পরিবেশ ও প্রকৃতির চিন্তা করেই অনেকে জানতে চেয়েছেন জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় পদক্ষেপ গুলো নিয়ে বিশ্ব কী বলছে। জলবায়ু পরিবর্তন আজ বিশ্বের সবচেয়ে জরুরি সমস্যাগুলির মধ্যে একটি। পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে, যার ফলে বিরূপ প্রভাব দেখা দিচ্ছে। সমুদ্রপৃষ্ঠ বৃদ্ধি, চরম আবহাওয়ার ঘটনা বৃদ্ধি, বরফ গলে যাওয়া এবং জীববৈচিত্র্য হ্রাস এর মধ্যে কয়েকটি।
যদি আমরা দ্রুত পদক্ষেপ না নিই, তাহলে জলবায়ু পরিবর্তনের পরিণতি আরও ভয়াবহ হবে। খরা, বন্যা, খাদ্য ঘাটতি এবং মানুষের বাস্তুচ্যুতি বৃদ্ধি পাবে। এই সমস্যা সমাধানের জন্য আমাদের সকলকেই একসাথে কাজ করতে হবে। ব্যক্তি, সম্প্রদায়, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং সরকার সকলেরই দায়িত্ব রয়েছে।
এসসময়, পৃথিবীকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য রাখার জন্য আমাদের সকলেরই দায়িত্ব পালন করা উচিত।
সূচিপত্র
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় পদক্ষেপ
বিষয় | অগ্রগতি | চ্যালেঞ্জ |
---|---|---|
প্যারিস চুক্তি | 195টি দেশ স্বাক্ষর করেছে | নির্গমন কমানোর গতি যথেষ্ট নয় |
নবায়নযোগ্য শক্তির উত্থান | সৌর ও বায়ুশক্তি আরও সস্তা ও ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে | উন্নয়নশীল দেশের জন্য অর্থায়ন প্রয়োজন |
শক্তি দক্ষতা বৃদ্ধি | শক্তি-দক্ষ যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তি নির্গমন কমাচ্ছে | রাজনৈতিক ইচ্ছাশক্তির অভাব |
বনায়ন | বনায়ন কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করছে | |
জলবায়ু নীতি | অনেক দেশ জীবাশ্ম জ্বালানির ভর্তুকি কমিয়েছে এবং কার্বন মূল্য নির্ধারণ করেছে |
জলবায়ু পরিবর্তন: অগ্রগতি
প্যারিস চুক্তি:
- ১৯৫টি দেশ কর্তৃক স্বাক্ষরিত এই ঐতিহাসিক চুক্তি।
- লক্ষ্য: গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমানো এবং তাপমাত্রা বৃদ্ধি 1.5°C-এ সীমাবদ্ধ করা।
নবায়নযোগ্য শক্তির উত্থান:
- সৌর ও বায়ুশক্তির মতো উৎস দ্রুত সস্তা ও ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
শক্তি দক্ষতা বৃদ্ধি:
- শক্তি-দক্ষ যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে নির্গমন হ্রাস পাচ্ছে।
বনায়ন:
- বনায়নের মাধ্যমে কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করা হচ্ছে।
জলবায়ু নীতি:
- অনেক দেশ জীবাশ্ম জ্বালানির উপর ভর্তুকি কমিয়েছে এবং কার্বন মূল্য নির্ধারণের মতো নীতি গ্রহণ করেছে।
চ্যালেঞ্জ
যদিও কিছু অগ্রগতি হয়েছে, তবে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমাদের এখনও অনেক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়েছে। নির্গমন কমানোর গতি যথেষ্ট নয়। বৈজ্ঞানিকরা সতর্ক করেছেন যে বৈশ্বিক উষ্ণতা 1.5°C-এ সীমাবদ্ধ করতে আমাদের আরও দ্রুত নির্গমন কমাতে হবে। উন্নয়নশীল দেশগুলির জন্য পর্যাপ্ত অর্থায়ন নেই যাতে তারা জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারে। রাজনৈতিক ইচ্ছাশক্তির অভাব একটি বড় চ্যালেঞ্জ। কিছু দেশ জলবায়ু পদক্ষেপ গ্রহণে অনীহা প্রকাশ করে।
আমাদের এগিয়ে যেতে হবে
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অগ্রগতি অর্জনের জন্য আমাদের সকলেরই ভূমিকা পালন করতে হবে। আমাদের নীতি নির্ধারকদের আরও দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে চাপ দিতে হবে। আমাদের নিজস্ব জীবনধারায় পরিবর্তন আনতে হবে যেমন কম গাড়ি চালানো, কম মাংস খাওয়া এবং শক্তি সাশ্রয় করা। স্থায়ী সমাধানে বিনিয়োগ করাও গুরুত্বপূর্ণ, যেমন নবায়নযোগ্য শক্তি, শক্তি দক্ষতা এবং জলবায়ু-স্থিতিস্থাপক অবকাঠামো।
উপসংহার
আশা করি এই লেখাটিতে আপনারা জানতে পেরেছেন জলবায়ু পরিবর্তন সমস্যা প্রতিরোধে কতটা অগ্রগতি হয়েছে। আপনি যদি এই জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, শিক্ষা জাতীয় তথ্য এবং সোনার দাম এবং বাংলাদেশী টাকায় বিভিন্ন দেশের বিনিময় হার এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় বাজারদরের দৈনিক আপডেট পেতে চান তবে আপনি প্রতিদিন আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন বা আপনি আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যোগ দিতে পারেন। আমাদের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের প্রতিটি আপডেট সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পাবেন।
DISCLAIMER
এই আর্টিকেলে এবং আমাদের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে প্রদত্ত তথ্যগুলি বিশ্বাসযোগ্য, যাচাই করা এবং অন্যান্য বিশ্বস্ত মিডিয়া হাউস থেকে নেওয়া হয়েছে তা নিশ্চিত করার জন্য যে আমরা সমস্ত নির্ভুল তথ্য দিয়েছি। কোনো প্রতিক্রিয়া বা অভিযোগের জন্য [email protected] মেইলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।