দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞান প্রবন্ধ রচনা পড়ুন সহজ বাংলায় | Doinondin Jibone Biggan Rochona

Written by WhatsUpBD Desk

Updated on:

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

সভ্যতার অগ্রগতির পাশাপাশি বিজ্ঞানের সঠিক ব্যবহার মানব সভ্যতাকে করেছে সহজতর। বর্তমান সময়ে বিজ্ঞান ছাড়া একটি মুহূর্ত তো যেমন-তেমম একটি দিনও কাটানো যায়না। প্রাকৃতিক দুর্যোগ হোক বা প্রাণঘাতী রোগ, বিজ্ঞান মানবজাতির কল্যাণের পথে আশীর্বাদ হয়ে দাঁড়ায়। এই কারণেই আমাদের আজকের বিষয় দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞান প্রবন্ধ রচনা

প্রতিদিনের জীবন এখন বিজ্ঞানের ছোঁয়ায় সহজ হয়ে উঠেছে। বিজ্ঞানের অগ্রগতি আমাদের সভ্যতাকে এমন এক পর্যায়ে নিয়ে গেছে, যেখানে বিজ্ঞান ছাড়া একটি মুহূর্ত কল্পনাও করা যায় না। ঘুম থেকে উঠে রাতের বিশ্রাম পর্যন্ত, প্রতিটি পদক্ষেপেই বিজ্ঞান আমাদের জীবনে জড়িয়ে রয়েছে।

বিজ্ঞান মানব জীবনে এক বিশাল ভূমিকা পালন করে। স্বাস্থ্যসেবা থেকে শুরু করে যোগাযোগের মাধ্যম, সবকিছুতেই বিজ্ঞান রয়েছে। চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের প্রভাব আজ এতটাই শক্তিশালী যে, অনেক রোগ এখন নিরাময়যোগ্য হয়ে উঠেছে, যা আগে কল্পনাও করা যেত না। চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতির ফলে মৃত্যুহার কমেছে এবং মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে। আধুনিক প্রযুক্তি ও বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের ফলে আমরা সহজেই সঠিক চিকিৎসা পদ্ধতি পেয়ে থাকি।

দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞান প্রবন্ধ রচনা

ভূমিকা:

বর্তমান উন্নত সভ্যতা মানুষের দীর্ঘ শতাব্দীর সাধনার ফলাফল। এই বিজ্ঞান আমাদের গুহা মানব পূর্বপুরুষদের দ্বারা অগ্রণী ছিল। বিজ্ঞানের যাত্রা শুরু হয়েছিল যেদিন থেকে তারা পাথরের মধ্যে ঘর্ষণের মাধ্যমে আগুন আবিষ্কার করেছিল। বর্তমানে সভ্যতা ও বিজ্ঞান একে অপরের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। মানুষ প্রতি মুহূর্তে বিজ্ঞানের দিকে ঝুঁকছে। আজকের মানুষ ঘুম থেকে ওঠার পর থেকে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার সময় পর্যন্ত প্রতিটি ক্ষেত্রেই বিজ্ঞানের ওপর নির্ভর। এই বিজ্ঞান এখন আকাশ-পাতাল সব জাগায় ছড়িয়ে আছে। তাই আজ বিজ্ঞানের সাহায্য ছাড়া জীবন প্রায় মৃত্যুতে পরিণত হয়েছে।

বর্তমান জীবনের বিজ্ঞান নির্ভরতা:

মহান বিজ্ঞানীদের সাধনা এবং গবেষণার ফলে আমরা আমাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস সহজেই পাচ্ছি। বিজ্ঞান ছাড়া আজ আমরা কিছু ভাবতে পারি না, এককভাবে পদক্ষেপও নিতে পারি না। যে ঘড়িটি আপনাকে ভোরবেলা ঘুম থেকে জাগায়, তারপর দাঁত মাজার জন্য টুথব্রাশ, এগুলো সবকিছুই বিজ্ঞানের আবিষ্কার। তারপর চা, রান্নার হিটার, খবরের কাগজ, মিলের তৈরি জামাকাপড়, বিনোদনের জন্য সিনেমা, টেলিভিশন, ফ্রিজ, কম্পিউটার ইত্যাদির সাথে বিজ্ঞান ব্যাপকভাবে জড়িত। কৃষিকাজ, কারখানার যন্ত্রপাতি এমনকি মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রেও বিজ্ঞান অপরিহার্য। এক কথায়, ঘরের কোণে, রাস্তায়, স্কুলে, কলেজে, অফিস-আদালতে, বিনোদনে, অনুষ্ঠানে, প্রতিষ্ঠানে ইত্যাদি জায়গাতে বিজ্ঞানকে কেউ অস্বীকার করতে পারবে না।

আরও পড়ুন:  আমাদের গ্রাম রচনা ক্লাস ১০ সহ সকল শ্রেনীর জন্য

চিকিৎসার ক্ষেত্রে বিজ্ঞান:

চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের ব্যাপক সাফল্য অনস্বীকার্য। রোগ নির্ণয় থেকে নিরাময় পর্যন্ত বিজ্ঞানের দ্বারা রক্ত, মল, প্রস্রাব ইত্যাদি পরীক্ষা করে রোগ নির্ণয় করা হয়। এছাড়াও বিজ্ঞান মানুষের হাতে পেনিসিলিন, বিভিন্ন ভ্যাকসিন, এক্স-রে, কার্ডিওগ্রাফি, ইসিজি এর মত আশীর্বাদ দিয়েছে। রক্তচাপ পরিমাপের জন্য স্ফিগমোম্যানোমিটার উদ্ভাবিত হয়। ক্লোরোফর্ম মানুষকে অবচেতন করার জন্য উদ্ভাবিত হয়েছিল, এছাড়াও আল্ট্রাসনোগ্রাফ মেশিন ছিল বিজ্ঞান ও বিজ্ঞানীদের একটি উল্লেখযোগ্য আবিষ্কার।

অবসর বিনোদন:

বিজ্ঞানের লক্ষ্য শুধু শরীরকে ভালো অবস্থায় রাখাই নয়, অবসরে জীবনযাপন করার ক্ষেত্রেও বিজ্ঞান নজর রেখেছে। বিজ্ঞান দিয়েছে সিনেমা, থিয়েটার, রেডিও, টিভি, ভিডিও, ভিসিআর, সিডি, মোবাইল ছাড়াও আরও অনেক যন্ত্র যেমন বোতাম টিপে গান বাজানো, নাটক, টেলিফোন, এয়ার কন্ডিশনার, ফ্রিজ ইত্যাদি সবই বিজ্ঞানের আবিষ্কার।

যানবাহন ব্যবস্থা: 

এখনকার মানুষ আর ঘরে বসে সময় কাটায় না। কেউ দীর্ঘ দূরত্বের ভ্রমণে যায়, কেউ অফিসের কাজে, কেউ কারখানায়, কেউ কর্মক্ষেত্রে তাদের জন্য সর্বদা একটি গাড়ি প্রস্তুত থাকে। সাইকেল, ট্রেন, ট্রাম, বাস, লরি, মোটর কার থেকে শুরু করে কোন কিছুরই অভাব নেই, এছাড়াও দ্রুত যোগাযোগ ব্যবস্থা হচ্ছে বিমান, ইন্টারনেট, ইমেইল। আর এ সবকিছুই বিজ্ঞানের আবিষ্কার। তাই এখন আর দূরত্ব নেই হাতের মুঠোয় চলে এসেছে এই পৃথিবী।

বাড়িতে বিজ্ঞান:

আমরা যদি সকাল থেকে রাত পর্যন্ত হিসাব করি তাহলে দেখতে পাই বিজ্ঞান আমাদের একের পর এক উপহার দিয়েছে: টুথপেস্ট, চায়ের সরঞ্জাম, সংবাদপত্র, রেডিও, খবর, খবরের কাগজ, কলম, বই, গ্যাস ওভেন, চুলা, ফ্রিজ, এয়ার কুলার, বৈদ্যুতিক পাখা, লোহা, তেল, সাবান, প্রসাধনী, পোশাক, ওষুধ ইত্যাদি কিছুই বিজ্ঞান বাদ দিয়ে নয়। বর্তমানে এগুলো বাদ দিলে জীবনযাত্রা অচল হয়ে পড়বে।

চাষবাসের ক্ষেত্রে বিজ্ঞান:

কৃষিক্ষেত্রেও বিজ্ঞানের অবদান কম নয়। বিজ্ঞান দিয়েছে উন্নত যন্ত্রপাতি, ট্রাক্টর, পাম্প মেশিন, উন্নত বীজ, রাসায়নিক সার, কীটনাশক ইত্যাদি যার ফলশ্রুতিতে পৃথিবী সবুজ হয়ে উঠেছে আর এর সুবাদে সবার মুখে দুই মুঠো খাবার জুটেছে। গরিবদের কপালে জুটেছে কর্ম। বিজ্ঞান না থাকলে হয়ত অনেক কর্মক্ষেত্র তৈরিই হতোনা। 

মহাকাশ গবেষণায় বিজ্ঞান:

বিজ্ঞানের অবদানে বিজ্ঞানীরা কৃত্রিম উপগ্রহ তৈরি করেছে। আকাশের সাহায্যে আমরা আবহাওয়ার খবর জানতে পারি এবং রেডিও এবং টিভিতে দূরবর্তী ঘটনার সাক্ষী হতে পারি। পৃথিবীর এক প্রান্তে যা বলা হয় তা অন্য প্রান্তে শোনা যায় টেলিফোন, মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট, ই-মেইলের মাধ্যমে এবং বাইরের শত্রুর আক্রমণ প্রতিহত করার জন্য নজরদারির সাহায্যে। প্রতিনিয়ত মহাকাশে যে পরিবর্তন হচ্ছে তা আপরা কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে জানতে পারি। যেমন হাবাল টেলিস্কোপ, জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ ইত্যাদি অন্যতম। 

আরও পড়ুন:  দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞান ছোট রচনা, সহজ ভাষায় পড়ুন

উপসংহার:

বিজ্ঞানের দ্বারা বিজ্ঞানীরা পারমাণবিক বোমা আবিষ্কার করেছে যা এক আঘাতে বিশ্বকে ধ্বংস করে দিতে পারে। ঠিক তেমনই ঘটেছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানের দুটি ফুলের মতো শহর হিরোশিমা এবং নাগাসাকি তে। আমেরিকার পারমাণবিক বোমা দ্বারা শ্মশানে পরিণত হয়েছিল সেই স্থানগুলি। মানুষ তার নিজের প্রয়োজনে বিজ্ঞানকে ব্যবহার করে তাই প্রত্যাকটি মানুষের উচিত বিজ্ঞানকে সঠিকভাবে ব্যবহার করা, অন্যথায় হিরোশিমা এবং নাগাসাকির মতো ধ্বংসের ভয় থেকে যাবে। তাই বিজ্ঞানের ভালো দিক যেমন আছে তেমনি খারাপ দিকও আছে। তাই মানুষের উচিত বিজ্ঞানকে প্রানীকূলের জন্য যথাযথ কল্যাণে ব্যবহার করা। একমাত্র মানুষই পারে এই পৃথিবীকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে।

দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞান রচনা ৮ম শ্রেণি

সূচনা

বর্তমান যুগকে বলা হয় আধুনিক বিজ্ঞানের যুগ। বিজ্ঞান আমাদের জন্য শ্বাস-প্রশ্বাসের মতোই অপরিহার্য। আমাদের দৈনন্দিন জীবন বিজ্ঞান ছাড়া অকল্পনীয়।এখন যে কোনো ধরনের জীবনযাত্রায় অভ্যস্ত মানুষ বিজ্ঞানের ওপর নির্ভরশীল। সকালে ঘুম থেকে ওঠা থেকে শুরু করে রাতে ঘুমাতে যাওয়া পর্যন্ত বিজ্ঞানের অবদান চোখে পড়ার মতো। তাই বলা যায় বিজ্ঞান এখন মানুষের দৈনন্দিন জীবনের নিয়ন্ত্রক।

দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞান

বিজ্ঞান ছাড়া মানুষের একটি মুহূর্তও কল্পনা করা যায় না। এখন প্রতি মুহূর্তে, প্রতিটি পদক্ষেপে আধুনিক মানুষ বিজ্ঞানের সাহায্যে জীবনযাপন করছে। আমি বসে বসে এই রচনাটি লিখতে গিয়ে আমার হাতে কলম এবং কালি, লেখার কাগজ, এমনকি বসার জায়গাতেও বিজ্ঞানের প্রভাব রয়েছে। আমাদের রাস্তাঘাট, অফিস-আদালত, স্কুল-কলেজ সবখানেই বিজ্ঞানের অবদান অসীম। শুধু তাই নয়, আমাদের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা সবই বিজ্ঞানের আশীর্বাদ। আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের উপর নির্ভরশীল। বলা যায় বিজ্ঞান ছাড়া আমাদের জীবন অচল।

শহুরে জীবনে বিজ্ঞান

শহুরে জীবনে মানুষ ও বিজ্ঞান অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। শহরের অ্যালার্ম ঘড়ির শব্দ আমাদের ঘুম ভাঙায়, আমরা যে জেগে উঠে টুথপেস্ট এবং টুথব্রাশ দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করি এগুলো বিজ্ঞানের উপহার।পত্রিকা, তারপর গ্যাস বা হিটার বা চুলায় তাড়াতাড়ি রান্না করে খাওয়াদাওয়া, রিকশা, অটোরিকশা, বাস, ট্রেন বা মোটরসাইকেলে করে কাজে পৌঁছানো সবই বিজ্ঞানের দান। সিঁড়ির বদলে লিফট দিয়ে অফিসে যাওয়া, টেলিফোন, টেলিগ্রাম, ফ্যাক্স, ই-মেইল, ইন্টারনেট ইত্যাদির সাহায্যে দূর-দূরান্তে খবর পাঠানো বিজ্ঞান ছাড়া কল্পনাই করা যায় না। কম্পিউটারে বিভিন্ন কাজের বিষয় লিখে রাখা, ক্লান্ত শরীরকে শিথিল করার জন্য এসি বা বৈদ্যুতিক পাখার নিচে বসে থাকা- এভাবেই সারাদিন বিজ্ঞানের সাহায্যে আমরা আমাদের জীবন চালিয়ে যাই। সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে সারাদিনের ক্লান্তি দূর করতে মিউজিক প্লেয়ার বা টিভি অন করে মনকে সতেজ রাখার চেষ্টা করা, সেটাও বিজ্ঞানের অবদান। ছেলে মেয়েরা কম্পিউটারে তাদের নোট রাখে; মাঝে মাঝে ভিডিও গেম খেলা। এভাবে জীবনের প্রতিটি ধাপে বিজ্ঞানের অবদান আমরা অনুভব করি। মোটকথা নগরজীবন সম্পূর্ণরূপে বিজ্ঞানের উপর নির্ভরশীল। বিশাল শহুরে বিল্ডিংগুলিতে এত লোক বাস করে তাও বিজ্ঞানের কারণে সম্ভব।

আরও পড়ুন:  একুশে ফেব্রুয়ারি রচনা / আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস রচনা সহজেই শিখুন!

গ্রামীণ জীবনে বিজ্ঞান

অস্বীকার করার উপায় নেই যে নগর জীবনের তুলনায় গ্রামীণ জীবনে বিজ্ঞানের ছোঁয়া তুলনামূলকভাবে কম। বিজ্ঞানের উপর নির্ভরতা দিন দিন বাড়ছে। বিজ্ঞানের অবদানে দিন দিন গ্রামীণ ও শহুরে জীবনের পার্থক্য কমে যাচ্ছে। যোগাযোগ ও পরিবহনে বিজ্ঞানের আশ্চর্যজনক অবদানের কারণে আজ মানুষ দূরবর্তী মানুষদের প্রতিবেশীতে পরিণত করেছে। বাস, রিকশা, ভ্যান, সাইকেল, মোটরসাইকেল এখন গ্রামীণ জীবনের একটি অংশ। ফলে বিজ্ঞান শহরের জীবন পেরিয়ে গ্রামে পৌঁছেছে। বর্তমানে গ্রামীণ জীবনও ক্রমশ বিজ্ঞানের উপর নির্ভরশীল। টুথপেস্ট, টুথব্রাশ, টিভি, রেডিও, মোবাইল ফোন, টর্চ, স্লো, সাবান, গুঁড়া, আয়না-চিরুনি, রাসায়নিক সার, কীটনাশক, ট্রাক্টর ইত্যাদি এখন গ্রামীণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সাথে মিশে গেছে। শহরের মানুষ যেমন তাদের জীবনকে সহজ করতে বিজ্ঞানকে নিত্যদিনের সঙ্গী হিসেবে গ্রহণ করেছে, তেমনি ইলেকট্রিক হিটার, রান্নার গ্যাস, প্রেসার কুকার, ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন ইত্যাদি মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত মানুষের জীবনে অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। গ্রামগুলি

দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞানের অপকারিতা

বিজ্ঞান একমাত্র সুবিধা নয় অসুবিধাও নিয়ে আসে। কিছু ক্ষেত্রে এর প্রভাবের কারণে কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। উদাহরণস্বরূপ দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞানের উপর অতিরিক্ত নির্ভরতা মানুষের অনেক ক্ষতি করছে। মানুষ যন্ত্রের উপর অতিরিক্ত নির্ভর করে কাজ করতে বিমুখ হয়ে পড়ছে। এখন মানুষ শারীরিক পরিশ্রমের চেয়ে মানসিক কাজ বেশি করে। ফলে নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। মানসিক ভারসাম্য নষ্ট হয়। সবচেয়ে বড় কথা, মানুষের জীবনে কৃত্রিমতা বাড়ছে। স্নেহ, ভালবাসা, সহানুভূতির মতো মানবিক গুণাবলী হারিয়ে যাচ্ছে। মানুষের মধ্যে বিভেদ বাড়ছে। বিজ্ঞানভিত্তিক যন্ত্রপাতির উপর অতিরিক্ত নির্ভর করে মানুষ যান্ত্রিক হয়ে উঠছে।

উপসংহার

বিজ্ঞান আমাদের দৈনন্দিন জীবনে একটি আশীর্বাদ। সকাল থেকে সন্ধ্যা এবং সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত আমাদের যা কিছু দরকার তা বিজ্ঞানের অবদান। বিজ্ঞান আজ আমাদের নিত্যসঙ্গী। বিজ্ঞান আমাদের জীবনকে সহজ করেছে। তবে দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞানের প্রভাব শুধু ভালোই নয়, ক্ষতিকরও বটে। এটা আমাদের জন্য উপকারী না ক্ষতিকর কিনা তা আমরা কিভাবে ব্যবহার করি তার উপর নির্ভর করে। তাই বিজ্ঞানের অপব্যবহার না করে কিভাবে মানব কল্যাণে ব্যবহার করা যায় সে বিষয়ে আমাদের সকলকে সচেতন হতে হবে।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

DISCLAIMER

এই আর্টিকেলে এবং আমাদের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে প্রদত্ত তথ্যগুলি বিশ্বাসযোগ্য, যাচাই করা এবং অন্যান্য বিশ্বস্ত মিডিয়া হাউস থেকে নেওয়া হয়েছে তা নিশ্চিত করার জন্য যে আমরা সমস্ত নির্ভুল তথ্য দিয়েছি। কোনো প্রতিক্রিয়া বা অভিযোগের জন্য [email protected] মেইলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।

আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপJoin Us
আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলJoin Us
আমাদের ফেসবুক পেজFollow Us
আমাদের কোরা পেজFollow Us
গু নিউজে ফলো করুনFollow Us
WhatsUpBD Desk

“Whatsup BD” সঠিক তথ্যের বাংলা প্লাটফর্ম। এখানে শিক্ষা, প্রযুক্তি সম্পৃক্ত সকল জানা ও অজানা তথ্য প্রকাশ করা হয়। “হোয়াটসআপ বিডি” এর লক্ষ্য সবার মাঝে সঠিক জ্ঞান ছড়িয়ে দেয়া। যদি আপনি বিভিন্ন বিষয়ে সঠিক তথ্য পেতে চান তাহলে নিয়মিত চোখ রাখুন Whatsup BD ব্লগে।

রিলেটেড পোষ্ট

১২ কেজির এলপিজি সিলিন্ডারের দাম বেড়েছে প্রিলিমিনারি টু মাস্টার্স ভর্তি ২০২৪ মেধা তালিকার ফল বাংলাদেশে এসির দাম কত আজকে | AC Price inBangladesh Janhvi Kapoor Latest Photo: Valentine’s Day তে যে পোশাক পড়লেন আমি আমার এসএসসি রেজাল্ট কিভাবে দেখব, সহজ নিয়ম কী?