আমাদের গ্রাম রচনা ক্লাস ১০ সহ সকল শ্রেনীর জন্য

Written by Bikrom Das

Published on:

আমাদের গ্রাম রচনা টি প্রায় সকল শ্রেনীর পরিক্ষাতেই এসে থাকে। অনেকে অনেক ধরনের সাজেশন পাওয়া সত্বেও, সহজ ভাবে রচনা শিখার জন্য ভালো মাধ্যম খোজে। তো আমরা (whatsupbd) আজ আপনাদের জন্য উক্ত রচনাটি উল্লেখ করেছি। মনোযোগ সহকারে পড়লে আশাকরা যায় আপনি পরিক্ষায় ভালো ফলাফল করবেন।

আমাদের লেখাগুলি আপনাদের ভালো লাগলে অবশ্যই ফেসবুকে শেয়ার করবেন। রচনাটি তারাতারি শিখতে চাইলে, প্রথমেই আপনি আপনার নোটবুকে নোট করুন। এখানে আপনার যে রচনাটি সহজ মনে হয় সেটিই নোট করে শিখে ফেলুন। এতে করে খুব তারাতারিই শেখা হয়ে যাবে।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

আমাদের গ্রাম রচনা তৃতীয় শ্রেণীর (Our Village Essay)

সূচনা :

আমাদের গ্রামের নাম আমগাঁ। এটি নওগাঁ জেলার রাণীনগর থানায় অবস্থিত। এটি নওগাঁ জেলার মধ্যে একটি ঐতিহ্যবাহী ও প্রসিদ্ধ গ্রাম। আমি যেখানেই থাকিনা কেন এই গ্রামের মধুর স্মৃতি আমার হৃদয় স্পর্শ করে। আমি আমার গ্রামকে প্রাণ থেকে ভালোবাসি।

অবস্থান :

আমাদের গ্রামটি জেলা সদর থেকে ১৫কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত। গ্রামটির উত্তরে দামকুড়ি,
দক্ষিণে জেলা সদরে যাওয়ার পাকা রাস্তা। পূর্বে হরিপুর এবং পশ্চিমে করজগ্রাম অবস্থিত।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

লোকসংখ্যা :

আমাদের গ্রামে প্রায় ৫ হাজার লোক বাস করে। লোকসংখ্যার প্রায় ৫% হিন্দু, বাকি সবাই
মুসলমান।

পেশা :

গ্রামের অধিকাংশ লোক কৃষি কাজ করেন। তবে শিক্ষক, ডাক্তার, উকিল, কামার, কুমোর, মিস্ত্রি,
জেলে প্রভৃতি পেশার লোকও বাস করে।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

হাটবাজার :

আমাদের গ্রামে সপ্তাহ দুইদিন হাট বসে। হাটে বেশ বেচাকেনা হয়। তাছাড়া প্রতিদিন সকালে বাজার বসে । মাছ, তরকারি, দুধ ও দৈনন্দিন প্রয়োজনের প্রায় সব জিনিসপত্র বাজারে পাওয়া যায।

বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান :

আমাদের গ্রামে দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি উচ্চ বিদ্যালয়, একটি মাদরাসা, দুইটি মসজিদ ও একটি এতিমখানা আছে।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

যোগাযোগ ব্যবস্থা :

আমাদের গ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থা বেশ ভালো। এই গ্রামের প্রায় সব রাস্তাই পাকা। গ্রামের ভিতর দিয়ে জেলা সদরে যাওয়ার জন্য বড় একটি রাস্তা আছে। এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন রকমের যানবাহন চলাচল করে।

উৎপন্ন দ্রব্য :

আমদের গ্রামে প্রচুর ধান হয়। এছাড়াও গম, মসুর, সরিষা, শাক-সবজি ও ফলমূল উৎপন্ন হয়।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

আরও পড়ুনঃ আমাদের বিদ্যালয় রচনা সহজ ভাষায় | Class: 3,4,5,6

প্রাকৃতিক দৃশ্য :

গ্রামের প্রাকৃতিক দৃশ্য খুবই মনোরম। গ্রামের সবুজ গাছপালা ও ফসলের মাঠ দেখলে মন জুড়িয়ে যায়। তাই কবির ভাষায় বলতে হয় :

Telegram Group Join Now

আমাদের ছোট গ্রাম মায়ের সমান
আলো দিয়ে বায়ু দিয়ে বাঁচিয়েছে প্রাণ।

উপসংহার :

আমাদের গ্রামটি ফসল উৎপাদনের জন্য খুব খ্যাতি অর্জন করেছে। এমন একটি গ্রামে জন্মগ্রহণ করে সত্যিই আমি গর্বিত। সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি- আমাদের গ্রামটি যেন চিরদিন আদর্শ গ্রাম হিসেবে টিকে থাকে।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

আমাদের গ্রাম রচনা Class 3

amader gram rochona
amader gram rochona

ভূমিকা

বাংলাদেশের প্রান তার প্রাচীন শস্যশ্যামলা, নদী দিয়ে ঘেরা এদেশের সঠিক জীবনকে যদি অনুভব করতে হয়, তাহলে তাকে খুঁজে পাওয়া যাবে শহরের বিষাক্ত নিশ্বাস থেকে দূরে কোনো অচিনপুরে।

আমার গ্রাম দেখা

গত বছর মায়ের সঙ্গে গিয়েছিলাম হুগলির সপ্তগ্রামে মাসির বাড়িতে। সেই প্রথম আমার গ্রামে যাওয়া। গ্রামটিতে মনে হল এক মধুর ও সরল পরিজীবনের মাঝে এসে পড়েছি। সত্যিই মনে হল পল্লি বা গ্রাম যেন আমাদের মা। এ যেন তার সন্তানের মতো করে গ্রামের মানুষজনকে প্রতিপালন করছে।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য

গ্রামের ছোটো ছোটো কুঁড়েঘরগুলি গাছালির সবুজ বনানীতে ছাওয়া। গ্রামের গেরুয়া রাঙা আঁকা-বাঁকা পথ গ্রাম ছাড়িয়ে শহরের যাবার পথে মিশে গেছে। মরনে ফাকা মাঠ, সবুজ ঘাস, গাছপালা, বিরাট আকাশ, নদীর কল্লোল, পাখির গান। এই খোলা-মেলা উন্মুক্ত পরিবেশে এটা যেন ভরে গেল। গ্রামের সকালটি বড়োই মধুর আবার সন্ধ্যায় ঝিঁঝিঁর শব্দে নিবিড় হয়ে আসে পল্লি প্রকৃতি। তখন বরের বৈদ্যুতিক আলোয় উজ্জ্বল পরিবেশের কথা মনে পড়লেও গ্রামের পরিবেশটি যেন বড়োই শান্ত মনে হচ্ছিল। বনধারণের জন্য টাটকা ফলমূল, শাকসবজি পল্লিগ্রামে প্রচুর, দেখলাম শস্য পরিপূর্ণ ধানখেত।

গ্রামের উৎসব

গ্রামটিতে প্রায় সারা বছর আনন্দ উৎসব লেগে থাকে। বাঙালির বারমাসে তেরো পার্বণ শহরে আমরা সেভাবে না অনুভব করলেও গ্রামে সবসময়ই তাঁর ছোঁয়া লাগে। সবাই আনন্দ উপভোগ করে। পুজোপলক্ষ্যে যাত্রানুষ্ঠান ও মেলা বসে।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

আরও পড়ুনঃ দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞান ছোট রচনা, সহজ ভাষায় পড়ুন

উপসংহার

মা-র ডাকে আমার চেতনা ফিরল। খাওয়াদাওয়া শেষ করে আবার ফিরে যেতে হবে। আমার শুধুই মনে হচ্ছিল এই প্রকৃতি এত সুন্দর হয়ে আছে — মানুষের আধিপত্য ঘটেনি বলেই। ফিরে আসার সময় গ্রামের সুনিবিড় পরিবেশের টান মনকে ছুঁয়ে যাচ্ছিল। মনে পড়ছিল সেখানকার মানুষজনের আন্তরিক ব্যবহারের কথা।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

গ্রাম পঞ্চায়েত রচনা (ভারতীয়দের জন্য)

Gram Panchayat rochona
Gram Panchayat rochona

সূচনা :

প্রশাসনে বা শাসনকার্য ‘গণ’ অর্থাৎ সাধারণ মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করার নীতি থেকে গণতন্ত্রের উৎপত্তি। আর সেই গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে তৃণমূল স্তর পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার জন্য গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ ও কিছু কিছু প্রশাসনিক দায়দায়িত্ব দেওয়ার উদ্দেশ্য বর্তমান পঞ্চায়েত রাজ্যর এর উদ্ভব হয়। প্রকৃতপক্ষে পঞ্চায়েত হলে সেই জাতীয় শাসন পদ্ধতি যেখানে পাঁচজনের শাসন অর্থাৎ গনতান্ত্রিক শাসন স্বীকৃতি পায়। পরাধীন দেশের স্বায়ত্তশাসন পরাধীন ভারতবর্ষে স্বায়াত্ত শাসন ব্যবস্থার প্রবর্তন হয়েছিল। ক্ষমতা ছিল খুবই সীমিত। সাধারণ মানুষ ছিলেন প্রশাসন থেকে অনেক দূরে। ছিল তখন জেলা বোর্ড, লোকাল বোর্ড, ইউনিয়ন বোর্ড। গান্ধীজী চেয়েছিলেন ছিলেন সেই অবস্থার বদল ঘটাতে। মর্মে মর্মে তিনি অনুভব করেছিলেন গ্রাম ভারতের মধ্যে নিহিত রয়েছে ভারতের পঞ্চায়েতিরাজ ব্যবস্থা প্রবর্তন।

বর্তমান পঞ্চায়েত ব্যবস্থা :

পঞ্চায়েত কথার অর্থ বিচার সভা । সামন্তপ্রভুরা যখন দেশ শাসন করত তখন তাদের মনোনীত প্রতিনিধির হাতেই গ্রামের শাসন ব্যবস্থা থাকত। তার বিচার সবাইকে মেনে নিতে হতো। ইংরেজ শাসনের সময় ইংরেজদের প্রতিনিধি ছিল গ্রামের মোড়ল। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ইউনিয়ন বোর্ড গড়ে তোলা হলেও জনপ্রতিনিধি নির্বাচন ব্যবস্থা কার্যকর হলো না। অর্থাৎ নির্দিষ্ট সময় অন্তর প্রতিনিধি নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা নেওয়া দরকার, তা বাস্তবে রূপায়িত হলো না। ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে পশ্চিমবঙ্গের ইউনিয়ন গড়ে উঠেছিল, তা গ্রামের ও গ্রামের মানুষের কোনো উন্নতি ঘটাতে পারেনি। ১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দে থেকে নতুন পঞ্চায়েত শাসনব্যবস্থা চালু হয়। এখন প্রতি পাঁচ বছর অন্তর গ্রামের মানুষেরা নির্বাচনের মধ্য দিয়ে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করে। নতুন আইনে পঞ্চায়েত ব্যবস্থা ত্রিস্তরীয়। পঞ্চায়েত ব্যবস্থা হল – (ক) গ্রাম পঞ্চায়েত (খ) পঞ্চায়েত সমিতি (গ) জেলা পরিষদ। প্রত্যেকে স্তরে আলাদা আলাদা নির্বাচিত প্রতিনিধি প্রতিনিধিত্ব করেন। একটা অঞ্চলে একটা পঞ্চায়েত সমিতি গঠিত হয়। অঞ্চল পঞ্চায়েত সমিতির অধীনে থাকা কয়েকটি গ্রাম পঞ্চায়েত গ্রাম পঞ্চায়েত প্রতিনিধিরা তাদের পর্যালোচনার জন্য বছর অন্তত দুবার মিলিত হন।

আরও পড়ুন:  দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞান ছোট রচনা, সহজ ভাষায় পড়ুন
WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

পঞ্চায়েত ব্যর্থতার অভিযোগ :

পাঁচ বছরের মেয়েদের ভিত্তিতে পশ্চিমবঙ্গের পরপর যেগুলি নির্বাচন হয়ে গেল তাতে দেখা যাচ্ছে পঞ্চায়েতের ব্যর্থতার পরিমাণও কম নয়। রাজনৈতিক দলভিত্তিক নির্বাচনের ব্যবস্থা হওয়া পঞ্চায়েত গুলির মধ্যে দলীয় কোন্দল বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে নানা সংঘাত-সংঘর্ষ বিভিন্ন হাঙ্গামা নৈমিত্তিক ঘটনা হয়েছিল। এছাড়া বিভিন্ন দুর্নীতির কার্যে অদক্ষতা ও দলবাজি অভিযোগের প্রায়শই পঞ্চায়েতগুলির বিরুধীতা করা হছে। বর্তমানে কোটি কোটি টাকার পি.এল.এ কেলেঙ্কারী সংবাদপত্রের শিরোনাম হয়ে উঠেছে।

উপসংহার :

পঞ্চায়েত গণতান্ত্রিক ভারতের মূল, রাজনৈতিক চেতনা বৃদ্ধি পাঠশালা, যা পশ্চিমবঙ্গের গ্রামীণ জীবনে এনেছে মুক্তির স্বাদ,সঞ্চারিত করেছে নতুন বোধ , মঞ্জুরিত হচ্ছে আশা-আকাঙ্খা রক্তকরবী, কেন্দ্রীয় সরকার আগামী পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা ব্যবস্থাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার কথা বিবেচনা করেছেন। বর্তমানে আর্থসামাজিক কাটানো সম্ভব না হলে ভবিষ্যতে হয়তো গ্রামবাংলার মানুষের কোন তাৎপর্য পাবে। “আমরা সবাই রাজা আমাদের এই রাজার রাজত্বে”।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

আরও পড়ুনঃ Packing Business Idea: অল্প খরচে শুরু করুন এই ব্যাবসা, মাসে আয় ৩০হাজার টাকা!

আমাদের গ্রাম রচনা ক্লাস ১০

Our Gram Essay Class 10
Our Gram Essay Class 10

ভূমিকা:

প্রতিটি মানুষের কাছে তার জন্মভূমি বা নিজের গ্রাম খুবই প্রিয়। আমার কাছেও আমার গ্রাম সবচেয়ে প্রিয় ও পবিত্র। আমি এখানে জন্মেছি। তাই আমার গ্রামকে আমি মায়ের মতোই ভালোবাসি। এখানকার ছায়াঘেরা মায়াময় পরিবেশে আমার শৈশব কেটেছে। এর খেতের ফসল আমার ক্ষুধা দূর করেছে। এর পাখির গান আমায় মুগ্ধ করেছে। এ গ্রামের মানুষের কাছে পেয়েছি আদর, স্নেহ ও ভালোবাসা। তাই আমার গ্রামকে আমি প্রাণ দিয়ে ভালোবাসি। যেখানেই থাকি না কেন, আমার গ্রামের মধুর স্মৃতি সবসময় মনে পড়ে।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

অবস্থান:

আমার গ্রামের নাম কালিয়া গ্রাম। টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল থানায় এর অবস্থান। জেলা শহর থেকে এর দূরত্ব প্রায় ২০ কিলোমিটার। টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে মাত্র এক কিলোমিটার ভেতরে শ্যামলিমা ঘেরা এ গ্রাম। গ্রামের সামনে ছোটো একটা বিল রয়েছে। সকালে বিলের পাশে দাঁড়িয়ে সূর্য ওঠার দৃশ্য দেখতে মনোরম লাগে।

লোকসংখ্যা ও পেশা:

আমাদের গ্রামে প্রায় দুই হাজার লোকের বাস। এখানে অধিকাংশ লোক মুসলমান। এছাড়া কয়েক ঘর হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষও আছে। এখানে সকলেই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে আবদ্ধ এবং সকলে মিলেমিশে বসবাস করে। গ্রামের বেশিরভাগ লোক কোনো না কোনোভাবে কৃষির সাথে যুক্ত হলেও অধিকাংশ লোকই শিক্ষিত। তবে বেশিরভাগই শহরে চাকরি করে। গ্রামে যারা বসবাস করে তারা ব্যবসা ও কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। আমাদের গ্রামের বিভিন্ন পেশার লোকের মধ্যে রয়েছে শিক্ষক, উকিল, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সচিব, জেলে, দিনমজুরসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষজন।

আরও পড়ুন:  অধ্যবসায় রচনা শিখুন সহজ ভাষায়, সকল শ্রেণীর জন্য
WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

ঘর-বাড়ি:

আমাদের গ্রামের অধিকাংশ মানুষের বাড়িঘর প্রধানত টিনের তৈরি। রাধায়া পাতা মাড়িত আছে বেশ কিছু। বর্তমানে কেউ কেউ দু-চার ঘর দোতলা বাড়িও নির্মাণ করেছে। গ্রামের নিম্ন আয়ের মানুষের বাড়িঘর ছন, খড় ও বাশের তৈরি।

পোশাক-পরিচ্ছেদ:

আমাদের গ্রামের মানুষের পোশাক-পরিচ্ছদের মধ্যে ঐতিহ্য ও আধুনিকতার ছোঁয়া লক্ষ করা ক। পুরুষরা মুঙ্গি, পায়জামা-পাঞ্জাবি, শার্ট, গেঞ্জি ও চাদর পরে। অনেকে আবার লিখের প্যান্টও পরে। মেয়েরা সালোয়ার-কামিজ ও শাড়ি পরে।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

উৎপণ্য দ্রব্য:

আমাদের গ্রামের প্রধান উৎপন্ন দ্রব্যের মধ্যে ধান, পাট, গম, চাল, গরিমা উল্লেখযোগ্য। এছাড়া ও গ্রহে প্রচুর শাকসবজিও উৎপন্ন না। পুকুর, ডোবা ও বিলে প্রচুর মাছ পাওয়া যায়। হাঁস-মুরগির ডিম ও গাঁতির সু পাওয়া যায়। এছাড়া নানারকম ফলফলাদির গাছও রয়েছে। আম, জাম, কাঁঠাল, কলা, বেল, নারিকেল, পেয়ারা প্রভৃতি প্রচুন উৎপন্ন হয়। গ্রামের অধিকাংশ প্রয়োজনীয় খাবার গ্রামেই উৎপন্ন হয়।

প্রতিষ্ঠান:

আমাদের গ্রামে তেমন কোনো প্রতিষ্ঠান নেই। তবে অনতিদূরে পার্শ্ববর্তী গ্রামে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা কয়েছে। গ্রামের কাছেই রয়েছে ব্যাংক ও হাসপাতাল। গ্রামে একটি পোস্ট অফিসও রয়েছে।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

হাট-বাজার:

গ্রাম থেকে এক কিলোমিটার দূরে হামিদপুর নামে একটি বাজার রয়েছে। গ্রামের লোকজন এ বাজারেই জিনিসপত্র কেনাবেচা করে। বাজারটি অনেক বড়ো। এখানে সপ্তাহে দুই দিন হাট বসে। এছাড়া প্রতিদিন সকালে ও বিকেলে বাজার বসে। বাজারটিতে অস্থায়ী দোকানের পাশাপাশি অনেক স্থায়ী দোকান রয়েছে। বাজারে মোটামুটি সব ধরনের জিনিস পাওয়া যায়।

যোগাযোগব্যবস্থা:

টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে যে পথটি গ্রামে পৌঁছেছে সেটি অনেক উঁচু ও পিচ ঢালাই। এই পথে দুটি ছোটো ব্রিজ রয়েছে। এই পথে রিকশা, ভ্যান, টেম্পোসহ হালকা যানবাহন চলাচল করে।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য:

আমাদের গ্রামটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর। ষড়ঋতুর বৈচিত্র্যো গ্রামটি যেন একেক সময় একেক রূপ ধারণ করে। গ্রামের সামনে দিগন্তবিস্তৃত দীর্ঘ সবুজ মাঠ। গ্রীষ্মের খরতাপে, বর্ষার মেঘমেদুর শ্যামল হারায়, শরতের শুভ্র আকাশে, হেমন্তের সোনালি ফসলে, শীতের কুয়াশায় এবং বসন্তের প্রাচুর্যে অভিনব ও গ্রাম। গ্রামের প্রতিটি ঘরকে মনে হয় ছায়া সুশীতল শান্তির নীড়।

গ্রামের সংস্কৃতি:

সাংস্কৃতিকভাবে আমাদের গ্রাম অত্যন্ত অগ্রগামী। বিভিন্ন ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানে গ্রামের সব ধর্মের মানুষ একসাথে অংশ নেয়। পাশাপাশি এখানে নানা ধরনের মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। এগুলোর ভেতর উল্লেখযোগ্য হলো চৈত্রসংক্রান্তির মেলা, বৈশাখী মেলা, নবান্ন অনুষ্ঠান, পিঠাগুলির অনুষ্ঠান ইত্যাদি। গ্রামের মুসলিম ও হিন্দু বিয়েতে লোকজ গান, নাচ ও খাবারের আয়োজন করা হয়। এছাড়া বিভিন্ন জাতীয় দিবসে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে নানা অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

উপসংহার:

এমন একটি গ্রামে জন্ম নিয়ে আমি ধন্য। তাই আমি সারা জীবন ধরে এ গ্রামের চন্নয়নে সবরকমের চেষ্টা করে যাব। যেখানেই থাকি না কেন আমি আমার গ্রামকে কোনো দিন ভুলব না। সত্যিকার অর্থেই আমাদের গ্রামটি একটি আদর্শ গ্রাম।

গ্রাম নিয়ে গ্রামীনফোনের একটি অসাধারন ভিডিও।

DISCLAIMER

এই আর্টিকেলে এবং আমাদের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে প্রদত্ত তথ্যগুলি বিশ্বাসযোগ্য, যাচাই করা এবং অন্যান্য বিশ্বস্ত মিডিয়া হাউস থেকে নেওয়া হয়েছে তা নিশ্চিত করার জন্য যে আমরা সমস্ত নির্ভুল তথ্য দিয়েছি। কোনো প্রতিক্রিয়া বা অভিযোগের জন্য [email protected] মেইলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।

আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপJoin Us
আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলJoin Us
আমাদের ফেসবুক পেজFollow Us
আমাদের কোরা পেজFollow Us
গু নিউজে ফলো করুনFollow Us
Bikrom Das

আমি বহু-বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করেছি। আমি বাজার দর, রোজগার, অটোমোবাইল, টেলিকম, টেকনোলজি, জীবনধারা, ধর্ম এবং জাতি নিয়ে গভীর অন্তর্দৃষ্টি নিয়ে লেখালেখি করে থাকি। আমার লেখাগুলো তথ্যবহুল, পাঠকের কাছে সহজবোধ্য এবং সমসাময়িক। Whatsupbd.com-এ আমার আর্টিকেলগুলো পাঠকদের সঠিক তথ্য সরবরাহ করার পাশাপাশি জীবনের প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় দিকগুলোতে আলোকপাত করে। নতুন প্রজন্মের প্রযুক্তি এবং বাজার বিশ্লেষণে আমার লেখা পঠনযোগ্যতা বাড়ায়। আমার (Bikrom Das) লক্ষ্য হচ্ছে এমন একটি পাঠকগোষ্ঠী তৈরি করা, যারা আমার তথ্যসমৃদ্ধ ও নির্ভুল কনটেন্ট থেকে উপকৃত হবে।

রিলেটেড পোষ্ট

Janhvi Kapoor Latest Photo: Valentine’s Day তে যে পোশাক পড়লেন Oneplus Nord ce 3 lite 5g price in Bangladesh Mobiledokan The Kerala Story OTT Watch Online – ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে কীবোর্ডে স্পেসবার সবচেয়ে বড় কেন? আসল কারন জেনে নিন। আমি আমার এসএসসি রেজাল্ট কিভাবে দেখব, সহজ নিয়ম কী?