ব্লাড ক্যান্সার হচ্ছে একটি জটিল এবং বিপজ্জনক রোগ। অনেকেই আছেন যারা ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত। ব্লাড ক্যান্সার একটি মারণ রোগ। তাই এটি এড়াতে আমাদের অবশ্যই ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ এবং ব্লাড ক্যান্সার এড়ানোর উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে। আপনারা যারা ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ এবং ব্লাড ক্যান্সার এড়ানোর উপায় সম্পর্কে জানতে গুগলে সার্চ করে আমাদের ওয়েবসাইট খুঁজে পেয়েছেন, তারা সঠিক জায়গায় এসেছেন।
কারণ আমরা এখানে ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ গুলো কি কি এবং ব্লাড ক্যান্সার থেকে বাঁচার উপায় নিয়ে আলোচনা করব। ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ এবং ব্লাড ক্যান্সার থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই। আপনারা যারা ব্লাড ক্যান্সারে ভুগছেন বা যারা এই বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চেয়েছেন, তারা অবশ্যই আজকের লেখাটি মনোযোগ দিয়ে পড়বেন।
সূচিপত্র
ব্লাড ক্যান্সার কী?
আজকের নিবন্ধটি ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ কি কি এবং কীভাবে ব্লাড ক্যান্সার এড়াতে হয় তার উপর আলোকপাত করা হয়েছে। ব্লাড ক্যান্সার একটি মারণ ও প্রাণঘাতী রোগ। ব্লাড ক্যান্সার শব্দটি শুনলেই অনেকে ভয় পেয়ে যান। কিন্তু ব্লাড ক্যান্সার মানেই মৃত্যু নয়। আগে এমন ভাবা হতো, কিন্তু এখন চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতিতে ক্যান্সারের চিকিৎসা বেরিয়ে এসেছে।
আর এই চিকিৎসা একজন মানুষকে সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে আনতে পারে। কিছু চিকিৎসা থেরাপি এবং বেশ কিছু মৌলিক চিকিৎসা আছে যা একজন ব্লাড ক্যান্সার রোগীকে নিরাময় করতে পারে। তাই ব্লাড ক্যান্সার থেকে পরিত্রাণ পেতে আমাদের অবশ্যই ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ এবং ব্লাড ক্যান্সার থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে জানতে হবে।
আজকের পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়লে অবশ্যই ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ এবং ব্লাড ক্যান্সার এড়ানোর উপায় সম্পর্কে জানতে পারবেন। এছাড়াও, আজকের পোস্টের মাধ্যমে আমরা ব্লাড ক্যান্সার সম্পর্কিত আরও বিভিন্ন তথ্য দিয়েছি। তাই আজকের পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন। তাই আর কোনো ঝামেলা না করে আজকের মূল আলোচনা শুরু করা যাক।
ব্লাড ক্যান্সার কাকে বলে (What is blood cancer)
ব্লাড ক্যান্সার একটি মারণ রোগ। কেউ একবার এই রোগে আক্রান্ত হলে বেঁচে থাকার সম্ভাবনা খুবই কম। যাইহোক, বর্তমানে অনেক চিকিৎসা থেরাপি রয়েছে যা ব্লাড ক্যান্সার নিরাময় করতে পারে।
ব্লাড ক্যান্সার একটি জটিল এবং ভয়ানক রোগ যা অনেক মানুষকে প্রভাবিত করে। আমাদের শরীরের রক্ত মূলত তিনটি উপাদানের সমন্বয়ে গঠিত। যার একটি হল লোহিত রক্তকণিকা এবং অন্য দুটি হল শ্বেত রক্তকণিকা এবং প্লেটলেট। আর এই ব্লাড ক্যান্সার হলো আমাদের শরীরের তিনটি রক্ত কণিকার একটি অস্বাভাবিক বৃদ্ধি।
আর আমাদের শরীরে ব্লাড ক্যান্সার বৃদ্ধির অস্বাভাবিক কারণ হল এই শ্বেত রক্তকণিকা। আমাদের শরীরে যখন শ্বেত রক্ত কণিকা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায় তখন বাকি দুটি রক্তকণিকা লোহিত রক্তকণিকা এবং প্লেটলেটের পরিমাণ কমিয়ে দেয়। আর এর ফলে আমাদের শরীরে রক্তশূন্যতা দেখা দেয় এবং ধীরে ধীরে আমাদের শরীরে ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ দেখা দিতে থাকে। তাই রক্তের শ্বেত কণিকা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেলে ব্লাড ক্যান্সার হয়।
ব্লাড ক্যান্সার কিভাবে হয় ?
গবেষকরা বলেছেন – মানবদেহে বিভিন্ন ধরনের বিকিরণের প্রভাবে এবং রাসায়নিক বর্জ্যের, যেমনঃ ধূমপানের কারণে, রাসায়নিক রং ও ভাইরাসের কারণেও ব্লাড ক্যান্সার হয়। মূলত এগুলির প্রভাবের কারণে, মানব কোষের বিভাজনে অস্বাভাবিক সংকোচন প্রবাহিত হয় এবং এর জন্য, মানবদেহে ব্লাড ক্যান্সার দেখা দেয়।
যদি কোনোভাবে আমাদের শরীরে অস্বাভাবিক রক্তকণিকা তৈরি হয় তবে সেগুলো সঠিকভাবে পরিপক্ক হতে পারে না এবং এটি আমাদের শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এতে মানবদেহে অস্বাভাবিক রক্ত প্রবাহ ঘটে এবং শ্বেত রক্ত কণিকা বেশি আক্রান্ত হয় এবং এই সমস্ত বৈরিতার কারণে মানবদেহে ব্লাড ক্যান্সার দেখা যায়।
কিন্তু একদল চিকিৎসক বলেছেন, কোনো স্পর্শের মাধ্যমে ব্লাড ক্যান্সার ছড়াতে পারে। ব্লাড ক্যান্সার তরুণ থেকে বৃদ্ধ সবারই হতে পারে, মূলত ব্লাড ক্যান্সার হওয়ার কোনো নির্দিষ্ট বয়স নেই। এই মারণ রোগটি অল্পবয়সী থেকে বৃদ্ধ যে কেউই আক্রান্ত হতে পারে।
ব্লাড ক্যান্সার মূলত কত প্রকার
রক্তের ক্যান্সার, যা লিউকেমিয়া নামেও পরিচিত, এমন এক ধরণের ক্যান্সার যা রক্ত কোষগুলিকে প্রভাবিত করে। রক্তের কোষগুলি আমাদের শরীরে সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে, অক্সিজেন বহন করতে এবং রক্ত জমাট বাঁধাতে সাহায্য করে। যখন রক্তের কোষগুলি ক্যান্সারযুক্ত হয়ে যায়, তখন তারা নিয়ন্ত্রণহীনভাবে বৃদ্ধি পেতে শুরু করে এবং স্বাভাবিক কোষগুলিকে প্রতিস্থাপন করে। এর ফলে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে।
রক্তের ক্যান্সারের তিনটি প্রধান ধরণ রয়েছে:
- লিউকেমিয়া: লিউকেমিয়া হল রক্তের ক্যান্সার যা সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। এটি শ্বেত রক্ত কোষগুলিকে প্রভাবিত করে, যা সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। লিউকেমিয়ার চারটি প্রধান উপধরণ রয়েছে: অ্যাকিউট লিম্ফোব্লাস্টিক লিউকেমিয়া (ALL), অ্যাকিউট মাইলয়েড লিউকেমিয়া (AML), ক্রনিক লিম্ফোসাইটিক লিউকেমিয়া (CLL), এবং ক্রনিক মাইলয়েড লিউকেমিয়া (CML)।
- মাইলোমা: মাইলোমা হল এক ধরণের রক্তের ক্যান্সার যা প্লাজমা কোষগুলিকে প্রভাবিত করে, যা অ্যান্টিবডি তৈরি করে। মাইলোমা হাড়, কিডনি এবং অন্যান্য অঙ্গের ক্ষতি করতে পারে।
- লিম্ফোমা: লিম্ফোমা হল লিম্ফ নোড এবং অন্যান্য লিম্ফয়েড টিস্যুগুলিকে প্রভাবিত করে এমন এক ধরণের রক্তের ক্যান্সার। লিম্ফোমার দুটি প্রধান ধরণ রয়েছে: হজকিন লিম্ফোমা এবং নন-হজকিন লিম্ফোমা।
ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ গুলো কি কি
প্রতিটি রোগের কিছু উপসর্গ থাকে। একইভাবে ব্লাড ক্যান্সারেরও কিছু লক্ষণ রয়েছে যা জেনে আপনি উপকৃত হবেন। একজন ব্যক্তির রক্তের ক্যান্সার ধরা পড়লে কিছু লক্ষণীয় লক্ষণ দেখা দেয়। তাই আপনি যদি ব্লাড ক্যান্সার সম্পর্কে সচেতন হতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণগুলো বিস্তারিত জানতে হবে। তো আর কোনো ঝামেলা না করে চলুন জেনে নিই ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণগুলো।
সাধারণ লক্ষণ:
- ঘন ঘন জ্বর: দীর্ঘস্থায়ী বা পুনরাবৃত্তিমূলক জ্বর রক্ত ক্যান্সারের একটি প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে।
- হঠাৎ বমি বমি ভাব এবং রক্তক্ষরণ: আমাসয়ের প্রদাহ এবং রক্তক্ষরণ রক্ত ক্যান্সারের ইঙ্গিত হতে পারে।
- অস্বাভাবিক দুর্বলতা ও ক্লান্তি: শারীরিক পরিশ্রমের জন্য অস্বাভাবিক ক্লান্তি এবং দুর্বলতা রক্তের কোষের সংখ্যা কমে যাওয়ার কারণে হতে পারে।
- অস্বাভাবিক ওজন হ্রাস: ক্ষুধামান্দ্য এবং পুষ্টি শোষণে সমস্যার কারণে দ্রুত ওজন হ্রাস রক্ত ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।
- শ্বেত রক্ত কণিকা বৃদ্ধি এবং লাল রক্ত কণিকা হ্রাস: রক্ত পরীক্ষায় অস্বাভাবিক রক্ত কোষের সংখ্যা নির্ণয় করতে পারে।
- হাড়ের ব্যথা: হাড়ের মজ্জায় ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধির ফলে হাড়ের ব্যথা হতে পারে।
- ত্বকের চুলকানি ও রক্তপাত: ত্বকের অস্বাভাবিক চুলকানি এবং অস্বাভাবিক স্থান থেকে রক্তপাত রক্ত ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।
- ফ্যাকাশে চেহারা ও ত্বকের শুষ্কতা: রক্তের অভাবের কারণে ত্বক ফ্যাকাশে ও শুষ্ক হতে পারে।
- খাবারে অরুচি: ক্ষুধামান্দ্য, বমি বমি ভাব এবং পেটে অস্বস্তি রক্ত ক্যান্সারের সাথে যুক্ত হতে পারে।
মনে রাখবেন: উল্লিখিত লক্ষণগুলি অন্যান্য রোগের অবস্থারও হতে পারে। বিভিন্ন ধরণের রক্ত ক্যান্সার রয়েছে এবং প্রতিটির নিজস্ব নির্দিষ্ট লক্ষণ থাকতে পারে। রক্ত ক্যান্সারের নির্ণয় সাধারণত রক্ত পরীক্ষা, অস্থিমজ্জার পরীক্ষা এবং অন্যান্য ইমেজিং পরীক্ষার মাধ্যমে করা হয়।
ব্লাড ক্যান্সার থেকে মুক্তির উপায় অথবা ব্লাড ক্যান্সার থেকে বাঁচার উপায়
এই রোগ থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে ব্লাড ক্যান্সার থেকে মুক্তির এই উপায়গুলি সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে। কারণ ব্লাড ক্যান্সার শেষ পর্যায়ে চলে গেলে মৃত্যু অনিবার্য। তাই আমাদের স্বাস্থ্য রক্ষা ও ব্লাড ক্যানসার থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকতে হবে। যেহেতু ব্লাড ক্যান্সার আমাদের শরীরে রক্তের সাথে যুক্ত, তাই রক্তের বিষয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত। বর্তমানে ব্লাড ক্যানসার থেকে রেহাই পেতে কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন। আসুন জেনে নিই ব্লাড ক্যান্সার থেকে বাঁচার উপায়গুলো সম্পর্কে।
ব্লাড ক্যান্সার থেকে বাঁচার উপায়
সুষম ও নিরাপদ খাবার:
- বাইরের রঙ মেশানো ও প্যাকেটজাত খাবার এড়িয়ে চলুন।
- ভেজালমুক্ত, সুষম খাবার গ্রহণ করুন।
সবুজ শাকসবজি:
- এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ সবুজ শাকসবজি খান।
শারীরিক ব্যায়াম:
- নিয়মিত ব্যায়াম করুন এবং প্রতিদিন ৩০ মিনিট হাঁটুন।
নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা:
- ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত রক্ত পরীক্ষা করুন।
প্রচুর পরিমাণে পানি:
- প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন।
পুষ্টিকর খাবার:
- ডিম, ছোট মাছ, মুরগির মাংস ইত্যাদি বেশি খান।
পরিমিত ঘুম:
- প্রতিদিন ৭-৮ ঘন্টা ঘুমান।
মদ্যপান ও তামাক সেবন থেকে বিরত থাকা:
- মদ্যপান ও তামাক সেবন বন্ধ করুন।
যৌন সম্পর্ক:
- ঝুঁকিপূর্ণ যৌন সম্পর্ক এড়িয়ে চলুন।
মোবাইল ব্যবহার সীমিত রাখা:
- অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহার এড়িয়ে চলুন।
ঝাল খাবার নিয়ন্ত্রণ:
- অতিরিক্ত ঝাল খাবার খাওয়া কমান।
ডাক্তারের পরামর্শ:
- নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
ব্লাড ক্যান্সারের চিকিৎসা
চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা এমন কিছু আধুনিক মেডিক্যাল মেশিন তৈরি করেছেন, যা ব্লাড ক্যান্সার থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে। মূলত ব্লাড ক্যান্সার রোগীদের মৃত্যুর লক্ষণ বোঝা যায় তার ব্লাড ক্যান্সার রিপোর্ট থেকে। ব্লাড ক্যান্সার নির্ণয়ের জন্য ডাক্তাররা সিটি এমআরআই, বোন ম্যারো টেস্ট, ফ্লো সাইটোমেট্রিক ইত্যাদি পরীক্ষা ব্যবহার করেন। আর এসব পরীক্ষার ভিত্তিতে ব্লাড ক্যান্সার রিপোর্ট তৈরি করা হয়। আসুন জেনে নেই ব্লাড ক্যান্সারের চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে।
- কোমোথেরাপি
- ইমিউনোথেরাপি
- রেডিওথেরাপি
- টার্গেটেডথেরাপি
- ক্লিনিকাল ট্রায়াল
- স্টেম সেল ট্রান্সপ্লান্ট
ব্লাড ক্যান্সার হলে কি মানুষ বাঁচে ?
আপনারা অনেকেই প্রশ্ন করছেন ব্লাড ক্যান্সারের রোগীরা বাঁচে নাকি? বিশেষজ্ঞরা এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন যে একজন ক্যান্সার রোগীর বেঁচে থাকা বা মারা যাওয়া নির্ভর করে তার ক্যান্সারের ধরণের উপর। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একজন ক্যান্সার রোগী কতদিন বেঁচে থাকবেন তা নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। এটি মূলত ক্যান্সারে আক্রান্ত ব্যক্তির বয়স এবং চিকিৎসা পদ্ধতির উপর নির্ভর করে। তাই ব্লাড ক্যানসারের রোগী কতদিন বেঁচে থাকে তা সঠিকভাবে বলা যাবে না। কিন্তু কারো যদি ব্লাড ক্যানসার থাকে তাহলে সেই ব্যক্তির সঠিক চিকিৎসা না হলে সেই ব্যক্তি মারা যাবে। কিন্তু ব্লাড ক্যান্সারের রোগী আগে থেকেই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিলে ব্লাড ক্যান্সার মোকাবেলা করা সম্ভব।
ব্লাড ক্যান্সারের চিকিৎসা খরচ
বিভিন্ন ধরনের ব্লাড ক্যান্সারের চিকিৎসা রয়েছে। ব্লাড ক্যান্সারের চিকিৎসা এবং খরচ আপনার ব্লাড ক্যান্সারের ধরনের উপর নির্ভর করে। ব্লাড ক্যান্সারের চিকিৎসা সাধারণত দীর্ঘমেয়াদী এবং স্বল্পমেয়াদী হয়। কারণ এটা নির্ভর করে আপনার কী ধরনের ব্লাড ক্যান্সার হয়েছে তার ওপর। যদি এটি একটি বড় ধরনের ব্লাড ক্যান্সার হয়, তাহলে আপনার দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসার প্রয়োজন হবে। যদি আপনাদের মধ্যে একজনের বড় ধরনের ব্লাড ক্যান্সার হয়, তাহলে তার অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন হবে।
বাংলাদেশে ব্লাড ক্যান্সারের চিকিৎসায় কেমোথেরাপি ও রেডিওথেরাপি ব্যবহার করা হয়। কেমোথেরাপি ও রেডিওথেরাপির মাধ্যমে ব্লাড ক্যান্সারের চিকিৎসায় সাধারণত ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা খরচ হয়। কিন্তু আবার অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপনের জন্য ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা প্রয়োজন হতে পারে।
কিন্তু ভারতে অনেক বড় ধরনের ক্যান্সার হাসপাতাল কেন্দ্র রয়েছে, আপনি চাইলে সেখান থেকে চিকিৎসা নিতে পারেন। কিন্তু ভারতে খরচ আমাদের দেশের তুলনায় কিছুটা বেশি হতে পারে। কারণ হোটেল ভাড়া, ভিসা, খাবার ও চিকিৎসা খরচসহ যাতায়াতের খরচ অনেক বেশি। তবে ভারতে ক্যান্সার চিকিৎসার খরচ বেশি হলেও সেখানে চিকিৎসা অনেক ভালো।
এই লেখার উপসংহার
প্রিয় পাঠক, আজকের এই আর্টিকেলে আমরা ব্লাড ক্যান্সার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ, প্রকারভেদ, চিকিৎসা পদ্ধতি, রোগীর জীবনকাল, চিকিৎসা খরচ সহ আরও অনেক তথ্য আপনাদের সামনে তুলে ধরেছি। আশা করি, এই আর্টিকেলটি পড়ার পর আপনি ব্লাড ক্যান্সার সম্পর্কে সম্যক ধারণা লাভ করেছেন।
কিভাবে ব্লাড ক্যান্সার থেকে মুক্তি পাবেন:
- সচেতন থাকুন: ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ সম্পর্কে সচেতন থাকুন। দীর্ঘস্থায়ী জ্বর, অবসাদ, অস্বাভাবিক রক্তক্ষরণ, ওজন হ্রাস ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
- নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করুন: নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা এবং শারীরিক পরীক্ষা করিয়ে আপনার স্বাস্থ্যের অবস্থা সম্পর্কে নিশ্চিত থাকুন।
- স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন: ধূমপান, মদ্যপান, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এড়িয়ে চলুন। নিয়মিত ব্যায়াম করুন এবং পর্যাপ্ত ঘুমোন।
- চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলুন: রোগ নির্ণয়ের পর চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত ওষুধ সেবন করুন এবং নির্ধারিত চিকিৎসা পদ্ধতি মেনে চলুন।
ব্লাড ক্যান্সার ভয়ঙ্কর রোগ হলেও, সঠিক চিকিৎসা এবং সচেতনতার মাধ্যমে এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। আশা করি, এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য সহায়ক হয়েছে। এই পোস্টটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে, তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে তাদেরকেও ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ এবং ব্লাড ক্যান্সার থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে জানার সুযোগ করে দিন।
আরও নতুন নতুন তথ্যমূলক আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ফলো করুন। এতক্ষণ সময় দিয়ে পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। চোখের ক্ষতি এড়াতে মোবাইল ফোন ব্যবহারের নীতিমালা জেনে নিন। এসমস্ত তথ্য আরও বেশি করে জানতে আমাদের প্লাটফর্ম নিয়মিত ভিজিট করুন। আপনি যদি আমাদের সাথে যুক্ত থাকতে চান তাহলে হোয়াটসয়াপ চ্যানেলে যুক্ত থাকুন।
DISCLAIMER
এই আর্টিকেলে এবং আমাদের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে প্রদত্ত তথ্যগুলি বিশ্বাসযোগ্য, যাচাই করা এবং অন্যান্য বিশ্বস্ত মিডিয়া হাউস থেকে নেওয়া হয়েছে তা নিশ্চিত করার জন্য যে আমরা সমস্ত নির্ভুল তথ্য দিয়েছি। কোনো প্রতিক্রিয়া বা অভিযোগের জন্য [email protected] মেইলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।