সরকারি লোন কিভাবে পাওয়া যায় – ব্যাংক লোন নিতে যা লাগে।

Written by WhatsUpBD Desk

Published on:

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

সরকারি লোন কিভাবে পাওয়া যায়, এটি অনেকেই ভুল বুঝে থাকেন। তবে আপনি যদি সরকারি লোন পাওয়ার পদ্ধতি এবং ব্যাংক লোন নেওয়ার শর্তগুলো সম্পর্কে জানতে চান, তবে এই লেখাটি মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে। কারণ এখানে আমরা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করবো কীভাবে সরকারি লোন পাওয়া যায় এবং ব্যাংক লোনের জন্য কী কী শর্ত পূরণ করতে হয়।

সরকারি লোন বলতে সাধারণত সেই সব কর্মচারী বুঝানো হয়, যারা বাংলাদেশ সরকারের অধীনে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর, বা কার্যালয়ে স্থায়ী পদে চাকরি করছেন। এ ধরনের লোন পেতে সাধারণত কোনো জমা বা জামানতের প্রয়োজন হয় না। তবে অনেক সরকারি কর্মচারী এই সুবিধার কথা জানেন না। এখন আমরা জানবো কীভাবে এই লোন নেওয়া যায় এবং এর শর্তাবলী কী।

সরকারি লোন কিভাবে পাওয়া যায়

সরকারি লোন পাওয়ার জন্য কিছু নির্দিষ্ট শর্ত রয়েছে, যা পূরণ করলে আপনি লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন। নিচে উল্লেখিত শর্তগুলো অনুসরণ করতে হবে:

  1. স্থায়ী কর্মচারী হওয়া প্রয়োজন: যেকোনো মন্ত্রণালয় বা অধিদপ্তরে স্থায়ী পদে কর্মরত হতে হবে।
  2. বয়সসীমা: সরকারি লোন পেতে হলে বয়স সর্বাধিক ৫৬ বছর হতে হবে।
  3. মাসিক বেতন: আপনার বেতন অবশ্যই অনলাইন বা ইএফটি পদ্ধতির আওতায় থাকতে হবে।
  4. পূর্বের লোন: যদি আগে কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে লোন নিয়ে থাকেন, তবে সেই লোনের শোধ করার রেকর্ড ভালো হতে হবে। অর্থাৎ লোন শোধে কোনো অসুবিধা বা বিলম্ব থাকলে তা লোন পাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা হতে পারে।

সরকারি চাকরি থাকলেও কিছু কর্মচারী এই লোনের আওতায় আসেন না। যারা নিচের অবস্থাগুলোর মধ্যে পড়েন তারা এই লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন না:

  1. রাষ্ট্রায়ত্ত বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী: যারা রাষ্ট্রায়ত্ত বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোতে কাজ করেন, তারা সরকারি লোন পাবেন না। শুধু বাংলাদেশ সরকারের অধীনে থাকা বিভাগ এবং অধিদপ্তরগুলোর কর্মচারীরাই এই সুবিধা পাবেন।
  2. চুক্তিভিত্তিক বা অস্থায়ী কর্মচারী: যেসব কর্মচারী চুক্তিভিত্তিক বা অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগপ্রাপ্ত, তারা সরকারি লোনের জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হন না।
  3. অপরাধমূলক কার্যক্রমে জড়িত কর্মচারী: যদি কোনো কর্মচারীর বিরুদ্ধে কোনো মামলা থাকে, বিশেষ করে দুর্নীতি মামলার চার্জশিট থাকলে, তিনি সরকারি লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন না। তবে মামলাটি নিষ্পত্তি হয়ে গেলে এবং কর্মচারী পুনরায় কাজে নিয়োজিত হলে তিনি আবার লোনের জন্য যোগ্য হতে পারেন।
সবচেয়ে কম সুদে লোন
ব্যাংকে সরাসরি গিয়ে লোনের জন্য আবেদন করতে পারেন, তবে এখন অনেক ব্যাংক অনলাইনেও আবেদন নেওয়ার সুযোগ রেখেছে।

সরকারি লোনের আবেদন প্রক্রিয়া

সরকারি লোন পেতে হলে কিছু ধাপ অনুসরণ করতে হয়। ব্যাংকে সরাসরি গিয়ে লোনের জন্য আবেদন করতে পারেন, তবে এখন অনেক ব্যাংক অনলাইনেও আবেদন নেওয়ার সুযোগ রেখেছে। নিচে আমরা সরকারি লোনের জন্য আবেদন করার প্রক্রিয়াটি জানবো।

  1. প্রয়োজনীয় কাগজপত্র: প্রথমেই আপনাকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র প্রস্তুত রাখতে হবে। এর মধ্যে আপনার নিয়োগপত্র, বেতন স্লিপ, এবং বেতন তোলার অনলাইন প্রমাণপত্র থাকতে হবে।
  2. অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম পূরণ: যে ব্যাংকে আপনি লোনের জন্য আবেদন করতে চান, সেই ব্যাংকের নির্ধারিত ফর্ম পূরণ করতে হবে। এখানে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য, কর্মস্থলের তথ্য, এবং আর্থিক তথ্য পূরণ করতে হবে।
  3. জামিনদার নির্বাচন: সরকারি লোনে সাধারণত কোনো জমা রাখার প্রয়োজন হয় না, তবে কিছু ক্ষেত্রে অফিসের সহকর্মীকে জামিনদার হিসেবে রাখতে হয়। এটি ব্যাংকের উপর নির্ভর করে।
  4. বেতন হিসাব পরীক্ষা: ব্যাংক আপনার বেতন হিসাব এবং পূর্বের আর্থিক ইতিহাস যাচাই করবে। যদি সবকিছু ঠিক থাকে, তবে তারা লোন অনুমোদন করবে।
  5. অনুমোদনের পর লোন বিতরণ: লোন আবেদন অনুমোদিত হলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ব্যাংক থেকে আপনার অ্যাকাউন্টে লোন জমা হবে।

কোন ব্যাংক সহজে লোন দেয়

বাংলাদেশের বেশ কিছু ব্যাংক সরকারি কর্মচারীদের জন্য লোন প্রদান করে থাকে। এর মধ্যে অন্যতম হলো:

  1. অগ্রণী ব্যাংক: এই ব্যাংক সরকারি কর্মচারীদের জন্য বিশেষ সুবিধাযুক্ত লোন প্রদান করে।
  2. জনতা ব্যাংক: সরকারি কর্মচারীদের জন্য সহজ শর্তে লোনের ব্যবস্থা রয়েছে।
  3. সোনালী ব্যাংক: সরকারি লোনের ক্ষেত্রে সোনালী ব্যাংকও একটি জনপ্রিয় নাম।

সরকারি লোন শোধ করার ক্ষেত্রে কিছু বিশেষ সুবিধা রয়েছে। সাধারণত মাসিক বেতনের নির্দিষ্ট একটি অংশ কেটে নেওয়া হয় লোন শোধের জন্য। অনেক সময় সরকার নিজেই এই প্রক্রিয়া সহজ করে দেয়, যাতে কর্মচারীদের ওপর অতিরিক্ত চাপ না পড়ে। তবে, লোন শোধের সময়সীমা নির্ভর করে লোনের পরিমাণ এবং ব্যাংকের নীতিমালার উপর।

সরকারি লোন নেওয়ার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রাখা উচিত:

  1. লোন শোধের সক্ষমতা: আপনার মাসিক বেতনের কত শতাংশ আপনি লোন শোধের জন্য ব্যবহার করতে পারবেন, তা ভালোভাবে ভেবে লোন আবেদন করা উচিত।
  2. অন্যান্য ঋণের তথ্য: পূর্বে নেওয়া লোন এবং সেটি সঠিকভাবে শোধ করা হয়েছে কিনা, সেই বিষয়টি ব্যাংক গুরুত্বসহকারে দেখে।
  3. দায়িত্বশীলতা: সরকারি লোন নেওয়ার পর সময়মতো শোধ না করলে ভবিষ্যতে নতুন কোনো লোন নেওয়া কঠিন হতে পারে।

সরকারি লোন কিভাবে পাওয়া যায়, তা নিয়ে সংশয় থাকলে এই লেখাটি পড়ার পর আপনার সেই সংশয় কেটে যাবে। সরকারি কর্মচারীরা সহজ শর্তে লোন পেতে পারেন, তবে এর জন্য নির্দিষ্ট কিছু যোগ্যতা থাকতে হয় এবং কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়।

সরকারি লোন কিভাবে পাওয়া যাবে – গাইডলাইন

সরকারি ঋণ পেতে হলে আবেদনকারীর জন্য সঠিক প্রক্রিয়া জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই আর্টিকেলে আমরা জনতা ব্যাংকের উদাহরণ ব্যবহার করে দেখাবো, কীভাবে একজন আবেদনকারী সরকারি ঋণের জন্য আবেদন করতে পারে এবং তার জন্য কোন ধাপগুলো অনুসরণ করা প্রয়োজন।

অনলাইনে প্রাথমিক আবেদন: যদি আপনি সরকারি ঋণ নিতে আগ্রহী হন, প্রথমেই জনতা ব্যাংক লিমিটেডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। সেখানে অনলাইনে একটি আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। এই ফরমে সঠিক তথ্য দিয়ে আবেদন করলে আপনাকে একটি ট্র্যাকিং নম্বর প্রদান করা হবে।

এই ট্র্যাকিং নম্বরটি ডাউনলোড করে প্রিন্ট আউট করতে হবে এবং সঠিকভাবে সংরক্ষণ করতে হবে, কারণ এটি ভবিষ্যতে প্রয়োজন হবে। এটি প্রাথমিক ধাপ এবং সফলভাবে এটি সম্পন্ন করলে আপনি পরবর্তী ধাপে যেতে পারবেন।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ: প্রাথমিক আবেদন সম্পন্ন করার পর, আবেদনকারীর জন্য মূল আবেদন ফরমসহ কিছু অতিরিক্ত কাগজপত্র সংগ্রহ করতে হবে। জনতা ব্যাংকের ওয়েবসাইট থেকে আপনি ঋণ প্রাপ্যতা সংক্রান্ত প্রত্যয়ন, বেতন ভাতা “EFT” এর মাধ্যমে প্রেরণ সংক্রান্ত প্রত্যয়ন, এবং চেকলিস্ট সংগ্রহ করতে পারবেন। এসব কাগজপত্র সংগ্রহ করে রাখাটা অত্যন্ত জরুরি, কারণ এটি পরবর্তীতে ব্যাংকে দাখিল করার জন্য লাগবে।

ব্যাংকে আবেদন জমা: এরপর, আপনাকে প্রাথমিক আবেদন ফরম, ট্র্যাকিং নম্বর, এবং মূল আবেদন ফরমসহ সংশ্লিষ্ট সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জনতা ব্যাংকের শাখায় জমা দিতে হবে। এসব কাগজপত্রের মধ্যে থাকবে:

  • ঋণ প্রাপ্যতা সংক্রান্ত প্রত্যয়ন
  • বেতন ভাতা “EFT” এর মাধ্যমে প্রেরণ সংক্রান্ত প্রত্যয়ন
  • চেকলিস্টে উল্লেখিত অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

এইসব কাগজপত্র সঠিকভাবে প্রস্তুত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি আপনার ঋণ প্রক্রিয়াকে সহজতর করবে।

ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকা বাধ্যতামূলক: ঋণ পেতে হলে, যে শাখায় আপনি আবেদন করবেন সেখানে আপনার একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকা বাধ্যতামূলক। এই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমেই সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর বেতন ভাতা, পেনশন, এবং গৃহ নির্মাণ লোনের বিতরণ ও আদায়ের কার্যক্রম পরিচালিত হবে। তাই, যদি আপনার জনতা ব্যাংকে কোনো অ্যাকাউন্ট না থাকে, তাহলে আবেদন করার পূর্বেই একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে।

আবেদন প্রক্রিয়া এবং ফলাফল: আপনার জমা দেওয়া কাগজপত্র এবং ফরমগুলি ব্যাংকের কর্তৃপক্ষ পর্যালোচনা করবেন। প্রয়োজন হলে তারা আপনার কাছ থেকে আরও কিছু তথ্য বা কাগজপত্র চাইতে পারেন। আবেদনটি পর্যালোচনা শেষে তারা সিদ্ধান্ত নেবেন আপনি ঋণ পাওয়ার যোগ্য কিনা। যদি সবকিছু সঠিকভাবে পূরণ করা থাকে এবং ব্যাংকের শর্ত মেনে নেওয়া হয়, তাহলে আপনি ঋণ পেতে পারেন।

সরকারি ঋণ পেতে হলে সঠিক দিকনির্দেশনা মেনে আবেদন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জনতা ব্যাংকসহ অন্যান্য সরকারি ব্যাংক থেকে ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রক্রিয়াটি সাধারণত একই ধরনের। প্রথমে অনলাইনে আবেদন করা, ট্র্যাকিং নম্বর সংগ্রহ করা, এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করার পর সংশ্লিষ্ট ব্যাংক আবেদন যাচাই করবে এবং ঋণের জন্য যোগ্য হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

আশা করি এই লেখাটি পড়ে আপনি সরকারি ঋণ প্রাপ্তির প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেন। আপনি যদি এই নির্দেশনাগুলি অনুসরণ করেন, তাহলে সহজেই বাংলাদেশের যেকোনো সরকারি ব্যাংক থেকে ঋণের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

ব্যাংক ঋণ নেওয়ার শর্তাবলী

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে টাকার প্রয়োজনীয়তা খুব সাধারণ একটা ব্যাপার। বিভিন্ন সময়ে বড় খরচের প্রয়োজনে অনেকেই ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে আগ্রহী হন। তবে ব্যাংক ঋণ নেওয়ার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ শর্ত ও নিয়ম-কানুন জেনে রাখা প্রয়োজন। অনেকেই বুঝতে চান, “ব্যাংক ঋণ নিতে কি লাগে?”। আজকের এই লেখায় সেই প্রশ্নের বিস্তারিত উত্তর দেওয়া হলো।

ব্যাংক ঋণের প্রয়োজনীয়তা

বাংলাদেশে বিভিন্ন ব্যাংক, সরকারি ও বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রেই, সহজ শর্তে ঋণ প্রদান করে থাকে। তবে ঋণ নিতে গেলে কিছু নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করতে হয়। অনেক সময় জরুরি প্রয়োজনে তাড়াহুড়া করে ঋণ নেওয়ার চেষ্টা করি, এতে ভুল হতে পারে। তাই যেকোনো বিপদের সময় সঠিকভাবে ব্যাংক ঋণ নিতে হলে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো জানা দরকার।

ব্যাংক ঋণের শর্তাবলী

প্রত্যেক ব্যাংকের ঋণ দেওয়ার নীতি এবং সুদের হার ভিন্ন হতে পারে, তবে মূল শর্তগুলো সাধারণত একই। ব্যাংক ঋণ নিতে যেসব শর্ত পূরণ করতে হয় তা নিচে আলোচনা করা হলো:

  1. স্থায়ী নাগরিকত্ব: ঋণ নেওয়ার জন্য আবেদনকারীকে অবশ্যই বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক হতে হবে।
  2. বয়সসীমা: ঋণ নেওয়ার জন্য আবেদনকারীর বয়স কমপক্ষে ১৮ বছর হতে হবে।
  3. জাতীয় পরিচয়পত্র ও অন্যান্য কাগজপত্র: ঋণের জন্য আবেদন করতে হলে জাতীয় পরিচয়পত্র, শিক্ষা সনদ, এবং রঙিন পাসপোর্ট সাইজের ছবি জমা দিতে হবে। এছাড়া অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, যেমন NOC (No Objection Certificate) এবং স্থাবর সম্পত্তির কাগজপত্রও থাকতে হবে।
  4. ব্যাংক অ্যাকাউন্ট: ঋণ নেওয়ার জন্য যে ব্যাংক থেকে আপনি ঋণ নিতে চান, সেই ব্যাংকে আপনার একটি কার্যকরী হিসাব থাকা বাধ্যতামূলক।
  5. আয়ের প্রমাণপত্র: ঋণগ্রহীতার বর্তমান আয়ের প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে। যারা ব্যবসায়ী, তাদের জন্য সর্বশেষ আপডেট করা ট্রেড লাইসেন্সের কপি দিতে হবে। যারা চাকরিজীবী, তাদের মাসিক বেতনের স্লিপ জমা দিতে হবে।
  6. জামানত: ঋণ পাওয়ার জন্য অনেক সময় কিছু সম্পদ বন্ধক রাখতে হতে পারে। জমি, বাড়ি, কিংবা অন্য কোনো স্থাবর সম্পত্তি এর মধ্যে থাকতে পারে।
  7. কৃষকদের ঋণ শর্তাবলী: কৃষকদের জন্য ঋণ পাওয়ার জন্য অবশ্যই সেই কৃষককে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে এবং ফুলটাইম কৃষি কাজের সাথে যুক্ত থাকতে হবে। কৃষি ঋণ নিতে হলে জমির দলিলসহ অন্যান্য সম্পত্তির প্রমাণ জমা দিতে হয়।
  8. বিস্তারিত পরিকল্পনা: ঋণগ্রহীতাকে ঋণ নেওয়ার উদ্দেশ্য স্পষ্ট করতে হবে। অর্থাৎ, তিনি কী কাজে ঋণ ব্যবহার করবেন এবং কীভাবে তা ফিরিয়ে দেবেন, সে বিষয়ে একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা দিতে হবে।

ব্যাংক ঋণ পেতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

বাংলাদেশের অধিকাংশ ব্যাংকে ঋণ নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র মোটামুটি একই রকম। নিচে কয়েকটি প্রধান কাগজপত্রের তালিকা দেওয়া হলো:

  • জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত কপি
  • পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি
  • NOC (No Objection Certificate)
  • ট্রেড লাইসেন্সের কপি (ব্যবসায়ীদের জন্য)
  • আয়ের প্রমাণপত্র, যেমন বেতন স্লিপ বা ব্যবসায়িক আয়ের হিসাব
  • জমির দলিল বা অন্য কোনো সম্পত্তির প্রমাণপত্র (জামানত হিসেবে)
  • ব্যাংক অ্যাকাউন্টের বিবরণী

ঋণ নেওয়ার পদ্ধতি

ব্যাংক ঋণের জন্য আবেদন করার আগে আপনাকে সঠিকভাবে কিছু ধাপ অনুসরণ করতে হবে। এই ধাপগুলো অনুসরণ করলে আপনি সহজেই ঋণ পেতে সক্ষম হবেন:

  1. আবেদন ফরম পূরণ: প্রথম ধাপে ব্যাংকের নির্দিষ্ট ঋণ আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। ফরমে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য এবং আর্থিক তথ্য দিতে হবে।
  2. আবেদন ফি জমা: ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে নির্দিষ্ট পরিমাণ আবেদন ফি জমা দিতে হয়, যা ব্যাংকভেদে ভিন্ন হতে পারে।
  3. ডকুমেন্টস দাখিল: ফরম পূরণের পর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে। সব কাগজপত্র সঠিকভাবে পূরণ করা এবং সত্যায়িত করা বাধ্যতামূলক।
  4. পর্যালোচনা: ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আপনার আবেদন এবং জমা দেওয়া কাগজপত্র পর্যালোচনা করবে। এই পর্যায়ে তারা আপনার আর্থিক অবস্থা এবং ঋণ ফেরত দেওয়ার সক্ষমতা পরীক্ষা করে দেখবে।
  5. সাক্ষাৎকার: অনেক ব্যাংক ঋণগ্রহীতার সাথে সাক্ষাৎকারের ব্যবস্থা করে, যাতে তারা তার আর্থিক প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে আরও পরিষ্কার ধারণা পেতে পারে।
  6. অ্যাক্সেপট্যান্স বা রিজেকশন: ব্যাংক আপনার আবেদন মঞ্জুর বা বাতিল করতে পারে। যদি মঞ্জুর হয়, তবে ব্যাংক আপনাকে ঋণের পরিমাণ প্রদান করবে এবং ঋণ পরিশোধের শর্তগুলো নিয়ে আলোচনা করবে।

ব্যাংক ঋণ গ্রহণের সুবিধা

ব্যাংক ঋণ নেওয়ার কিছু সুবিধা রয়েছে, যা নিম্নরূপ:

  • সহজ প্রাপ্তি: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ঠিক থাকলে, বেশিরভাগ ব্যাংক দ্রুত ঋণ অনুমোদন করে থাকে।
  • নিয়মিত কিস্তি: ঋণ পরিশোধের জন্য নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নিয়মিত কিস্তি দেওয়ার সুবিধা থাকে।
  • অবকাঠামোগত উন্নয়ন: অনেক সময় ঋণ নিয়ে বাড়ি নির্মাণ, ব্যবসা সম্প্রসারণ ইত্যাদির মাধ্যমে উন্নয়ন করা সম্ভব হয়।

ব্যাংক ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু ঝুঁকিও থাকে। ঋণ সময়মতো পরিশোধ না করতে পারলে বড় ধরনের জরিমানা গুনতে হতে পারে, যা আর্থিক চাপ বাড়াতে পারে। এছাড়া, সুদের হার বেশি হলে ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে অসুবিধা হতে পারে।

মুদ্রা লোন কিভাবে পাবো

অনেকেই ব্যবসা বা ব্যক্তিগত প্রয়োজনের জন্য ঋণ নেওয়ার কথা ভাবেন। কিন্তু ঋণ নেয়ার কথা ভাবলেই সবার আগে মনে আসে জামানতের বিষয়টি। তবে মুদ্রা ঋণ একটি এমন ঋণ ব্যবস্থা যেখানে কোনো ধরণের জামানত দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। এটি ভারত সরকারের একটি উদ্যোগ, যেখানে সরকার নিজেই জামিনদার হিসেবে কাজ করে। যদিও এটি অনেকের কাছে অবাস্তব মনে হতে পারে, কিন্তু ভারত সরকার এই সুবিধাটি চালু করেছে। তবে বাংলাদেশে এ ধরনের ঋণ ব্যবস্থা এখনও চালু হয়নি। আজকের এই আলোচনায় আমরা ভারতের নাগরিকদের জন্য মুদ্রা ঋণ কিভাবে পাওয়া যায় তা জানব। যারা ভারতে থাকেন, তাদের জন্য এই লেখা বেশ গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।

মুদ্রা ঋণের প্রয়োজনীয়তা

ভারতের জনগণের একটি বড় অংশ অর্থনৈতিক সংকটে ভুগছে, অনেকেই কর্মহীন এবং আর্থিক সমস্যায় নিমজ্জিত। এই সংকট মোকাবেলায় ভারত সরকার মুদ্রা ঋণ, প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা ঋণ যোজনা প্রভৃতি ঋণ প্রকল্প চালু করেছে। ব্যবসা শুরু করতে ইচ্ছুক কিন্তু মূলধনের অভাবে যারা পিছিয়ে আছেন, তারা এই ঋণ নিতে পারেন। মুদ্রা ঋণের মাধ্যমে একজন ব্যক্তি ৫০ হাজার টাকা থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন।

মুদ্রা ঋণের বিভাগ

ভারত সরকার মুদ্রা ঋণকে তিনটি পর্যায়ে বিভক্ত করেছে। সেগুলো হলো:

  1. শিশু বিভাগ: এই বিভাগে আবেদন করলে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ পাওয়া যাবে।
  2. কিশোর বিভাগ: কিশোর বিভাগে ৫০ হাজার থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাওয়া যায়।
  3. তরুণ বিভাগ: তরুণ বিভাগের মাধ্যমে ৫ লাখ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ গ্রহণ করা সম্ভব।

প্রত্যেক বিভাগের জন্য ঋণ পরিশোধের সময়সীমা ৫ বছর পর্যন্ত দেওয়া হয়। তবে ঋণ প্রক্রিয়ার জন্য কোনো প্রসেসিং চার্জ দিতে হয় না।

মুদ্রা ঋণের জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা

মুদ্রা ঋণের জন্য আবেদনকারীর কিছু শর্ত পূরণ করতে হয়। যেমন:

  • আবেদনকারীর পূর্বে নেওয়া ঋণের কোনো বকেয়া থাকলে মুদ্রা ঋণের আওতায় আসা সম্ভব নয়।
  • ঋণ গ্রহণের জন্য সঠিক ও প্রমাণিত ডকুমেন্ট জমা দিতে হবে, যেমন ভোটার আইডি কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স, প্যান কার্ড, অথবা পাসপোর্টের ফটোকপি।
  • স্থায়ী ঠিকানার প্রমাণপত্র হিসেবে বিদ্যুৎ বিল, পানির বিল বা ফোন বিলের ফটোকপি জমা দিতে হবে, যা দুই মাসের বেশি পুরনো হওয়া যাবে না।
  • আবেদনকারী যদি SC, ST, OBC, বা সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর সদস্য হন, তবে তাদের প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে।
  • ব্যবসায়িক অনুমোদনপত্র বা ট্রেড লাইসেন্স, নিবন্ধন সনদসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও জমা দিতে হবে।
  • আবেদনকারীর সদ্য তোলা দুটি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি প্রয়োজন হবে।

মুদ্রা ঋণের জন্য কীভাবে আবেদন করবেন

ভারতের যে কোনো নাগরিক মুদ্রা ঋণের জন্য আবেদন করতে পারেন। এজন্য প্রথমে স্থানীয় ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ফর্ম পূরণ করতে হবে। এরপর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে। ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান আবেদন যাচাই করবে এবং তারপরে ঋণ মঞ্জুর করবে। এ প্রক্রিয়াটি সহজ এবং কম সময়সাপেক্ষ।

ঋণের আওতাভুক্ত ব্যবসার ধরন

মুদ্রা ঋণ ছোট ব্যবসার জন্য বিশেষভাবে উপযোগী। যেমন:

  • ক্ষুদ্র ব্যবসা
  • দোকান বা শোরুম চালানো
  • ক্ষুদ্র উৎপাদনশিল্প
  • পরিবহন ব্যবসা
  • কৃষিভিত্তিক ব্যবসা

এছাড়াও, নতুন উদ্যোক্তারা ব্যবসা শুরু করতে চাইলে মুদ্রা ঋণের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় মূলধন সংগ্রহ করতে পারবেন।

মুদ্রা ঋণের প্রধান সুবিধা হলো, এতে জামানতের প্রয়োজন হয় না। এছাড়াও, ঋণ নেওয়ার জন্য কোনো প্রসেসিং ফি নেই। ঋণের পরিমাণ এবং পরিশোধের সময়সীমা আবেদনকারীর প্রয়োজন ও ব্যবসার আকার অনুযায়ী নির্ধারিত হয়। এতে সহজে ছোট ব্যবসায়ীরা মূলধন জোগাড় করে ব্যবসার প্রসার ঘটাতে পারেন।

মুদ্রা ঋণের সীমাবদ্ধতা

যদিও মুদ্রা ঋণ ব্যবসায়ীদের জন্য একটি বড় সুবিধা, তবুও এর কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। যেমন:

  • ঋণ গ্রহণের জন্য যথাযথ কাগজপত্রের অভাব থাকলে ঋণ পাওয়া কঠিন হতে পারে।
  • ঋণের জন্য আবেদন করা সত্ত্বেও ব্যাংক যদি মনে করে ব্যবসার ঝুঁকি বেশি, তবে ঋণ মঞ্জুর নাও হতে পারে।
  • যারা পূর্বে অন্য কোনো ঋণ নিয়েছেন এবং সেই ঋণ সঠিকভাবে পরিশোধ করেননি, তারা মুদ্রা ঋণের আওতাভুক্ত হতে পারবেন না।

মুদ্রা ঋণ একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ যা ভারতের ছোট ব্যবসায়ীদের মূলধন জোগাড় করতে সাহায্য করে। এর মাধ্যমে কোনো জামানত ছাড়াই ঋণ গ্রহণ করা সম্ভব, যা অনেক ব্যবসায়ীর জন্য বিশেষ সুবিধাজনক। যারা ব্যবসা শুরু করতে চান, তাদের জন্য মুদ্রা ঋণ একটি কার্যকরী সমাধান হতে পারে।

বাংলাদেশে সবচেয়ে কম সুদে লোন দেয় কোন ব্যাংক

বাংলাদেশের প্রায় সব ব্যাংক বর্তমানে বিভিন্ন কাজে ঋণ প্রদান করে থাকে। অনেকেই আছেন যারা বাড়ি তৈরি, বিদেশ যাত্রা বা ব্যবসা শুরু করার জন্য ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা করছেন। তাদের জন্য নীচে বাংলাদেশের সবচেয়ে কম সুদে লোন দেওয়া তিনটি ব্যাংকের তথ্য তুলে ধরা হলো:

ব্র্যাক ব্যাংক

ব্র্যাক ব্যাংক সাধারণত ৯% সুদে ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত পার্সোনাল লোন প্রদান করে। এই ঋণ নিতে গেলে আপনাকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিতে হবে, যেমন আপনি এই ঋণ কোথায় এবং কিভাবে ব্যবহার করবেন তা স্পষ্ট করতে হবে। ঋণের জন্য এই তথ্যগুলো ব্যাংকে জমা দিতে হয়।

ব্র্যাক ব্যাংক ৯% হারে লোন দিয়ে থাকে এবং তারা লোনের প্রসেসিং ফি হিসেবে ২% নিয়ে থাকে। যদি আপনি ব্যক্তিগত ঋণ নিতে চান, তবে ব্র্যাক ব্যাংক হতে পারে আপনার জন্য ভালো একটি বিকল্প।

এবি ব্যাংক

এবি ব্যাংক বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় বেসরকারি ব্যাংক। তারা সবচেয়ে কম সুদে ঋণ দিয়ে থাকে। বর্তমানে এবি ব্যাংক ৭.৪৩% সুদে পার্সোনাল লোন প্রদান করছে। যারা ব্যক্তিগত কাজে ঋণ নিতে চান, তাদের জন্য এই ব্যাংক একটি চমৎকার বিকল্প।

এবি ব্যাংক সর্বোচ্চ ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত লোন দেয় এবং এই লোনের মেয়াদ থাকে সর্বোচ্চ ৫ বছর বা ৬০ মাস পর্যন্ত। যদি কম সুদে লোন চান, তবে এবি ব্যাংক হতে পারে আপনার সঠিক সমাধান।

বেসিক ব্যাংক

বেসিক ব্যাংক কম সুদের লোন দেওয়ার জন্য পরিচিত। মাত্র ৮% সুদে লোন নিতে পারবেন এই ব্যাংক থেকে। অনেকেই নতুন বাড়ি তৈরি বা ব্যবসা শুরু করার জন্য অর্থের সংকটে আছেন। তাদের জন্য বেসিক ব্যাংক হতে পারে একটি ভাল বিকল্প। যেকোনো শাখা থেকে ঋণ নিতে আবেদন করতে পারেন।

সবচেয়ে কম সুদে লোন দেয় কোন ব্যাংক।
যারা ছোট ব্যবসা শুরু করতে চান, তাদের জন্য এই প্রকল্পটি অত্যন্ত উপযোগী।

প্রধানমন্ত্রী লোন প্রকল্প বাংলাদেশ

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী লোন প্রকল্প মূলত ছোট ব্যবসায় উদ্যোগের জন্য ঋণ দেওয়ার একটি উদ্যোগ। এর প্রধান লক্ষ্য হলো বেকার যুব সমাজকে উৎপাদনমূলক কাজে নিয়োজিত করা এবং দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করা। যারা ছোট ব্যবসা শুরু করতে চান, তাদের জন্য এই প্রকল্পটি অত্যন্ত উপযোগী।

এই ঋণ পাওয়ার জন্য কিছু যোগ্যতা থাকতে হবে:

  • ঋণ গ্রহীতাকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
  • যে কাজের জন্য ঋণ নেওয়া হচ্ছে, সেই কাজে অবশ্যই প্রার্থীকে দক্ষ হতে হবে।
  • প্রার্থীকে বেকার হতে হবে এবং তার বয়স ১৮ থেকে ৩৪ বছরের মধ্যে থাকতে হবে।
  • ঋণগ্রহীতার পাশে একজন জামানতদার থাকতে হবে, যিনি ঋণ পরিশোধে সক্ষম।

যারা ব্যাংক থেকে ঋণ নিচ্ছেন, তাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ঋণের মাসিক কিস্তি ঠিকভাবে পরিশোধ করা। সুদের হার এবং ঋণের মেয়াদের উপর ভিত্তি করে কিস্তির হিসাব করা হয়।

প্রত্যেক ব্যাংক তাদের সুদের হার পরিবর্তন করার অধিকার রাখে। যদি বাজেট অনুযায়ী সুদের হার পরিবর্তন হয়, তাহলে মাসিক কিস্তি কম বেশি হতে পারে। সাধারণত ঋণের পরিমাণ, সুদের হার এবং ঋণের মেয়াদ অনুসারে মাসিক কিস্তি নির্ধারণ করা হয়।

উদাহরণ হিসেবে তিনটি ব্যাংকের সুদের হার এবং ঋণের মেয়াদ ধরে একটি ছক দেওয়া হলো:

ব্যাংকসুদের হারঋণের পরিমাণঋণের মেয়াদমাসিক কিস্তি
ব্র্যাক ব্যাংক৯%২০ লক্ষ৫ বছরনির্ধারিত
এবি ব্যাংক৭.৪৩%২০ লক্ষ৫ বছরনির্ধারিত
বেসিক ব্যাংক৮%২০ লক্ষ৫ বছরনির্ধারিত

আশাকরি এই সরকারি লোন কিভাবে পাওয়া যায় লেখাটি আপনাদের উপকারে এসেছে। আর যদি এমন ধরনের খবর আরও পেতে চান তবে আমাদের হোয়াটসয়াপবিডি ফলো করুন। এই আর্টিকেলের মূল লক্ষ্য ছিল কিভাবে সরকারি ঋণ এবং ব্যাংক ঋণ নিতে হয়, তার বিস্তারিত তুলে ধরা। এছাড়া সবচেয়ে কম সুদে লোন পাওয়া যায় কোন ব্যাংক থেকে, সেই তথ্যও আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি ঋণ নেওয়ার বিষয়গুলো ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।

যদি এই আর্টিকেল থেকে আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন, তাহলে আপনার বন্ধুদের সাথে এটি শেয়ার করতে ভুলবেন না। ঋণ সংক্রান্ত কোনো প্রশ্ন থাকলে আমাদের জানাতে পারেন।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

DISCLAIMER

এই আর্টিকেলে এবং আমাদের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে প্রদত্ত তথ্যগুলি বিশ্বাসযোগ্য, যাচাই করা এবং অন্যান্য বিশ্বস্ত মিডিয়া হাউস থেকে নেওয়া হয়েছে তা নিশ্চিত করার জন্য যে আমরা সমস্ত নির্ভুল তথ্য দিয়েছি। কোনো প্রতিক্রিয়া বা অভিযোগের জন্য [email protected] মেইলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।

আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপJoin Us
আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলJoin Us
আমাদের ফেসবুক পেজFollow Us
আমাদের কোরা পেজFollow Us
গু নিউজে ফলো করুনFollow Us
WhatsUpBD Desk

Whatsupbd.com আমরা রিয়েলটাইম সঠিক তথ্য সরবরাহ করে থাকি। এখানে প্রযুক্তি, আজকের বাজারদর, সুস্থ জীবনধারা সম্পৃক্ত সকল জানা ও অজানা তথ্য আমরা এই প্লাটফর্মে প্রকাশ করে থাকি। আমাদের লক্ষ্য সবার মাঝে সঠিক জ্ঞান ছড়িয়ে দেয়া। ধন্যবাদ আপনাকে।

রিলেটেড পোষ্ট

১২ কেজির এলপিজি সিলিন্ডারের দাম বেড়েছে প্রিলিমিনারি টু মাস্টার্স ভর্তি ২০২৪ মেধা তালিকার ফল বাংলাদেশে এসির দাম কত আজকে | AC Price inBangladesh Janhvi Kapoor Latest Photo: Valentine’s Day তে যে পোশাক পড়লেন আমি আমার এসএসসি রেজাল্ট কিভাবে দেখব, সহজ নিয়ম কী?