মনসা পূজা কত তারিখে || মনসা পূজা ২০২৪ তারিখ বাংলাদেশ জানতে পড়ুন

Written by WhatsUpBD Desk

Published on:

সনাতন (হিন্দু) ধর্মের পুরাণে বর্ণিত মনসা দেবী হলেন এক গুরুত্বপূর্ণ দেবী, যিনি শিবের কন্যা হিসেবে পরিচিত। কোনো কোনো পুরাণে মনসার পিতা হিসেবে ঋষি কাশ্যপেরও উল্লেখ পাওয়া যায়দেবী মনসা হলেন সর্পদের দেবী এবং সাধারণত সর্প দংশন থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য তার পূজা করা হয়। তিনি ভক্ত বৎসল হলেও, যারা তার পূজা করতে অস্বীকার করে তাদের প্রতি তিনি কঠোর শাস্তি দেন বলে ধর্মীয় কল্প কাহিনীতে উল্লেখ আছে। শুরুর দিকে মনসাকে দেবীরূপে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকৃতি জানানো হয়েছিল, তাই তার মূল উদ্দেশ্য ছিল দেবী হিসেবে নিজের অবস্থান প্রতিষ্ঠা করা এবং একনিষ্ঠ ভক্তগোষ্ঠী গড়ে তোলা।

মনসা পূজা কত তারিখে

মনসা পূজা বাংলার অন্যতম একটি প্রাচীন এবং গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় উৎসব। এটি কেবলমাত্র একটি পূজা নয়, বরং এটি একটি উৎসব যা বাংলার সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, এবং লোকায়ত ধর্মের একটি অংশ হিসেবে বিবেচিত হয়। ২০২৪ সালের মনসা পূজা ১৭ আগস্ট পালিত হবে, এবং এই দিনটি বাংলার গ্রামীণ জীবনে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। মনসা পূজার এই উৎসবের মাধ্যমে আমরা আমাদের ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির সঙ্গে সংযুক্ত থাকি, যা আমাদের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now
মনসা পূজা কত তারিখে, মনসা পূজা, মনসা পূজা কেন করা হয়, মনসা পূজার উপকরণ, মনসা পূজার পুষ্পাঞ্জলি মন্ত্র, মনসা পূজার মন্ত্র বাংলা

মনসা পূজার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পূজার সঠিক সম্পাদনের জন্য এই উপকরণগুলোর সঠিক ব্যবহার অপরিহার্য। নিচে মনসা পূজার প্রধান উপকরণসমূহ বর্ণনা করা হলো:

মনসা দেবীর প্রতিমা বা ছবি

মনসা পূজার মূল আকর্ষণ হলো মনসা দেবীর প্রতিমা বা ছবি। প্রতিমাটি মাটির তৈরি হতে পারে, আবার কখনও কখনও কাঠ বা ধাতুর তৈরি প্রতিমাও ব্যবহার করা হয়। অনেকেই কেবল মনসা দেবীর ছবি দিয়ে পূজার আয়োজন করেন। দেবীর প্রতিমা বা ছবি মন্দির বা বাড়ির পবিত্র স্থানে স্থাপন করা হয় এবং তা ঘিরেই পূজার সব আচার-অনুষ্ঠান পালন করা হয়।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

ফলমূল

পূজার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ হলো বিভিন্ন প্রকারের ফলমূল। বিশেষ করে কলা, আম, নারকেল, তরমুজ, পেঁপে, জাম্বুরা ইত্যাদি ফল মনসা দেবীর পূজায় ব্যবহার করা হয়। ফলমূল দেবীর প্রতি নিবেদন করার সময় ভক্তরা মন থেকে দেবীর কৃপা কামনা করেন।

পুষ্প

পুষ্প বা ফুল মনসা পূজার অপরিহার্য উপকরণ। পূজার সময় ভক্তরা বিভিন্ন রকমের ফুল দিয়ে দেবীকে অর্ঘ্য নিবেদন করেন। বিশেষ করে বেলি, শিউলি, জবা, গাঁদা ফুল ইত্যাদি মনসা পূজার জন্য উপযুক্ত বলে মনে করা হয়। ফুল দিয়ে দেবীর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয় এবং ফুলের সুগন্ধে পূজার পরিবেশ আরো পবিত্র হয়ে ওঠে।

আরও পড়ুন:  সনাতন ধর্মের প্রধান ধর্মগ্রন্থের নাম কি, না জেনে থাকলে জেনে নিন 
WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

ধূপ ও দীপ

ধূপ ও দীপ পূজার অপরিহার্য দুটি উপকরণ। ধূপের সুগন্ধ পূজার সময় পরিবেশকে স্নিগ্ধ করে তোলে এবং দীপের আলো পূজার পবিত্রতাকে বৃদ্ধি করে। পূজার সময় দেবীর সামনে ধূপ জ্বালিয়ে ধুনো দেওয়া হয় এবং পূজার সময় মোমবাতি বা প্রদীপ জ্বালানো হয়।

পানীয়

মনসা পূজার জন্য পানীয় হিসেবে বিশেষভাবে কাঁচা দুধ এবং মধু ব্যবহৃত হয়। পূজার শেষে ভক্তদের মাঝে এই পানীয়গুলো বিতরণ করা হয়। এছাড়া অনেক সময় পবিত্র গঙ্গার জলও মনসা পূজায় ব্যবহৃত হয়।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

সিঁদুর ও চন্দন

সিঁদুর এবং চন্দন মনসা পূজার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ। পূজার সময় সিঁদুর দিয়ে দেবীর প্রতিমায় তিলক দেওয়া হয় এবং চন্দন দিয়ে দেবীর শরীর মাখানো হয়। এটি দেবীর প্রতি ভক্তদের গভীর শ্রদ্ধার প্রতীক।

দই ও মিষ্টান্ন

দই এবং মিষ্টান্ন মনসা পূজার গুরুত্বপূর্ণ অংশ। দই দিয়ে দেবীর অভিষেক করা হয় এবং মিষ্টান্ন দেবীর উদ্দেশ্যে নিবেদন করা হয়। ভক্তরা দেবীর কৃপা লাভের আশায় এই মিষ্টান্ন নিবেদন করে থাকেন।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

দুধ ও মধু

পবিত্রতার প্রতীক হিসেবে মনসা পূজায় দুধ ও মধু ব্যবহার করা হয়। দুধ দিয়ে দেবীর অভিষেক করা হয় এবং মধু দিয়ে দেবীকে তুষ্ট করা হয়। ভক্তরা বিশ্বাস করেন, দেবী মনসা মধুর মতো মিষ্টি জীবন দান করেন।

লাল ও সাদা কাপড়

মনসা পূজায় দেবীর প্রতিমাকে সজ্জিত করার জন্য লাল ও সাদা কাপড় ব্যবহার করা হয়। লাল রঙ শক্তির প্রতীক এবং সাদা রঙ শান্তির প্রতীক। এই কাপড় দিয়ে দেবীর প্রতি ভক্তির বহিঃপ্রকাশ করা হয়।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

সাপের মূর্তি বা ছবি

মনসা দেবীকে সন্তুষ্ট করার জন্য পূজার সময় সাপের মূর্তি বা ছবি ব্যবহার করা হয়। সাপের মূর্তি বা ছবি পূজার স্থানে রাখা হয় এবং দেবীর প্রতি ভক্তি নিবেদনের জন্য পূজা করা হয়। সাপ মনসা দেবীর অন্যতম প্রতীক হিসেবে পূজার প্রধান উপকরণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

তীর্থের জল

পবিত্র তীর্থস্থানের জল মনসা পূজায় ব্যবহৃত হয়। এই জল দিয়ে দেবীর অভিষেক করা হয় এবং ভক্তরা এই জল পান করে দেবীর আশীর্বাদ কামনা করেন।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

মনসা পূজা আয়োজনের জন্য বেশ কিছু নিয়মাবলী মেনে চলতে হয়। পূজার স্থান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে তারপর পূজা শুরু করতে হয়। পূজার উপকরণগুলো পবিত্রভাবে সাজিয়ে রাখা হয়। পূজার সময় ভক্তরা মনসা দেবীর মন্ত্র জপ করেন এবং তাঁর প্রতি ভক্তি নিবেদন করেন। পূজা শেষে ভক্তরা প্রসাদ গ্রহণ করেন এবং মঙ্গল কামনায় মন্ত্র উচ্চারণ করেন

মনসা পূজা কত তারিখে, মনসা পূজা, মনসা পূজা কেন করা হয়, মনসা পূজার উপকরণ, মনসা পূজার পুষ্পাঞ্জলি মন্ত্র, মনসা পূজার মন্ত্র বাংলা

মনসা পূজার উৎস ও ইতিহাস

মনসা পূজার ইতিহাস হিন্দু পুরাণের গভীরে প্রোথিত। মনসা দেবীর পূজা শুরু হয়েছিল বাংলার প্রাচীন বণিক সম্প্রদায়ের মধ্যে। চাঁদ সওদাগর, যিনি প্রথম মনসার পূজা করেছিলেন, তিনি ছিলেন একজন বণিক। তার পরিবারে মনসা পূজার প্রচলন হয়েছিল এবং সেই থেকে এটি ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তা লাভ করে। বেহুলা, যিনি চাঁদ সওদাগরের পুত্রবধূ ছিলেন, তার নামও মনসা পূজার সাথে জড়িত। বেহুলার জীবনকাহিনী এবং মনসার পূজা নিয়ে একাধিক কাব্য ও উপাখ্যান রচিত হয়েছে, যা বাঙালির লোকসংস্কৃতির অংশ

আরও পড়ুন:  Namakkal Anjaneyar Temple Timings - সময়সূচি ও আধ্যাত্মিক গুরুত্ব।
WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

মনসা পূজার পদ্ধতি ও রীতিনীতি

সাধারণত, মনসা দেবীর মূর্তি তৈরি করে পূজা করা হয় না। সিজ বৃক্ষের শাখা, ঘটে, বা সাপ আঁকা ঝাঁপি দিয়েই মনসা দেবীর পূজা করা হয়। মনসা পূজা প্রধানত আষাঢ় মাসের পূর্ণিমার পরে পঞ্চমী তিথিতে শুরু হয় এবং ভাদ্র মাসের কৃষ্ণ পঞ্চমী পর্যন্ত চলে। এই পুজা বেশিরভাগ সময় বাড়িতে অনুষ্ঠিত হয়, যা রীতিমতো উৎসবের রূপ ধারণ করে। বিশেষ করে বাংলার গ্রামাঞ্চলে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব হিসেবে পালিত হয়। মনসার পূজা করা হয় সর্প দংশনের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এবং জীবন রক্ষার্থে।

নাগপঞ্চমী ও মনসা পূজা

আষাঢ় মাসের পূর্ণিমার পর যে পঞ্চমী তিথি আসে, তাকে নাগপঞ্চমী বলা হয়। এই দিনটি বিশেষভাবে মনসা দেবীর পূজার জন্য নির্ধারিত। এই তিথিতে গ্রামের উঠানে সিজ বৃক্ষ স্থাপন করে মনসা দেবীর পূজা করা হয়। এছাড়াও, বাণিজ্যিক পরিবারগুলোতে এই পূজা আরও বিশেষভাবে পালন করা হয়। শেষ দিনে পুরোহিতের মাধ্যমে পূজার সম্পূর্ণতা হয়, যেখানে বিশাল আয়োজনের মধ্য দিয়ে পূজা সম্পন্ন হয়।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

মনসা পূজার সাংস্কৃতিক গুরুত্ব

বাংলার সমাজে মনসা পূজার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে এই পূজাটি প্রচলিত এবং গ্রামীণ সমাজে একটি বড় ধর্মীয় উৎসব হিসেবে পালিত হয়। বণিক সম্প্রদায়ের মধ্যে এটি বিশেষভাবে প্রচলিত, কারণ এই সম্প্রদায়ের লোকেরা বিশ্বাস করেন যে মনসা দেবীর পূজা করলে তারা ব্যবসায়িক সাফল্য লাভ করবেন এবং সর্প দংশনের মতো অশুভ ঘটনা থেকে রক্ষা পাবেন।

মনসা পূজার স্থান ও সময়

মনসা পূজার প্রধান স্থান হলো গ্রামাঞ্চল। তবে শহরাঞ্চলেও অনেকেই বাড়িতে মনসার পূজা করেন। পুজার সময় সাধারণত ভাদ্র মাসের কৃষ্ণ পঞ্চমী পর্যন্ত একমাস ধরে চলে। শেষ দিনে, বিশেষ আয়োজনের মধ্য দিয়ে পূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। এই দিনটি ‘রান্না পূজা‘ নামে পরিচিত, যেখানে পূজার উপকরণ হিসেবে বিভিন্ন প্রকারের খাবার তৈরি করা হয় এবং দেবীর উদ্দেশ্যে নিবেদন করা হয়।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

আধুনিক যুগে, মনসা পূজা তার ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে। যদিও সময়ের সাথে সাথে এই পূজার আয়োজনের ধরণে পরিবর্তন এসেছে, তবে এর মূল উদ্দেশ্য ও আচার-অনুষ্ঠান এখনও অপরিবর্তিত। আজকের দিনে, এই পূজা শুধুমাত্র ধর্মীয় নয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অংশ হিসেবেও পালিত হয়। বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে এই পূজার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে এবং এটি নতুন প্রজন্মের মধ্যে সংস্কৃতির প্রতি আগ্রহ জাগিয়ে তোলে। আরও পড়ুন – দূর্গা পূজার সময়সূচী

মনসা দেবীর পূজা হিন্দু ধর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা বাংলার গ্রামীণ সমাজে এবং বাণিজ্যিক সম্প্রদায়ের মধ্যে বিশেষভাবে পালিত হয়। সর্প দংশনের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য মনসার পূজা করা হয় এবং এই পূজাটি বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের একটি বিশেষ অংশ হিসেবে বিবেচিত হয়। মনসার পূজার মাধ্যমে বাংলার লোকজ সংস্কৃতির ঐতিহ্য এবং ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রতিফলন ঘটে, যা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে সংরক্ষিত হয়েছে।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

FAQs – মনসা দেবী এবং পূজা সম্পর্কিত প্রশ্ন ও উত্তর

মনসার স্বামীর নাম কি?

মনসা, যিনি হিন্দু পুরাণে এক বিশেষ স্থান অধিকার করেন, তাঁকে সাধারণত ‘নাগদেবী’ হিসেবে পূজা করা হয়। তাঁর স্বামীর নাম ‘জরৎকারু’। পুরাণ অনুযায়ী, জরৎকারু একজন মহান ঋষি ছিলেন, যিনি তাঁর তপস্যার জন্য পরিচিত ছিলেন। তাঁর নামের অর্থই হল ‘প্রাচীন ধ্যানধারণা’ বা ‘অতীতের জীবনশৈলী’।

আরও পড়ুন:  ভাইফোঁটার ইতিহাস: ভাইফোঁটা কেন পালন করা হয়।

অষ্টনাগের নাম কি কি?

মনসার পুজোয় অষ্টনাগের উল্লেখ বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। পুরাণে অষ্টনাগের তালিকা বিভিন্ন ভাবে পাওয়া যায়, তবে সাধারণত যেসব নামগুলি অধিক প্রচলিত তারা হলেন:

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

শেষনাগ: বিষ্ণুর শয়নকালের সময়ে যিনি শয্যা হিসেবে ব্যবহৃত হন।
বাসুকি: যিনি সমুদ্র মন্থনের সময় দেবতাদের দ্বারা ব্যবহৃত হন।
তক্ষক: যিনি নাগদের মধ্যে অন্যতম প্রধান এবং মহাভারতের ঘটনাবলীতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
কর্কটক: যিনি দেবী মনসার পুজোর অংশ হিসাবে বিশেষভাবে উল্লেখিত।
পদ্মনাগ: যিনি পদ্মের মতো রূপে বিরাজমান।
মহাপদ্ম: যিনি পদ্মনাগের তুলনায় আরও বিশাল এবং মহৎ রূপে পূজিত।
শঙ্খপাল: যিনি শঙ্খের মতো রূপ ধারণ করেন।
ধৃতরাষ্ট: যিনি শক্তিশালী এবং রাজত্বের প্রতীক হিসেবে পরিচিত।

এই অষ্টনাগদের প্রতি দেবী মনসার বিশেষ কৃপা রয়েছে বলে বিশ্বাস করা হয়, এবং তাঁদের নামগুলি মনসা পূজায় বিশেষভাবে উচ্চারিত হয়।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

মনসার জন্ম কিভাবে হয়?

মনসার জন্মের বিষয়ে পুরাণে ভিন্ন ভিন্ন কাহিনী রয়েছে। একটি প্রচলিত কাহিনী অনুযায়ী, দেবী মনসার জন্ম ঘটেছিল সমুদ্র মন্থনের সময়, যখন তাঁর জন্ম হয়েছিল শিবের কপাল থেকে। শিবের কপালে থেকে একধরনের বিষধর সাপ বের হয়েছিল, যাকে পরে দেবী মনসা হিসেবে পূজা করা হয়।

অন্য একটি কাহিনীতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, মনসা ব্রহ্মার মানসপুত্রী ছিলেন। ব্রহ্মা তাঁর মানসের দ্বারা মনসাকে সৃষ্টি করেছিলেন এবং পরে তিনি শিবের তপস্যা ও আশীর্বাদের ফলস্বরূপ দেবী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হন।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

মনসার জন্ম কাহিনী, যাই হোক না কেন, মূলত তাঁর দেবত্ব এবং শৈব সম্প্রদায়ের মধ্যে তাঁর স্থান নির্দেশ করে। দেবী মনসার জন্মের পিছনের রহস্য এবং তাঁর দেবত্বের বিকাশ হিন্দু ধর্মের পুরাণে এক বিশেষ তাৎপর্য বহন করে।

দেবী মনসার স্বামী কে?

দেবী মনসার স্বামী হিসাবে পরিচিত ছিলেন ঋষি জরৎকারু, যিনি ছিলেন এক প্রাচীন ঋষি। জরৎকারুর জীবন ছিল অতিশয় কঠোর তপস্যার মধ্যে বদ্ধ। তাঁর সঙ্গে দেবী মনসার বিবাহের পিছনে রয়েছে একটি গুরুত্বপূর্ণ পুরাণিক কাহিনী। ঋষি জরৎকারু তাঁর পূর্বপুরুষদের নির্দেশে বিবাহ করেছিলেন, এবং দেবী মনসার সঙ্গে তাঁর বিবাহে তাঁদের একটি পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করে, যার নাম রাখা হয়েছিল অষ্টীক। অষ্টীক ঋষি পুরাণে বিশেষভাবে উল্লেখিত, কারণ তিনি নাগদের জীবন রক্ষা করেছিলেন।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

মনসা কোন দেবতার নাম?

মনসা হলেন এক প্রধান হিন্দু দেবী, যিনি বিষধর সাপদের দেবী হিসেবে পূজিত হন। তিনি প্রধানত বাঙালি হিন্দুদের মধ্যে বিশেষভাবে পূজিত হন, এবং তিনি দেবতা শিবের কন্যা হিসেবেও পরিচিত। তবে তাঁর আসল পরিচয় হল তিনি সাপদেবী, যাঁর কৃপায় মানুষ সাপের বিষ থেকে রক্ষা পায়। দেবী মনসার পূজা মূলত গ্রামীণ অঞ্চলে প্রচলিত ছিল, যেখানে সাপের সাথে বসবাসকারীদের সাপের হাত থেকে বাঁচার জন্য দেবীর পূজা করা হত। মনসা দেবীর পূজা বাঙালি সমাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় আচার, এবং তাঁর আশীর্বাদে মানুষের জীবন বিষমুক্ত ও সুরক্ষিত থাকে বলে বিশ্বাস করা হয়।

DISCLAIMER

এই আর্টিকেলে এবং আমাদের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে প্রদত্ত তথ্যগুলি বিশ্বাসযোগ্য, যাচাই করা এবং অন্যান্য বিশ্বস্ত মিডিয়া হাউস থেকে নেওয়া হয়েছে তা নিশ্চিত করার জন্য যে আমরা সমস্ত নির্ভুল তথ্য দিয়েছি। কোনো প্রতিক্রিয়া বা অভিযোগের জন্য [email protected] মেইলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।

আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপJoin Us
আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলJoin Us
আমাদের ফেসবুক পেজFollow Us
আমাদের কোরা পেজFollow Us
গু নিউজে ফলো করুনFollow Us
WhatsUpBD Desk

WhatsUpBD Desk আমরা অভিজ্ঞ ও বিশ্বস্ত লেখক টিম, যারা বাজার দর, রোজগার, অটোমোবাইল, জীবনধারা, টেকনোলজি, টেলিকম, ধর্ম ও জাতি সহ বিভিন্ন বিষয়ের ওপর মানসম্মত কনটেন্ট তৈরি করে থাকি। তথ্যনির্ভর এবং পাঠকবান্ধব লেখার মাধ্যমে তারা পাঠকদের কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছে দেই। প্রযুক্তি থেকে জীবনযাপন, বাজার বিশ্লেষণ থেকে ধর্মীয় ভাবনা সব ক্ষেত্রেই আমাদের রয়েছে সুগভীর অভিজ্ঞতা।

রিলেটেড পোষ্ট

Janhvi Kapoor Latest Photo: Valentine’s Day তে যে পোশাক পড়লেন Oneplus Nord ce 3 lite 5g price in Bangladesh Mobiledokan The Kerala Story OTT Watch Online – ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে কীবোর্ডে স্পেসবার সবচেয়ে বড় কেন? আসল কারন জেনে নিন। আমি আমার এসএসসি রেজাল্ট কিভাবে দেখব, সহজ নিয়ম কী?