশেষ ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই বিশেষ ট্রেনগুলো মূলত ভুবনেশ্বর, পুরী এবং তিতলাগড় থেকে তুন্দলা পর্যন্ত চলবে। রেলের এই উদ্যোগ কুম্ভ মেলার সময় যাত্রা আরও নিরাপদ ও আরামদায়ক করবে।
ভুবনেশ্বর থেকে তুন্দলা পর্যন্ত বিশেষ ট্রেন
০৮৪২৫ ভুবনেশ্বর-তুন্দলা বিশেষ ট্রেনটি ২২ জানুয়ারি, ০৫ ফেব্রুয়ারি, ১৯ ফেব্রুয়ারি এবং ২৬ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১২:৩০ মিনিটে ভুবনেশ্বর থেকে ছাড়বে। এটি পরদিন রাত ৮:১৫ মিনিটে তুন্দলা পৌঁছাবে। তুন্দলা থেকে ভুবনেশ্বর পর্যন্ত ০৮৪২৬ বিশেষ ট্রেনটি ২৪ জানুয়ারি, ০৭ ফেব্রুয়ারি, ২১ ফেব্রুয়ারি এবং ২৮ ফেব্রুয়ারি রাত ৩:০০ টায় তুন্দলা থেকে ছাড়বে এবং পরদিন সকাল ৭:০০ টায় ভুবনেশ্বর পৌঁছাবে। এই ট্রেনগুলো দাঙ্গোপোসি, চান্ডিল, মুড়ি এবং বোকারো স্টিল সিটিতে থামবে।
পুরী থেকে তুন্দলা পর্যন্ত বিশেষ ট্রেন
পুরী থেকে তুন্দলা পর্যন্ত ০৮৪১৭ বিশেষ ট্রেনটি ২০ জানুয়ারি এবং ১৭ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১২:৩০ মিনিটে পুরী থেকে ছাড়বে এবং পরদিন রাত ৮:১৫ মিনিটে তুন্দলা পৌঁছাবে। তুন্দলা থেকে পুরী পর্যন্ত ০৮৪১৮ বিশেষ ট্রেনটি ২২ জানুয়ারি এবং ১৯ ফেব্রুয়ারি রাত ৩:০০ টায় তুন্দলা থেকে ছাড়বে এবং পরদিন সকাল ৯:৪৫ মিনিটে পুরী পৌঁছাবে। এই ট্রেনগুলো বালেশ্বর, জেলেশ্বর, হিজলি, মেদিনীপুর, বিষ্ণুপুর, বাঁকুড়া, আদ্রা এবং ভোজুডিহ স্টেশনে থামবে।
তিতলাগড় থেকে তুন্দলা পর্যন্ত বিশেষ ট্রেন
তিতলাগড় থেকে তুন্দলা পর্যন্ত ০৮৩১৪ বিশেষ ট্রেনটি ১৬ জানুয়ারি, ২৩ জানুয়ারি, ০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০ ফেব্রুয়ারি এবং ২৭ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৫:০০ টায় তিতলাগড় থেকে ছাড়বে এবং তৃতীয় দিনের ভোর ২:৩০ মিনিটে তুন্দলা পৌঁছাবে। তুন্দলা থেকে তিতলাগড় পর্যন্ত ০৮৩১৩ বিশেষ ট্রেনটি ১৮ জানুয়ারি, ২৫ জানুয়ারি, ০৮ ফেব্রুয়ারি, ২২ ফেব্রুয়ারি এবং ০১ মার্চ ভোর ৫:০০ টায় তুন্দলা থেকে ছাড়বে এবং পরদিন সকাল ১১:০০ টায় তিতলাগড় পৌঁছাবে। এই ট্রেনগুলো ঝারসুগুড়া, রাউরকেলা, হাতিয়া, রাঁচি, মুড়ি এবং রামগড় ক্যান্ট স্টেশনে থামবে।
ভারতীয় রেল এই বিশেষ ট্রেনগুলো চালু করে তীর্থযাত্রীদের যাত্রা সহজ এবং আরামদায়ক করতে সচেষ্ট। তীর্থযাত্রীদের জন্য এসব ট্রেন থামার স্টেশনগুলো এমনভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে, যাতে অধিকাংশ যাত্রী তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে সুবিধা পান। রেলের এই উদ্যোগ কুম্ভ মেলার ভিড় সামলানোর ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখবে। তীর্থযাত্রীদের জন্য আগাম টিকিট বুক করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, যাতে ভ্রমণের সময় কোনও সমস্যা না হয়। ধর্ম ও জাতি বিষয়ে সঠিক তথ্য জানতে হোয়াটসআপবিডি এর এই ক্যাটাগরি ঘুরে দেখুন।
মহাকুম্ভে যাত্রার সময়সুচি indian railway ticket
রুট | ট্রেন নম্বর | ছাড়ার তারিখ ও সময় | পৌঁছানোর সময় | স্টপেজ |
---|---|---|---|---|
ভুবনেশ্বর-তুন্দলা | ০৮৪২৫ | ২২ জানুয়ারি, ০৫/১৯/২৬ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১২:৩০ | পরদিন রাত ৮:১৫ | দাঙ্গোপোসি, চান্ডিল, মুড়ি, বোকারো স্টিল সিটি |
তুন্দলা-ভুবনেশ্বর | ০৮৪২৬ | ২৪ জানুয়ারি, ০৭/২১/২৮ ফেব্রুয়ারি রাত ৩:০০ | পরদিন সকাল ৭:০০ | দাঙ্গোপোসি, চান্ডিল, মুড়ি, বোকারো স্টিল সিটি |
পুরী-তুন্দলা | ০৮৪১৭ | ২০ জানুয়ারি, ১৭ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১২:৩০ | পরদিন রাত ৮:১৫ | বালেশ্বর, জেলেশ্বর, হিজলি, মেদিনীপুর, বিষ্ণুপুর, বাঁকুড়া, আদ্রা, ভোজুডিহ |
তুন্দলা-পুরী | ০৮৪১৮ | ২২ জানুয়ারি, ১৯ ফেব্রুয়ারি রাত ৩:০০ | পরদিন সকাল ৯:৪৫ | বালেশ্বর, জেলেশ্বর, হিজলি, মেদিনীপুর, বিষ্ণুপুর, বাঁকুড়া, আদ্রা, ভোজুডিহ |
তিতলাগড়-তুন্দলা | ০৮৩১৪ | ১৬/২৩ জানুয়ারি, ০৬/২০/২৭ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৫:০০ | তৃতীয় দিনের ভোর ২:৩০ | ঝারসুগুড়া, রাউরকেলা, হাতিয়া, রাঁচি, মুড়ি, রামগড় ক্যান্ট |
তুন্দলা-তিতলাগড় | ০৮৩১৩ | ১৮/২৫ জানুয়ারি, ০৮/২২ ফেব্রুয়ারি, ০১ মার্চ ভোর ৫:০০ | পরদিন সকাল ১১:০০ | ঝারসুগুড়া, রাউরকেলা, হাতিয়া, রাঁচি, মুড়ি, রামগড় ক্যান্ট |
মহাকুম্ভ মেলা কেবল একটি ধর্মীয় উৎসব নয়, এটি দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতীক। এই মহামিলন উৎসবে অংশগ্রহণ করতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ যাত্রা করেন। ভারতীয় রেল বিশেষ ট্রেন পরিষেবা চালু করে মেলায় আগত তীর্থযাত্রীদের যাত্রা আরও সহজ, সুষ্ঠু এবং নিরাপদ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তীর্থযাত্রীদের আগাম টিকিট বুকিং করে ভ্রমণ পরিকল্পনা নিশ্চিত করার অনুরোধ জানানো হয়েছে, যাতে মহাকুম্ভে অংশগ্রহণ আরও মসৃণ হয়।
DISCLAIMER
এই আর্টিকেলে এবং আমাদের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে প্রদত্ত তথ্যগুলি বিশ্বাসযোগ্য, যাচাই করা এবং অন্যান্য বিশ্বস্ত মিডিয়া হাউস থেকে নেওয়া হয়েছে তা নিশ্চিত করার জন্য যে আমরা সমস্ত নির্ভুল তথ্য দিয়েছি। কোনো প্রতিক্রিয়া বা অভিযোগের জন্য [email protected] মেইলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।